বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻓﻲ ﺑﻴﺘﻬﺎ ﺃﻓﻀﻞ ﻣﻦ ﺻﻼﺗﻬﺎ ﻓﻲ ﺣﺠﺮﺗﻬﺎ ﻭﺻﻼﺗﻬﺎ ﻓﻲ ﻣﺨﺪﻋﻬﺎ ﺃﻓﻀﻞ ﻣﻦ ﺻﻼﺗﻬﺎ ﻓﻲ ﺑﻴﺘﻬﺎ"
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,‘ক্ষুদ্র কক্ষে নারীদের নামাজ বড় কামরার নামাজের তুলনায় উত্তম।ঘরের নির্জন কোণে নামাজ ক্ষুদ্র কক্ষের নামাজের তুলনায় উত্তম।(সুনানু-আবু-দাউদঃ৫৭০,সুনানু তিরমিযি-১১৭৩)
মহিলাদেরকে নিজ ঘরে নামায পড়ার প্রতি উৎসাহিত করে এ জাতীয় আরো বহুসংখ্যক হাদীস বর্ণিত রয়েছে। এ জন্য জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম মহিলাকে ঘরের নির্জন স্থানে নামায আদায় করার পরামর্শ দেন।
ইমাম আবু- হানিফা বলেন,বর্তমান ফিৎনার সময়ে মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে নামায পড়া মাকরুহে তাহরীমি।তথা নামায আদায় হয়ে যাবে তবে মাকরুহে তাহরিমী হবে।
প্রয়োজন বশত যেমন সফরের হালতে রাস্তার পাশে নারী-পুরুষ এর জন্য পৃথক পৃথক ব্যবস্থায় নির্মিত মসজিদে মহিলাদের জন্য নামায পড়ার অনুমতি রয়েছে।এমনকি অন্য কোনোভাবে নামায পড়া সম্ভব না হলে তখন সেখানে নামায পড়ে নেয়াই কাম্য।কেননা জামাতে নামায পড়া মূলত নিষেধ নয়।বস্তুত নিষেধের কারণ হল পর্দা এবং ফিৎনার আশংকা।
এবার মূল আলোচনায় আসা যাক-
মহিলাদের জন্য শেষ কাতারে দাড়ানোর হুকুম যেহেতু ফিৎনার আশংকার কারণেই এসেছিলো।এখন যেহেতু নামাযের স্থান আলাদা।যেখানে পুরুষ মহিলাকে দেখতে পারবে না।তাই মহিলা তাদের নামাযের স্থানের প্রথম কাতারে দাড়াবে।নতুবা ইমাম এবং মহিলাদের মধ্যখানে অনেক ফাঁক থেকে যাবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