আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর অনেকদিন আগে আমি আমার ফ্রেন্ড কে নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম,দুঃখিত আবারও প্রশ্ন করার জন্য
আমার ফ্রেন্ড প্রেম করে পরিবারের অনুপস্থিতে বিয়ে করে,পরে পরিবার জানতে পারে এবং কেও মেনে নেয়নি,

পরে আমার ফ্রেন্ড আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়,তার হাসবেন্ড এর কাছে তালাক চায়,কিন্তু তার হাসবেন্ড কোনভাবেই তালাক দিতে রাজি ছিলনা,পরে আমার ফ্রেন্ড এর জুরাজুরিতে বলে আমি আর যযোগাযোগ করবো না,আমার ফ্রেন্ড বলে যাওয়ার আগে তালাক দিয়ে যাও,তার হাসবেন্ড তখন বলে তালাক ভেবে নাও,তার এখানে তালাকের কোন নিয়ত ছিলনা,কথার মানে ছিলো তুমি তালাক ভাবলে ভেবে নাও আমি দিবনা,এমন নিয়তে বলসে কথা টা,তারপর কথার কাটাকাটিতে বলে তুমি এখন থেকে ফ্রি,,তোমার যা ইচ্ছে কর গিয়ে,সে কুন তালাকের নিয়ত করে এই কথা বলেনি,,,,তাই আমার ফ্রেন্ড এর মনে হচ্ছিলো তালাক হয়নি তাই সে পরে মেসেজ দিয়ে আবারও তালাক চাচ্ছিল
তখন তার হাসবেন্ড বলেছে তোমাকে তালাক দিলাম,

দুইএকদিন পর তার হাসবেন্ড আমাক মেসেজ দিয়ে বলে তার পুরাপুরি তালাক দেয়ার নিয়ত ছিলনা এক তালাকের নিয়ত ছিল,পরিস্তিতি সাভাবিক হলে ফিরিয়ে নিবে,পরে তার হাসবেন্ড এর শাথে সে স্বাভাবিক ভাবে আগের মত স্বামী স্ত্রীর মত কথা বলা শুরু করেছে কিন্তু আমার ফ্রেন্ড এর থাকার ইচ্ছে ছিলোনা,

আপনারাও মাসালা দিয়েছিলেন তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে,

কিন্তু এখন  আমার ফ্রেন্ড কে তার হাসবেন্ড বার বার বলছে তাদের তালাক হয়নি,সে এখানে সংখ্যা বলেনি,এক তালাকে রজয়ি হয়েছে,এবং ফিরিয়ে নিয়েছে তাই আমার ফ্রেন্ড চাইলেও আলাদা হতে পারবেনা,এখন আমার ফ্রেন্ড এর কি তালাকে রজয়ি হয়েছে  নাকি একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে,

আর যদি একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে কুন কথার মাধ্যমে তালাক হয়েছে?এই ব্যাপারটা কষ্ট করে বুঝিয়ে বলবেন

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

সুরা বাকারার ২২৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آَتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ (229)

"এ তালাক দু'বার, অতঃপর স্ত্রীকে হয় বিধিসম্মতভাবে রাখবে অথবা সদয়ভাবে বিদায় দেবে। আর স্ত্রীকে দেয়া কোন কিছু ফেরৎ নেয়া তোমাদের পক্ষে উচিত নয়। তবে যদি তাদের উভয়ের আশংকা হয় যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না এবং তোমরা যদি আশংকা কর যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না, তবে (সে অবস্থায়) স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে (স্বামী থেকে) নিষ্কৃতি পেতে চাইলে তাতে (স্বামী-স্ত্রীর) কারো কোনো পাপ নেই। এসব আল্লাহর সীমারেখা। কাজেই তা লংঘন কর না। যারা আল্লাহর (নির্দিষ্ট) সীমারেখা লংঘন করে তারাই অত্যাচারী।" (২:২২৯)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِي ذَلِكَ إِنْ أَرَادُواْ إِصْلاَحًا

আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। (সূরা বাকারা ২২৮)

★কয়েকটি জিনিস এমন রয়েছে, যেগুলো ইচ্ছা, অনিচ্ছায় বা না বুঝে করা হলেও সর্বাবস্থায় সেগুলো কার্যকর হয়ে থাকে।

হাদিস শরিফে এসেছে,

ثَلاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ : النِّكَاحُ ، وَالطَّلاقُ ، وَالرَّجْعَةُ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন রয়েছে যা গোস্বায় হোক বা হাসি ঠাট্টায় হোক সর্বাবস্থায় কার্যকরী হয়ে থাকে। বিবাহ, তালাক ও রজয়াত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২১৯৪; সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ১১৮৪]

★স্পষ্ট বাক্যে এক তালাক বা দুই তালাক দেয়ার পর স্বামীর অধিকার থাকে, স্ত্রীকে ইদ্দত তথা তিন হায়েজ অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রাজআত করা তথা স্ত্রীকে স্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে আনা। 

রাজআত দু’ভাবে হতে পারে–
১. কথার মাধ্যমে ইদ্দতের ভেতর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো। যেমন সরাসরি অথবা ফোনে অথবা কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে একথা বলা যে, ‘তোমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করলাম’। একথার মাধ্যমে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুনঃবহাল হয়ে যাবে।
২. কর্মের মাধ্যমে ইদ্দতের ভেতর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো। অর্থাৎ স্ত্রীর সঙ্গে এমন কোনো আচরণ দেখানো যা একজন স্বামী একজন স্ত্রীর সঙ্গেই দেখাতে পারে। যেমন তাকে চুমো দেয়া কিংবা তার সঙ্গে সহবাস করে নেয়া ইত্যাদি। এজাতীয় কর্মের মাধ্যমেও তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুনঃবহাল হয়ে যাবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত স্ত্রীর উপর দুই তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে।

ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার আগে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে সেক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে রজ'আত করা যাবে।

ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে সেক্ষেত্রে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...