আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,174 views
in সালাত(Prayer) by (45 points)
১)ফজর, যোহর, আসর, কাযা হয়েছে তাহলে মাগরিবের নামায আগে আদায় করব নাকি কাযা গুলু আগে আদায় করব।

২)প্রত্যেক কাজা নামাযে কি ইকামাত দিতে হবে।

৩)একাকি নামাযে সেটা যদি কাযা না হয় কি ইকামত দিতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কাজা নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাক্তি যদি সাহেবে তারতিব হয়,তাহলে অন্য ওয়াক্ত আসার আগেই আদায় করে নিতে হবে। 

আর যদি ব্যাক্তি সাহেবে তারতিব না হয়,তাহলে সে জামাআতের সাথেই শরীক হবে।
পরবর্তীতে কাজা নামাজ আদায় করবে।

সাহেবে তারতিব সংক্রান্ত জানুন

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى

অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)

আল ইখতিয়ার ১/৭০ তে আছে

'( ويقضي الفائتة إذا ذكرها كما فاتت سفرًا أو حضرًا )؛ لقوله عليه الصلاة والسلام: من نام عن صلاة أو نسيها فليصلها إذا ذكرها، فإن ذلك وقتها لا وقت لها غيره، و قوله كما فاتت لأن القضاء يحكي الأداء . قال : ( يقدمها على الوقتية إلا أن يخاف فوتها ، ويرتب الفوائت في القضاء)."
(1/70)
সারমর্মঃ সে আগে তার কাজা নামাজ আদায় করবে।  

ফাতাওয়ায়ে শামী ২/৬৪ তে আছে
باب قضاء الفوائت ( الترتيب بين الفروض الخمسة والوتر أداء وقضاء فرض عملي ) بمعنى ما يفوت الجواز بفوته قد مر مرارًا يعني أن الكل إن كان فائتًا لا بد من رعاية الترتيب بين الفروض الخمسة ، وكذا بينها وبين الوتر ، وكذا إن كان البعض فائتا والبعض وقتيا لا بد من رعاية الترتيب فيقضي الفائتة قبل الوقتية."(2/65)
সারমর্মঃ তার জন্য তরতিব ঠিক রেখে কাজা নামাজ আদায় করা জরুরী। 


জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144004200580 নং এবং 144110200122
 নং ফতোয়াতে এমনটিই উল্লেখ রয়েছে। 

ومن فاتته صلاة قضاها اذا ذکرها وقدمها علی فرض الوقت والاصل فيه ان الترتيب بين الفوائت وفرض الوقت عندنا مستحق وعند الشافعي رحمه اﷲ مستحب لان کل فرض اصل بنفسه فلا يکون شرطا لغيره ولنا قوله عليه الصلاة والسلام من نام عن صلاة او نسيها فلم يذکرها الا وهو مع الامام فليصل التي هو فيها ثم ليصل التي ذکرها ثم ليعد التي صلی مع الامام ولو خاف فوت الوقت يقدّم الوقتیة ثم يقضيها لان الترتيب يسقط بضيق الوقت وکذا بالنسيان وکثرة الفوائت کيلا يودّي الی تفویت الوقتیة ولو قدم الفائتة جاز لان النهي عن تقديمها لمعنی في غيرها بخلاف ما اذا کان في الوقت سعة وقدّم الوقتية حيث لا يجوز لانه اداها قبل وقتها الثابت بالحديث ولو فاتته صلوات رتبها في القضاء کما وجبت في الاصل لان النبي عليه الصلاة والسلام شغل عن اربع صلوات يوم الخندق فقضاهن مرتبا ثم قال صلوا کمارايتموني اصلي الا ان تزيد الفوائت علی ست صلوات لان الفوائت قد کثرت فيسقط الترتيب فيما بين الفوائت نفسها کما سقط بينها وبين الوقتية وحد الکثرة ان تصير الفوائت ستا الخروج وقت الصلاة السادسة وهو المراد بالمذکور في الجامع الصغير وهو قوله وان فاتته اکثر من صلاة يوم وليلة اجزاته التي بدابها لانه اذا زاد علی يوم وليلة تصير ستا وعن محمد رحمه اﷲ انه اعتبر دخول وقت السادسة والاول هو الصحيح لان الکثرة بالدخول في حد لتکرار وذلک في الاول

