বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কিছু কিছু হাদীসে কুরআন শিক্ষার বিনিময় গ্রহণকে নাজায়েয বলা হয়েছে,যেমন ‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে,
وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ رَجُلٌ أَهْدَى إِلَيَّ قَوْسًا مِمَّنْ كُنْتُ أُعَلِّمُهُ الْكِتَابَ وَالْقُرْآنَ وَلَيْسَتْ بِمَالٍ فَأَرْمِي عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ: «إِنْ كُنْتَ تُحِبُّ أَنْ تُطَوَّقَ طَوْقًا مِنْ نَارٍ فَاقْبَلْهَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি এক লোককে লেখা এবং কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলাম, সে আমার জন্য একটি ধনুক উপহার দিয়েছে, যা মূল্যবান কোনো মাল নয়। সুতরাং আমি কি জিহাদে ঐ ধনুক ব্যবহার করতে পারি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যদি তুমি জাহান্নামের শিকল গলায় পরতে ভালোবাসা, তবে তা গ্রহণ করতে পারো।(আবূ দাঊদ ৩৪১৬, ইবনু মাজাহ ২১৫৭, আহমাদ ২২৬৮৯,মিশকাত ২৯৯০)
এই সব হাদীসের ব্যখ্যা হল,
ইমাম কুরতুবী রাহ বলেন
وأما الأحاديث فليس شيء منها يقوم على ساق ، ولا يصح منها شيء عند أهل العلم بالنقل - وليس في الباب حديث يجب العمل به من جهة النقل" انتهى باختصار .(" تفسير القرطبي " ( 1 / 335 ، 336 )
কুরআন শিক্ষার বিনিময় গ্রহণ নাজায়েয হওয়া নিয়ে যেই সব হাদিস পাওয়া যায়, সেই সব হাদীসের কোনোটির সনদও সন্তুষজনক নয়, এমনকি বিশুদ্ধও নয়।(তাফসীরে কুরতুবি-১/৩৩৫-৩৩৬)
তাছাড়া তিনি আরেকটা জবাব দিয়েছেন, সেটা হল, হাদীসে তখনই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যখন কুরআন জাননেওয়ালা লোকদের স্বল্পতার দরুণ কোনো একজনের উপর কুরআন শিক্ষা প্রদান করা ফরয হয়ে যায়, তখন তার জন্য বিনিময় গ্রহণ করা নাজায়েয।এবং সেটাই হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/993