আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in সালাত(Prayer) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম
১.আমি আর আমার স্বামী মাঝেমধ্যে একসাথে নামাজ পড়ি আলহামদুলিল্লাহ।উনি ইমামতী করে আর আমি উনার পাশে দাড়াই।পাশাপাশি বলতে উনার অল্প একটু পেছনে।উনার পাশেই এক কদম পেছনে আমি দাড়াই ডান পাশে।

কিন্তু ইদানীং জেনেছি একদম পেছনে দাঁড়িয়ে ডান পাশে পড়তে হয় স্বামীর।
এখন আমাদের আগের নামাজ গুলো কি হয়নি?নাকি নামাজ হবে কিন্তু জামাতে নামাজ হয়নি।একটু জানাবেন দয়া করে।আমরা ফরজ নামাজ পড়তাম একসাথে।ফজরের,মাগরিব এবং এশার বেশিভাগ পড়া হতো একসাথে।এখন কি করব জানাবেন দয়া করে।


২. রাতে ১০০ আয়াত আমল মাগরিবের পরে যে সুরা ওয়াকিয়া পড়ি সেটা হিসাব ধরা যাবে?নাকি এশার নামাজের পর থেকে যা পড়ব তা হিসাব করব?মাগরিবের পর পড়লে হিসাব করা যাবেনা।


৩. মাথা এবং ঘাড় মাসে কয়বার করব?১ বার করবো?
৪. জীবনে অনেক নামাজ কাযা করেছি এবং নামাজ পড়লেও নামাজে যে মহিলাদের পা ঢাকা লাগে তা জানতাম না।এখন কিভাবে নামাজ গুলো পড়ব?আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবে এই ভুলের কারনে।


৫. অনেকদিন ধরে চেষ্টা করার পরেও সন্তান হচ্ছে না আলহামদুলিল্লাহ। চিকিৎসার পাশাপাশি কি আমল করবো বাচ্চা হওয়ার জন্য??

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/38725/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গে ঘরে জামাতে নামাজ পড়েছি, একবার আমি নবী করিম (সা.)-এর পাশে দাঁড়িয়েছি, আর আয়েশা (রা.) আমাদের পেছনে দাঁড়িয়ে আমাদের সঙ্গে জামাতে শরিক হয়েছিলেন। (সুনানে নাসাঈ, হাদিস : ৮০৩)

যদি কোনো পুরুষ শরিয়ত অনুমোদিত কোনো ওজরবশত মসজিদে যেতে না পারে, তাহলে তার জন্য ঘরের মাহরাম নারীদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়া বৈধ। এ ক্ষেত্রে সবাই জামাতের সাওয়াব পাবে। 

উক্ত সময় স্ত্রীকে নিয়ে জামাত করাই উচিত। 

বুখারি শরিফের একটি হাদিস এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
صَلاَةُ الجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً
‘জামাতে নামাজ আদায় করার ফজিলত একাকী আদায়কৃত নামাজ অপেক্ষা সাতাশগুণ বেশি।’ [সহিহ বুখারি, আয়াত: ৬৪৫]

জামাত করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় হয়, স্বামী সামনে দাঁড়াবে আর স্ত্রী পিছনে দাঁড়াবে। একদম সমান সমান দাঁড়াবে না। যদি একদম বরাবর দাঁড়ায় তাহলে নামায হবে না। যদি স্বামীর পায়ের গোড়ালীর পিছনে দাঁড়ায়, তাহলেই ইক্তিদা সহীহ হবে।

المرأة إذا صلت مع زوجها في البيت إن كان قدمها محل أقدام الزوج لا تجوز صلاتهما بالجماعة، وإن كان قدمها خلف قدم الزوج إلا أنها طويلة تقع رأس المرأة في السجود قبل رأس الزوج جازت صلاتهما؛ لأن العبرة للقدم، (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب الامامة-1/572، البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب الامامة-1/261، الفتاوى التاتارخانية، كتبا الصلاة، الفصل السابع فى بيان مقام الامام والمأموم-1/622)
সারমর্মঃ  
স্ত্রী যখন বাসায় তার স্বামীর সাথে নামাজ আদায় করবে,সেক্ষেত্রে স্ত্রীর পা যদি স্বামীর পায়ের বরাবর হয়ে যায়,তাহলে তাদের নামাজ জায়েজ হবেনা।
তবে স্ত্রীর পা যদি স্বামীর পায়ের পিছনে হয়,তাহলে উক্ত নামাজ জায়েজ হবে।

স্বামী-স্ত্রী উভয়ে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবে। তবে স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে সংলগ্ন না দাঁড়িয়ে পেছনের সারিতে একা দাঁড়াবে। অপারগতায় ডান পাশে একটু পেছনে সরে দাঁড়ালেও নামাজ হয়ে যাবে। তবে স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে সমান হয়ে দাঁড়াতে পারবে না, কারণ এতে উভয়ের নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ১/৫৭২)

★যদি কোনো পুরুষ শরিয়ত অনুমোদিত কোনো ওজরবশত মসজিদে যেতে না পারে, তাহলে তার জন্য ঘরের মাহরাম নারীদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়া বৈধ।
এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী জামাত করলে স্ত্রী ডান দিকে একটু পিছনে দাঁড়াবে।
পেছনের সারিতে একা দাঁড়ালে ভালো।

নফল সুন্নাতও কোনো সময় জামাতে পড়া যাবে,তবে অভ্যস্ত হওয়া যাবেনা।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনাদের নামাজ হয়েছে।
তবে আপনার স্বামীর জন্য এভাবে মসজিদ ত্যাগ করে বাসায় নামাজ পড়া জায়েজ হয়নি।
এর জন্য তার শক্ত গুনাহ হয়েছে।

(০২)
সুরা ওয়াকিয়া হিসাবে ধরা যাবে।

(০৩)
একবার করবেন।

(০৪)
এক্ষেত্রে যে নামাজ গুলো একেবারেই আদায় করেননি,সেগুলোর আনুমানিক একটি হিসাব কষে আস্তে-ধীরে কাজা আদায় করে নিবেন।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

যেসব নামাজে পা ঢাকেননি,সেই নামাজ গুলি আদায় হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

(০৫)
প্রতিনিয়ত নিম্নোক্ত দোয়াগুলি পাঠ করবেনঃ-

رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء
হে, আমার পালনকর্তা! আপনার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (সূরা আল-ইমরান ৩৮)

رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
‘হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান করুন।’ (সূরা সাফফাত ১০০)

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
‘হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের জীবনসঙ্গীর পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান দান করুন এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ দান করুন।’ (সূরা ফুরকান ৭৪)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...