আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (49 points)

আসসালামু আলাইকুম 
 

আমি আগে গেম আইটেম বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেছিলাম একসময়। তখন আমি কাস্টমার থেকে টাকাগুলো মোবাইলে রিচার্জ নিতাম। এখন যেই সিমে রিচার্জ নিয়েছিলাম সে সিমে আরও কয়েকবার রিচার্জ করা হয়েছে আমি বা আমার পরিবার দ্বারা। সিমে ১৫০ টাকার মতো ছিল। তখন সিম অনেকদিন বন্ধ ছিল তাই সিম চালু করলে ব্যলেন্স ০ টাকা ছিল। এই ১৫০ টাকার পুরো টাকাকে হারাম পথের ধরবো নাকি নাকি আনুমানিক একটি পরিমাণ হালাল ধরবো কারণ মধ্যে যে রিচার্জ করেছিলাম নিজে বা পরিবারের লোকে। আমি নিজেও সিম ব্যবহার করেছিলাম এবং এতেও কিছু টাকা করছ হয়েছিল।

 

১) এখন জানতে চাই সিম কোম্পানি প্রায় ১৫০ টাকার পরিবর্তে শূন্য টাকা এখন ব্যালেন্স দেখাচ্ছে। এখন কি সিম কোম্পানির সাথে কথা বলে কি দেড়শ টাকা ফেরত নিব নাকি এই টাকা বাদ দিয়ে দিবো এবং ধরে নিব যে যতটাকা আনুমানিক হারাম পথে উপার্জন করেছিলাম ততটাকা থেকে ১৫০ বাদ?

 

২) যদি সিম কোম্পানির সাথে কথা বলে ১৫০ টাকা আমি ফেরত আনার চেষ্টা করি এবং তারা যদি আমাকে সে টাকাটা দিয়েও দেয় তাহলে তো আমি টাকাটা সিম থেকে বের করতে পারবো না,  এই টাকা তখন সিমেই থাকবে এবং আমাকে বাহির থেকে তখন হারাম পথে উপার্জিত অর্থ দান করতে হবে? 

 

৩) আরেকটি ব্যাপারে জানতে চাই গেম আইটেম বিক্রি করে তখন ফোনে অনেকবার কাস্টমার থেকে রিচার্জ নিয়েছিলাম এবং এখান থেকে উপার্জিত অর্থের বেশিরভাগ ব্যবহার করে ফেলছিলাম। বর্তমানে আমি বেকার তবে নিজের কিছু জমানো টাকা আছে। এখন কি করণীয়?

 

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।

 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
 (معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37

যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেটি ফকিরদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে।
(মাআরিফুস সুন্নাহ ১/৩৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সিম কোম্পানির সাথে কথা বলে দেড়শ টাকা ফেরত নিবেন।
যতটাকা আনুমানিক হারাম পথে উপার্জন করেছিলেন,সেটা টাকা দাতের ফিরিয়ে দিবেন। (প্রয়োজনে তাদের মোবাইল রিচার্জ করে দিবেন,বা তাদের বিকাশ নগদ ইত্যাদিতে পাঠিয়ে দিবেন।)
তাদের সাথে কোনোক্রমেই যোগাযোগ সম্ভব না হলে,ঠিকানা মোবাইল নাম্বার কিছুই না তাহলে সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

(০২)
হ্যাঁ, আপনাকে বাহির থেকে তখন হারাম পথে উপার্জিত অর্থ দান করতে হবে।

(০৩)
আপনার জমানো টাকা হতে এখন তাহা এক নং প্রশ্নের জবাব অনুপাতে দান করবেন।
জমানো টাকা শেষ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে টাকা হলে আস্তে-ধীরে দান করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...