বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জোরপূর্বক, ব্ল্যাকমেইল করার কারণে স্বামী তালাক দিলে তা পতিত হয়ে যাবে। তবে হত্যার হুমকি এবং তার বাস্তবায়ন প্রায় নিশ্চিত হলে, তখন লিখে তালাক দিলে গ্রহণযোগ্য হবে না।তবে মৌখিক তালাক তখনো গ্রহণযোগ্য হবে।
"( وأما ) ( أنواعه ) فالإكراه في أصله على نوعين إما إن كان ملجئا أو غير ملجئ فالإكراه الملجئ هو الإكراه بوعيد تلف النفس أو بوعيد تلف عضو من الأعضاء والإكراه الذي هو غير ملجئ هو الإكراه بالحبس والتقييد" .(35/5)
فتاوی شامی میں ہے:
"وفي البحر: أن المراد الإكراه على التلفظ بالطلاق فلو أكره على أن يكتب طلاق امرأته فكتب لاتطلق لأن الكتابة أقيمت مقام العبارة باعتبار الحاجة ولا حاجة هنا، كذا في الخانية". (236/3ط: سعید
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
72902
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)স্বামীকে যদি জোরপূর্বক স্ত্রীকে ফোন করে ৩ তালাক ও বায়েন তালাক দিতে বলা হয়, এবং স্বামী দেয়ও তাহলে সেই তালাক পতিত হবে। যদি এক বা দুই তালাক দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে তালাকের পর স্ত্রীকে ৩ হায়েযের মধ্যে ফিরিয়ে নেয়া যাবে।
(২) তালাক দেয়ার সময় স্ত্রী সামনে থাকা আবশ্যক নয়। ফোনে দিলেও সেটা গ্রহণযোগ্য হবে।
(৩) স্ত্রী সামনে নেই, অন্য মানুষের সামনে স্বামী যদি বলে, "আমার স্ত্রীকে ৩ তালাক দিলাম"। তাহলে এই তালাকও পতিত হবে।