আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in ওয়াসওয়াসা by (6 points)
edited by
হুজুর আসসালামু আলাইকুম। হুজুর একটু উত্তর টা দিবেন। আমাকে শুধু এটা জানান এগুলো ওয়াসওয়াসা রোগীর লক্ষন কিনা।

হুজুর আমার সবসময় তালাক নিয়ে চিন্তা হয়। তালাক হয়ে গেছে নাকি হয় নাই। কোন বাক্য বললে তালাক হয়ে গেল কিনা এইরকম মনে হয়। হঠাত নিয়ত এসে যায়। তখন চুপ থাকি। আবার কখনো বলে ফেলি। নিজেকে বোঝায় যে কোন তালাক হয় নাই। তবুও সন্দেহ আসতে থাকে। অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে বুঝি যে তালাক হয় নাই, তবুও ওইটা নিয়ে চিন্তায় মগ্ন থাকি।

একা একা থাকি। একা একা নিজের সাথে কথা বলে নিজেকে বুঝাই নামাজের পর। সন্দেহ যায় না। হয় নাই জানার পরও সন্দেহ আসে।  আজ থেকে ৩-৪ মাস হয়ে গেছে এইরকম। কারো সাথে ঠিক মত কথা বলতে পারি না ঐসবের চিন্তায়। তালাক নিয়ে সন্দেহ হতেই থাকে। নিজের উপর কোনো আস্থাই নাই আমার। এগুলো কি ওয়াসওয়াসা?

অনেক সময় মনে হয় নিয়ত করে বলছি আবার মনে হয় বলি নাই। কয়েকদিন আগে নিজের সাথে কথা বলতে গিয়ে নিয়ত করে কেনায়া বাক্য বলে ফেলেছি মনে হচ্ছে। হুজুর আমি অনিচ্ছায় নিয়ত করে বলে ফেললে কি তালাক হয়ে যাবে যদি ওয়াসওয়াসার কারনে এমন হয়। তখন আমি নিজে বুঝাচ্ছিলাম আমার এমন নিয়ত ছিল না। তখন ভুলে নিয়ত করে উচ্চ স্বরে কেনায়া বাক্য বললে ফেলসি, তাহলে কি তালাক হবে? আমি মন থেকে কোন তালাক দিতে চাই নাই। এখন এভাবে নিয়ত নিয়ে বলার কারনে কি তালাক হবে? আমি এইরকম নিয়ত ছিল না বোঝাতে গিয়ে বড় করে বলে ফেলসি একা একা। আমার আসলে সন্দেহ হচ্ছে খুব। আমি কি করব জানি না। হুজুর একটু উত্তর দিবেন। প্লিজ।

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (677,120 points)
+1
এগুলো ওয়াসওয়াসার লক্ষন।
by (6 points)
reshown by
ধন্যবাদ হুজুর। আরেকটা প্রশ্ন। উত্তর দিবেন আশা করি। 
 
হুজুর তাহলে কি আমার তালাক কার্যকর হবে??? শুনেছি ওয়াসওয়াসার রোগীর তালাক শরীয়তে গ্রহনযোগ্য না। তাহলে আমার উক্ত লিখিত ঘটনায় কি তালাক হবে? একটু জানান।

কয়েকদিন আগে নিজের সাথে কথা বলতে গিয়ে নিয়ত করে কেনায়া বাক্য বলে ফেলেছি মনে হচ্ছে। হুজুর আমি অনিচ্ছায় নিয়ত করে বলে ফেললে কি তালাক হয়ে যাবে যদি ওয়াসওয়াসার কারনে এমন হয়। তখন আমি নিজে কথা বলে নিজেকে বুঝ দিয়ে থাকি। বুঝাচ্ছিলাম আমার এমন নিয়ত ছিল না। তখন ভুলে নিয়ত করে উচ্চ স্বরে কেনায়া বাক্য বললে ফেলসি, তাহলে কি তালাক হবে?

 আমি মন থেকে কোন তালাক দিতে চাই নাই। নিজেকে  আমি এইরকম নিয়ত ছিল না বোঝাতে গিয়ে ওয়াসওয়াসার কারনে নিয়ত করে বড় করে বলে ফেলসি একা একা। আমার আসলে সন্দেহ হচ্ছে খুব। আমি কি করব জানি না। হুজুর একটু উত্তর দিবেন। প্লিজ।
by (6 points)
শাইখ অনুগ্রহ করে তালাক হয়েছে কিনা প্লিজ জানান। যেহেতু আমি ওয়াসওয়াসা রোগী, ওয়াসওয়াসার কারনে নিয়ত করে উচ্চ স্বরে কেনায়া বাক্য বললে ফেলসি, তাহলে কি তালাক হবে? 
by (6 points)
শাইখ অনুগ্রহ করে উত্তর দিন। প্লিজ। আমি আপনাকে মেসেজ ও করেছি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...