জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
এটা যদি স্বপ্নে হয়ে থাকে,(অর্থাৎ ঘুমানোর পর ঘুমের মধ্যেই যদি এটি দেখে),আর যদি উক্ত মহিলার বীর্যপাত হয়।
তাহলে বিধানঃ
এটাকে স্বপ্নদোষ ধরা হবে। স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরয হবে।মনে থাকুক বা নাই থাকুক।যদি জাগ্রত হওয়া পর বীর্যের আছর পরিলক্ষিত হয়,তাহলে এক্ষেত্রে গোসল ফরয হবে।
হযরত উম্মে সালমা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ امْرَأَةُ أَبِي طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ : ( إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا هِيَ احْتَلَمَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ إِذَا رَأَتْ الْمَاءَ )
তিনি বলেন,হযরত আবু তালহা রাযি এর স্ত্রী উম্মে সুলাইম রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে বললেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! নিশ্চয় আল্লাহ হককে প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না,মহিলার উপর কি গোসল ফরয হবে, যখন মহিলার স্বপ্নদোষ হবে?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,হ্যা মহিলার উপরও গোসল ফরয হবে,যখন মহিলা পানিকে দেখবে।(সহীহ বোখারী-৩৭৩,সহীহ মুসলিম-৪৭১)
★তবে বীর্য ব্যাতিত মযি বের হলে গোসল ফরজ হবেনা।
আরো জানুনঃ
,
আর যদি এটি স্বপ্নে না হয়, জাগ্রত অবস্থাতেই হয়,তাহলে সহবাসের মতো ছুরত হলে (লিঙ্গ যদি যৌনাঙ্গে প্রবেশ করে) তাতে মহিলার বীর্য বের না হলেও গোসল ফরজ হবে।
,
আর যদি সহবাসের মতো ছুরত (লিঙ্গ যদি যৌনাঙ্গে প্রবেশ করানো ) না হয়,এমনিতেই মহিলার বীর্যপাত হয়,তাহলে কামভাবের সাথে বের হলে গোসল ফরজ হবে।
অন্যথায় অর্থায় কামভাবের সাথে বীর্য বের না হলে গোসল ফরজ হবেনা।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি সেটি স্বপ্নে না হয়,বরং বাস্তবেই হয়,এবং এতে উক্ত মহিলার সাথে সহবাসের মতো ছুরত হলে (লিঙ্গ যদি মহিলার যৌনাঙ্গে প্রবেশ করে) তাহলে উক্ত মহিলার উপর গোসল ফরজ হবে।
,
আর যদি সহবাসের মতো ছুরত না হয়,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু বীর্যপাত হয়নি,তাই গোসল ফরজ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উক্ত রক্ত যদি চলতেই থাকে,
তাহলে সেটি কি হায়েজের রক্ত নাকি ইস্তেহাযার রক্ত,সেটি নির্দিষ্ট করতে হবে।
শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো হায়েজের নির্দিষ্ট দিনের আগে যদি রক্ত আসে,তাহলে দেখতে হবে যে আগের মাসের হায়েজ অতিবাহিত হওয়ার পর নুন্যতম ১৫ দিন চলে গিয়েছে কিনা।
যদি আগের মাসের হায়েজ থেকে পবিত্র হওয়ার পর ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর উক্ত রক্ত বের হয়,তাহলে বুঝতে হবে যে এখন থেকেই হায়েজ শুরু হয়েছে।
,
আর যদি আগের মাসের হায়েজ থেকে পবিত্র হওয়ার পর ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার আগেই এই রক্ত আসে,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা হিসেবে গন্য হবে।
এতে নামাজ আদায় করতে হবে।
আরো জানুনঃ
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এটি যদি সেই হিসেবে ইস্তেহাজার রক্তই হয়,তাহলে প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করতে হবে।
আর যদি হায়েজের রক্ত হয়,তাহলে নামাজ পড়তে হবেনা।