আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
প্রিয় মুফতি সাহেব

১) বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ের বয়সের ব্যবধান কত হলে ভালো হয়?

২) সমবয়সী নারীকে বিয়ে করা উত্তম কিনা?

৩) একজন জেনারেল শিক্ষিত ছেলের বিয়ে করার ক্ষেত্রে কি ধরনের মেয়ে প্রাধান্য দেওয়া উচিত? মাদ্রাসায় পড়ুয়া নাকি দীনদার জেনারেল শিক্ষিত? আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং ইসলামিক নির্দেশনা কি বলে।

৪) দ্রুত বিয়ে হবার কোন আমল আছে কিনা?

৫) একজন সাধারণ মেয়ের মধ্যে কি কি গুন থাকলে তাকে দীনদার বলা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো তফাৎ নেই। বরং যে কোনো বয়সের কাউকে যে কেউ বিয়ে করতে পারবে।এমনকি ছোট্ট শিশুসন্তানকেও বিয়ে করা যাবে।যেমন হযরত আয়েশা রাযি এর বিয়ে হয়েছিলো।তবে সহবাসের উপযুক্ত হওয়ার পূর্বে সহবাস করা যাবে না।তারপরও যদি কেউ করে নেয় তাহলে কাযীর দরবারে/কোর্টে  তাকে জবাবদিহি করতে হবে।

বালেগ হওয়ার পর বিয়ে হওয়াটা স্বাভাবিক। পুরুষ সাধারণত ১৫ বছর পর বালেগ হয়।এবং মহিলা ১৩ বছর পর বালেগ হয়।তবে এর পূর্বে ও বালেগ হতে পারে।পুরুষের বালেগ হওয়ার আলামত স্বপ্নদোষ হওয়া।মহিলার বালেগ হওয়ার আলামত ঋতুস্রাব হওয়া।

সাধারণত পুরুষ ১৫ বছর পর বিয়ে করবে এবং মহিলা তের বছর পর বিয়ে করবে।এবং স্ত্রী থেকে স্বামী দু-বছরের বড় হওয়া উত্তম।কেননা জান্নাতে পুরুষরা থাকবে ৩৩ বছরের আর নারীরা থাকবে ৩১ বছরের।যেমনটা সুয়ূতী রাহ, তাফসীরে জালালাইনে উল্লেখ করেছেন।

বর্তমানে আমাদের দেশে সু সাস্থ্য রক্ষার্থে ২১ ও ১৮ বসরের যে আইন রয়েছে, সে আইনকে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা সুরক্ষা হিসেবে মান্য করা উচিৎ। তবে এর পূর্বেও বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে। কারো গোনাহের আশংকা থাকলে,এর পূর্বেও বিয়ে করা তার উপর ওয়াজিব থাকবে।

فتوی نمبر : 144107200690
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن

(২) সমবয়সী এবং দুয়েক বৎসরের ছোট নারীকে বিয়ে করা উত্তম। 

(৩) একজন জেনারেল শিক্ষিত ছেলের জন্য বিয়ে করার ক্ষেত্রে মাদরাসা পড়ুয়া কাউকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।এতেকরে স্ত্রীর কাছ থেকেও সে অনেক কিছু শিখতে পারবে। এবং একজন আলেমের জন্য জেনারেল শিক্ষিত দ্বীনদার কাউকে বিয়ে করা উচিৎ।

(৪) দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে চাওয়াই উচিৎ।

(৫) একজন সাধারণ মেয়ের মধ্যে পর্দা ও নামায রোযার পাবন্দী  থাকলে তাকে দীনদার হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...