আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
reshown by
মুহতারাম আমার প্রশ্ন হলো গিয়ে টাকা ফিক্স না করে আমি একটি টিউশনি শুরু করেছি আমি কুরআন পড়াই এখন আমি তাদেরকে বলেছিলাম আপনাদের যা ইচ্ছা তাই দিয়েন। এখন তারা ২০০০টাকা দিয়েছে দুই মাসের আমি কি গ্রহণ করতে পারবো আমি তো ফিক্স করিনি

ওয়েবসাইট এর একটি ফতোয়ার কিছু অংশ  নিম্নে দেয়া হলো
আর তারা ‘উবাদার হাদীসকে ঐদিকে ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি কুরআন শিক্ষা দানের মাধ্যমে অনুদান করেছেন এবং তাতে সাওয়াবের নিয়্যাত করেছেন, শিক্ষাদানের সময় বিনিময় এবং উপকার গ্রহণ করা তার উদ্দেশ্য ছিল না। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার সাওয়াব বিনষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন এবং সে ব্যাপারে তাকে হুমকি দিয়েছেন। আর এ ক্ষেত্রে ‘উবাদার পন্থা হলো ঐ ব্যক্তির পন্থা যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তির হারানো বস্তুকে ফেরত দিল, অথবা অনুদান স্বরূপ অথবা সাওয়াবের আশায় সমুদ্রে কারো ডুবে যাওয়া বস্তু উদ্ধার করে দিল। সুতরাং ঐ ব্যাপারে তার কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণের অধিকার নেই। সাওয়াবের উদ্দেশ্য ঐ কাজটি করার পূর্বে সে যদি তার জন্য পারিশ্রমিক অনুসন্ধান করে থাকে, ওটা তার জন্য বৈধ হবে। আহলুস্ সুফফাহ্ (মসজিদে বসবাসকারী) নিঃস্ব সম্প্রদায় এরা মানুষের অনুদান দ্বারা জীবন যাপন করত। সুতরাং তাদের কাছ থেকে সম্পদ গ্রহণ অপছন্দনীয় এবং তাদের নিকট তা ফিরিয়ে দেয়া মুস্তাহাব। কতিপয় বিদ্বান বলেন, কুরআন শিক্ষা দেয়ার বিনিময়ে মজুরী গ্রহণের অনেক অবস্থা রয়েছে, যখন মুসলিমদের মাঝে বিশেষ ব্যক্তি ছাড়া আরও ব্যক্তি থাকবে, যে কুরআন শিক্ষার কাজ সম্পাদন করবে তখন ঐ ব্যক্তির জন্য কুরআন শিক্ষার বিনিময়ে মজুরী গ্রহণ বৈধ হবে। কেননা ঐ ফরয তখন তার ওপর নির্দিষ্ট হবে না। আর ঐ ব্যক্তি যখন এমন অবস্থায় অথবা এমন স্থানে থাকবে যেখানে সে ছাড়া অন্য কেউ ঐ কাজ সম্পাদন করে না, তখন তার জন্য মজুরী গ্রহণ বৈধ হবে না- এক্ষেত্রে মতবিরোধপূর্ণ হাদীসসমূহ এভাবেই ব্যাখ্যা করতে হবে।

https://ifatwa.info/70236/

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কিছু কিছু হাদীসে কুরআন শিক্ষার বিনিময় গ্রহণকে নাজায়েয বলা হয়েছে,যেমন ‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে,
وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ رَجُلٌ أَهْدَى إِلَيَّ قَوْسًا مِمَّنْ كُنْتُ أُعَلِّمُهُ الْكِتَابَ وَالْقُرْآنَ وَلَيْسَتْ بِمَالٍ فَأَرْمِي عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ: «إِنْ كُنْتَ تُحِبُّ أَنْ تُطَوَّقَ طَوْقًا مِنْ نَارٍ فَاقْبَلْهَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি এক লোককে লেখা এবং কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলাম, সে আমার জন্য একটি ধনুক উপহার দিয়েছে, যা মূল্যবান কোনো মাল নয়। সুতরাং আমি কি জিহাদে ঐ ধনুক ব্যবহার করতে পারি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যদি তুমি জাহান্নামের শিকল গলায় পরতে ভালোবাসা, তবে তা গ্রহণ করতে পারো।(আবূ দাঊদ ৩৪১৬, ইবনু মাজাহ ২১৫৭, আহমাদ ২২৬৮৯,মিশকাত ২৯৯০)

এই সব হাদীসের ব্যখ্যা হল,
ইমাম কুরতুবী রাহ বলেন
وأما الأحاديث فليس شيء منها يقوم على ساق ، ولا يصح منها شيء عند أهل العلم بالنقل - وليس في الباب حديث يجب العمل به من جهة النقل" انتهى باختصار .(" تفسير القرطبي " ( 1 / 335 ، 336 )
কুরআন শিক্ষার বিনিময় গ্রহণ নাজায়েয হওয়া নিয়ে যেই সব হাদিস পাওয়া যায়, সেই সব হাদীসের কোনোটির সনদও সন্তুষজনক নয়, এমনকি বিশুদ্ধও নয়।(তাফসীরে কুরতুবি-১/৩৩৫-৩৩৬)

তাছাড়া তিনি আরেকটা জবাব দিয়েছেন, সেটা হল, হাদীসে তখনই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যখন কুরআন জাননেওয়ালা লোকদের স্বল্পতার দরুণ কোনো একজনের উপর কুরআন শিক্ষা প্রদান করা ফরয হয়ে যায়, তখন তার জন্য বিনিময় গ্রহণ করা নাজায়েয।এবং সেটাই হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/993


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
মানে যদি ফিক্স না করি এবং ফিক্স করি দুই অবস্থাতেই হালাল হবে?
by (590,550 points)
জ্বী, উভয় অবস্থায় হালাল হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...