জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ফিকহ-ফাতাওয়ার কিতাবাদি থেকেও বোঝা যায় যে, আস্তে কেরাত পড়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হল এমনভাবে পড়া, যেন সে নিজে শুনতে পায়। আর সর্বনিম্ন এতটুকু তো অবশ্যই জরুরি যে, সহীহ-শুদ্ধভাবে হরফ উচ্চারণ করা হবে এবং ঠোঁট-জিহবার নড়াচড়া দেখা যাবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنِي عُمَارَةُ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، قَالَ سَأَلْنَا خَبَّابًا أَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ قَالَ نَعَمْ. قُلْنَا بِأَىِّ شَىْءٍ كُنْتُمْ تَعْرِفُونَ قَالَ بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ.
আবূ মা‘মার (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খাববাব (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি যুহর ও ‘আসরের সালাতে কিরাআত পড়তেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা প্রশ্ন করলাম, আপনারা কী করে তা বুঝতেন? তিনি বললেন, তাঁর দাড়ির নড়াচড়ায়। (বুখারী শরীফ ৭৪৬, (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৪)
,
অতএব কেরাত পড়ার সময় জিহবা ও ঠোঁট ব্যবহার করে মাখরাজ থেকে সহীহ-শুদ্ধভাবে হরফ উচ্চারণ করতে হবে। অন্যথায় শুধু মনে মনে পড়ার দ্বারা কেরাত আদায় হবে না।
আপনি কমপক্ষে জিহবা ও ঠোট নাড়িয়ে আস্তে আওয়াজে উচ্চারণ করবেন।
এতটুকু আওয়াজ হতে হবে,যে ফ্যান বা অন্যান্য আওয়াজ যদি সেখানে না থাকতো,তাহলে আস্তে হলেও নিজ কান পর্যন্ত সেই আওয়াজ আসতো।
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে হিসাব করে শুধু ফরজ আর বিতর নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
(০২)
"হয়তো" এর উপর ভিত্তিতে করে সেই নামাজ গুলির কাজা আদায় আবশ্যক হবেনা।
এক্ষেত্রে নিশ্চিত হতে হবে যে আসলেই অযু হয়েছিলো কিনা?
আপনি যদি নিশ্চিত হোন যে আসলেই অযু গুলো হয়নি,তাহলে সেই অযু দ্বারা আদায়কৃত ফরজ নামাজ গুলির কাজা আদায় করতে হবে।
(০৩)
এতে ফজরের নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবেনা।
হ্যাঁ যদি আপনি সাহেবে তারতিব হোন,অর্থাৎ বালেগাহ হওয়ার পর থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত আপনার যিম্মায় ৫ ওয়াক্তের বেশি নামাজ কাজা না থেকে থাকে,সেক্ষেত্রে ফজরের নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
পুনরায় আদায় করতে হবে।
জোহরের পর বিতর এর কাজা আদায় করলে ফজর ও জোহর উভয় নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
আসরের পর বিতর এর কাজা আদায় করলে ফজর, জোহর ও আসর নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
মাগরিবের পর বিতর এর কাজা আদায় করলে ফজর, জোহর,আসর ও মাগরিবের নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
(০৪)
কাযাগুলো আদায় করার সাথে তাওবাহ-ইস্তেগফার করতে হবে।