আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
প্রশ্ন ১) আমার বিয়ের আগ দিন অর্থাৎ ৫ তারিখ পর্যন্ত আমার পিরিয়ড ছিলো ৬ তারিখ থেকে আমি সুস্থ আর নামাজ পরা শুরু করেছিলাম বিয়ের এক সপ্তাহ পর আমি বার্থ কন্ট্রোল এর জন্য ইমার্জেন্সি পিল নিয়েছিলাম ফলে তারপরের দিন ই আমার আবার পিরিয়ড হয়েছিলো তাই ব্লাড সম্পন্ন অফ হওয়া পর্যন্ত আমি কয়েকদিন নামাজ পরি নি মানে পিরিয়ড হিসেবেই ধরে নিয়েছিলাম আমার প্রশ্ন হলো আসলেই কি ওইটা পিরিয়ড ছিলো? জানি পিলের কারনে হয়েছে তারপর ও ওই অবস্থায় কি আমার নামাজ পরা অফ রাখা যায়েজ ছিলো? নাকি আমাকে এখন কাজা নামাজ পরতে হবে তখন অফ রাখার কারনে? এক সপ্তাহ ব্যবধানে পিরিয়ড হওয়ায় (যদিও পিলের কারনে) কি নামাজ অফ রাখা যায়? আর যদি নামাজ ওই অবস্থায় পরতে হয় তাহলে কি প্রতি ওয়াক্তেই ফরজ গোসল করতে হবে যেহেতু ব্লিডিং হয়?

প্রশ্ন ২) আমার মসিক পিরিয়ড শেষ হবার এক সপ্তাহ পর আবার পিরিয়ড হয় লাস্ট ৩ দিন ধরে ব্লিডিং হচ্ছে। আমার এ অবস্থায় কি করা উচিত? সলাহ আদায় করবো নাকি অফ রাখবো? আর সলাহ আদায় করতে হলে কি আমাকে প্রতি ওয়াক্তেই ফরজ গোসল করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔
দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৫)
:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে
 দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে। (তাতারখানিয়া-১/৩২১)
وأقل الطہر بین الحیضتین أو النفاس والحیض خمسة عشر یوماً ولیالیہا إجماعاً (درمختار: ۱/۴۷۷، ط: زکریا دیوبند) 
والناقص عن أقلہ والزائد علی أکثرہ أو أکثر النفاس أو علی العادة وجاوز أکثرہما ․․․․․․ استحاضة ۔ (المصدر السابق)
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমার থেকে কম বা বেশি,নেফাসের 
সর্বোচ্চ সীমার থেকে বেশি ইস্তেহাজা।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এক হায়েয শেষ হওয়ার ১৫ দিন পূর্বে আবার রক্তস্রাব আসলে সেটা হায়েয বলা যায় না বরং সেটা ইস্তেহাযা। সুতরাং আপনি ঐ সময় নামায রোযা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...