জবাবঃ-
(১)
মূসা (আঃ) কিবতী সম্প্রদায়ের একজন লোক কে ঘুসি মেরেছিলেন। এতে লোকটি মারা যায় ।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَدَخَلَ الْمَدِينَةَ عَلَى حِينِ غَفْلَةٍ مِّنْ أَهْلِهَا فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلَانِ هَذَا مِن شِيعَتِهِ وَهَذَا مِنْ عَدُوِّهِ فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِي مِن شِيعَتِهِ عَلَى الَّذِي مِنْ عَدُوِّهِ فَوَكَزَهُ مُوسَى فَقَضَى عَلَيْهِ قَالَ هَذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ عَدُوٌّ مُّضِلٌّ مُّبِينٌ
তিনি শহরে প্রবেশ করলেন, যখন তার অধিবাসীরা ছিল বেখবর। তথায় তিনি দুই ব্যক্তিকে লড়াইরত দেখলেন। এদের একজন ছিল তাঁর নিজ দলের এবং অন্য জন তাঁর শত্রু দলের। অতঃপর যে তাঁর নিজ দলের সে তাঁর শত্রু দলের লোকটির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করল। তখন মূসা তাকে ঘুষি মারলেন এবং এতেই তার মৃত্যু হয়ে গেল। মূসা বললেন, এটা শয়তানের কাজ। নিশ্চয় সে প্রকাশ্য শত্রু, বিভ্রান্তকারী।(সূরা ক্বাসাস-১৫)
মুসা আঃ ইচ্ছাকৃত উক্ত কিবতিকে হত্যা করেননি।মাজুলকে সাহায্য করার জন্যই মূলত তিনি তাকে ঘুষি মেরে সরিয়ে দিতে চাইছিলেন।কেননা তখন কিবতিরা বনি ইসরাঈলের উপর জুলুম-নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চালাতো।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1630
মুসা আঃ মালাকুল মওত ফিরিস্তাকে ঘুসি মেরেছিলেন,এ সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أُرْسِلَ مَلَكُ الْمَوْتِ إِلَى مُوسَى عَلَيْهِمَا السَّلاَم فَلَمَّا جَاءَهُ صَكَّهُ فَرَجَعَ إِلَى رَبِّهِ فَقَالَ أَرْسَلْتَنِي إِلَى عَبْدٍ لاَ يُرِيدُ الْمَوْتَ فَرَدَّ اللهُ عَلَيْهِ عَيْنَهُ وَقَالَ ارْجِعْ فَقُلْ لَهُ يَضَعُ يَدَهُ عَلَى مَتْنِ ثَوْرٍ فَلَهُ بِكُلِّ مَا غَطَّتْ بِهِ يَدُهُ بِكُلِّ شَعْرَةٍ سَنَةٌ قَالَ أَيْ رَبِّ ثُمَّ مَاذَا قَالَ ثُمَّ الْمَوْتُ قَالَ فَالآنَ فَسَأَلَ اللهَ أَنْ يُدْنِيَهُ مِنْ الأَرْضِ الْمُقَدَّسَةِ رَمْيَةً بِحَجَرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَوْ كُنْتُ ثَمَّ لأَ×رَيْتُكُمْ قَبْرَهُ إِلَى جَانِبِ الطَّرِيقِ عِنْدَ الْكَثِيبِ الأَحْمَرِ
তিনি বলেন, মালাকুল মাওতকে মূসা (আঃ)-এর নিকট পাঠানো হল। তিনি তাঁর নিকট আসলে, মূসা (আঃ) তাঁকে চপেটাঘাত করলেন। (যার ফলে তাঁর চোখ বেরিয়ে গেল।) তখন মালাকুল মাওত তাঁর প্রতিপালকের নিকট ফিরে গিয়ে বললেন, আমাকে এমন এক বান্দার কাছে পাঠিয়েছেন যে মরতে চায় না। তখন আল্লাহ্ তাঁর চোখ ফিরিয়ে দিয়ে হুকুম করলেন, আবার গিয়ে তাঁকে বল, তিনি একটি ষাঁড়ের পিঠে তাঁর হাত রাখবেন, তখন তাঁর হাত যতটুকু আবৃত করবে, তার সম্পূর্ণ অংশের প্রতিটি পশমের বিনিময়ে তাঁকে এক বছর করে আয়ু দান করা হবে। মূসা (আঃ) এ শুনে বললেন, হে আমার রব! অতঃপর কী হবে? আল্লাহ্ বললেনঃ অতঃপর মৃত্যু। মূসা (আঃ) বললেন, তা হলে এখনই হোক। তখন তিনি একটি পাথর নিক্ষেপ করলে যতদূর যায় বাইতুল মাক্বদিসের ততটুকু নিকটবর্তী স্থানে তাঁকে পৌঁছিয়ে দেয়ার জন্য আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে নিবেদন করলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি সেখানে থাকলে অবশ্যই পথের পাশে লাল বালুর টিলার নিকটে তাঁর ক্ববর তোমাদের দেখিয়ে দিতাম। (৩৪০৭, মুসলিম ৪৩/৪২ হাঃ ২৩৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১২৫৮)
(২)কুরআনের জাহির বর্ণনার আলোকে বুঝা যায় যে,হযরত খিজির আঃ আল্লাহর নবী ছিলেন।তবে কেউ কেউ আল্লাহর নবী না বলে,নেক বান্দাহ,আল্লাহর ওলী বলেছেন।
তিনি জীবিত না মৃত?
এ প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,তিনি মৃত।হযরত ইসা আঃ এর আগমনের পূর্বেই উনার মৃত্যু হয়েছিলো।