আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in সালাত(Prayer) by (14 points)
edited by
১/বিগত দিনে নামাজ এবং রোজা ফরজ হবার পর ও বুজি নাই যে আমার নামাজ এবং রোজা ফরজ হইছে এখন নামাজ পরা রোজা রাখা জরুরি
ইচ্ছায় অনিচ্ছায় অনেক নামাজ কাজা করছি যা আজো পরি নাই আর এর পরিমান অনেক বেশি রোজা রাখি নাই
এখন এই সারা জিবনের কাজা নামাজ আদায়ে কি কোনো নিয়ম আছে?কিভাবে আমি এই সব কাজা আদায় করবো?আর রোজা কিভাবে রাখতে পারি?

২/নিয়ত কিভাবে করতে হবে

1 Answer

0 votes
by (62,920 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

নামাজ পড়া ফরজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ

আর নামায কায়েম করযাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথেযারা অবনত হয়। ( সূরা বাকারাআয়াত ৪৩)

 

অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেন-

فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ

অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। (সূরা কাউসারআয়াত ২)

 

যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় নামাজ ত্যাগ করে তার থেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়।

হাদীস শরীফে এসেছে-

 

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ " وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ " .

 

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনআমার প্রিয় বন্ধু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)

আমাকে এই উপদেশ তুমি স্বেচ্ছায় ফরয নামায ত্যাগ করো না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ত্যাগ করে তারথেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়। তুমি মদ্যপান করো না। কেননা তা সর্বপ্রকার অনিষ্টের চাবিকাঠি। (সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৩৪)

 

রমজানের রোজা রাাখা ফরয

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)

অধিক কাযা নামাজ তারতীবকে রহিত করে দেয়ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে-

حتي ترك صلاة شهر ثم قضي ثلاثين فجر ثم ثلاثين ظهرا ثم هكذا صح

মর্মার্থ: কারোর যদি এক মাসের নামাজ কাযা হয়ে যায়অত:পর সে ত্রিশ দিনের ফজরের নামাজ কাযা করে তারপর জহরতাহলে তা সহীহ আছেফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, /১৮৩


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বালেগ হওয়ার পর থেকে যত নামাজ, রোজা করেননি সবগুলোর কাযা আদায় করবেন। নিয়ত এভাবে করবেন ‘আমি জীবনের সর্ব প্রথম ফজরের নামাজের কাযা আদায় করছি।’ আবার নিয়ত করবেন ‘আমি জীবনের সর্ব প্রথম ফজরের নামাজের কাযা আদায় করছি।’ এভাবে সব ফজর নামাজগুলোর কাযা আদায় করবেন। এভাবে নিয়ত করার কারণ হলো যখন আপনি জীবনের সর্ব প্রথম ফজরের নামাজের কাযা আদায় করে ফেলবেন তখন অটোমেটিক জীবনের দ্বিতীয় ফজরের নামাজ প্রথমে হয়ে যাচ্ছে।

এভাবে জহর, আসর, মাগরীব, ইশা ও বেতরের নামাজ কাযা আদায় করবেন।

তেমনীভাবে রোজার নিয়ত করে কাযা আদায় করবেন অর্থাৎ এভাবে নিয়ত করবেন ‘আমি জীবনের সর্ব প্রথম রোজার কাযা আদায় করছি।’


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
আসসালামু আলাইকুম

‘আমি জীবনের সর্ব প্রথম ফজরের নামাজের কাযা আদায় করছি।’ প্রত্যেকবারই কী এই নিয়তই করতে হবে। কেননা সর্ব প্রথম নামাজের কাযা আদায় করার পর দ্বিতীয় ফজরের নামাজের কাযা এভাবে এগুতে হবে নাকি বারংবার সর্ব প্রথম বলেই নিয়ত করতে হবে
by (62,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
জ্বী হ্যাঁ,  'আমি জীবনের সর্ব প্রথম ছুটে যাওয়া ফজরের নামাজের কাযা আদায় করছি৷' এভাবেই প্রত্যেকবার নিয়ত করবেন৷

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 106 views
0 votes
1 answer 57 views
0 votes
1 answer 192 views
...