ابو حسن علي بن ابي بکر المرغیناني، الهدایة شرح البدایة، 1: 72،73، المکتبة الاسلامیة
کمال الدین، شرح فتح القدیر، 1: 490، 491، دار الفکر بیروت
ابن عابدین شامي، ردالمحتار، 2: 62، دار الفکر للطباعة والنشر بیروت
ابن نجیم، البحر الرائق، 2: 92، 93، دار المعرفة بیروت
الشیخ نظام وجماعة من علماء الهند، الفتاوی، الهندیة، 1: 112 دار الفکر
সারমর্মঃ কাহারো কোনো নামাজ কাজা হলে আগে সেটিই আদায় করতে হবে।
তারপর ওয়াক্তের নামাজ আদায় করবে। 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি সাহেবে তারতিব হয়,তাহলে সে মাগরীবের জামাতে শরীক হবেনা।
বরং সে ফজর, যোহর, আসর, এর কাযা সিরিয়াল ঠিক রেখে আগে আদায় করবে।
তারপর মাগরীবের নামাজ আদায় করবে।
,
আর যদি সে সাহেবে তারতিব না হয়,তাহলে সে মাগরীবের জামাতে শরীক হবে।
তারপর সে কাজা আদায় করবে।
চাইলে পরবর্তীতেও তাহা আদায় করতে পারে।  

   
(০২)

শরীয়তের বিধান হলো যদি একাধিক কাজা নামাজ একত্রে আদায় করে,তাহলে প্রথমটার জন্য আযান ইকামত উভয়টিই আদায় করবে।
এর পরের গুলোর জন্য আযান দেওয়া না দেওয়া তার ইখতিয়ার। 
চাইলে দিতেও পারে,নাও দিতে পারে।
তবে প্রত্যেক কাজা নামাজের জন্য ইকামত দিবে।   
(নাজমুল ফাতওয়া ২/১২৭)

لمافی مجمع الانھر(۱۱۴/۱): (وکذا) یؤذن ویقیم (لاولی الفوائت وخیرفیہ للبواقی) ان شاء اذن واقام وان شاء اقام فقط،ھذااذاکان فی مجلس واحدوامااذاکان فی مجالس فانہ یشترط کلاھماکمافی المستصفی۔
সারমর্মঃ চাইলে সে শুধু ইকামত দিতে পারে।   

لمافی الھندیۃ (۵۵/۱): ومن فاتتہ صلاۃ فی وقتھا فقضاھا أذن لھا وأقام واحدا کان اوجماعۃ ھکذا فی المحیط وإن فاتتہ صلوات أذن للاولی وأقام وکان مخیرا فی الباقی إن شاء أذن وأقام وإن شاء اقتصر علی الاقامۃ کذا فی الھدایۃ وإن أذن وأقام لکل صلاۃ فحسن… والتخییر فی البوا قی إنما ھو إذا قضاھا فی مجلس واحد اما إذا قضاھا فی مجالس فیشترط کلاھما۔
সারমর্মঃ  একাধিক কাজা নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে  প্রথমটার জন্য আযান ইকামত উভয়টিই আদায় করবে।
এর পরের গুলোর জন্য আযান দেওয়া না দেওয়া তার ইখতিয়ার। 

وفی الدرالمختار(۳۹۰/۱):( و) یسن أن( یؤذن ویقیم لفائتۃ)…( وکذا) یسنان (لاولی الفوائت) لالفاسدۃ (ویخیر فیہ للباقی) لوفی مجلس وفعلہ اولی ویقیم للکل۔
 সারমর্মঃ কাজা নামাজের জন্যেও আযান ইকামত দেওয়া সুন্নাত।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রত্যেকটি কাজা নামাজের জন্য ইকামত দেওয়া সুন্নাত।
    
(০৩)
যদি একাকী কোনো নামাজ আদায় করা হয়,
উত্তম হলো তার জন্যেও আযান ইকামত দেওয়া।
(নিজামুল ফাতওয়া ৫/৮৭)

যদি মহল্লার মসজিদে আযান হয়ে থাকে,তাহলে সে শুধু ইকামত দিবে।
 
فتاویٰ ہندیہ،ج:۱، ص:۵۳۔  والضابطۃ عندنا ان کل فرض ادائً کان اوقضاء یؤذن لہ ویقام سواء اداہ منفرداً اوبجماعۃٍ الخ 
সারমর্মঃ প্রত্যেক নামাজ চাই সেটা আদায় নামাজ হোক,বা কাজা নামাজ হোক,একাকী হোক বা জামাআত  গত ভাবেই আদায় করুক।
আযান এবংং ইকামত দিতে হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও ইকামত দেওয়া সুন্নাত।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 373 views
0 votes
1 answer 362 views
0 votes
1 answer 143 views
...