আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
1,039 views
in সালাত(Prayer) by (38 points)
আসসালামু আলাইকুম। যদি অসুস্থতার কারণে বিতর ও ফযর কাযা হয়ে যায়। এমন মূহুর্তে তো বিতরের কাযা ৪ রাকাত আদায় করতে হয়। কিন্তু যদি বেশি অসুস্থতার কারণে শুধু ফযরের কাযা করা হয় তাহলে কি তা কবুল হবে? কারণ, এক জায়গায় পড়েছিলাম কাযা সালাত থাকলে কোনো ওয়াক্তিয়া সালাত কবুল হয় না।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  
,
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি সাহেবে তরতিব হয়,তাহলে তাহলে তার জন্য উল্লিখিত ছুরতে বিতির নামাজের কাজা আগে আদায় করতে হবে।
তারপর ফরজ নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
আগেই যদি ফরজ নামাজের কাজা আদায় করে,তাহলে বিতির নামাজ এর কাজা আদায় করার পর সেই নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।     
আর যদি সাহেবে তারতিব না হোন,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।

আপনি এখন ফজরের কাজা আদায় করলেন,পরে যেকোনো সময় সুযোগ সুবিধা মোতাবেক ফজরের   কাজা আদায় করতে পারবেন।
    
,
★সাহেবে তারতীব কাকে বলে?
কোন ব্যক্তির যিম্মায় যদি ৬ ওয়াক্ত নামাযের কম কাযা হয়, তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে ফিক্বহী পরিভাষায় “সাহেবে তারতীব” তথা এরকম ব্যক্তি বলা হয়, যার উপর সিরিয়াল ঠিক রাখা আবশ্যক হয়। অর্থাৎ যে নামায আগে কাযা হয়েছে, তা আগে আদায় করা আবশ্যক, পরেরটা পরে। সেই হিসেবে কাযা নামায আদায় করার আগেই যদি অন্য নামাযের সময় হয়ে যায় তাহলে প্রথমে কাযা আদায় করা আবশ্যক। তারপর বর্তমান আসা নামায আদায় করবে।

আর যদি ৬ ওয়াক্ত থেকে বেশি নামায কাযা হয়ে থাকে। তাহলে তারতীব বা সিরিয়াল রক্ষা করা জরুরী নয়। সুতরাং সে কাযা আদায় না করেই নতুন আসা ওয়াক্তি নামায পড়তে পারবে।

আপনার যিম্মায় যদি ৬ ওয়াক্তের কম নামায কাযা হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বিতির নামাজের কাযা আদায় করা ছাড়া ফজরের কাজা  ঠিক হবেনা। বরং আগে ব
বিতিরের কাযা আদায় করতে হবে।

আর যদি ৬ ওয়াক্তের বেশি কাযা হয়ে থাকে, তাহলে কাযা আদায় না করেই পরবর্তি নামায আদায় করা জায়েজ হবে।

فى رد المحتار-الترتيب بين الفروض الخمسة والوتر أداء وقضاء لازم ) يفوت الجواز بفوته

للخبر المشهور من نام عن صلاة……. ( إلا ) استثناء من اللزوم فلا يلزم الترتيب …… ( أو فاتت ست اعتقادية ) لدخولها في حد التكرار المقتضي للحرج ( بخروج وقت السادسة ) على الأصح ولو متفرقة)رد المحتار-كتاب الصلاة، باب شروط الصلاة، -2/523-527)

ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/১২১
বাদায়েউস সানায়ে’-১/৫৬০-৫৬৩

فى تنوير الأبصار- وكذا حكم الوتر
وقال ابن عابدين، لأنه فرض عملى عنده (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب قضاء الفوائت-2/73، سعيد)
বিতর নামায আদায় করা ফরবে আমালি। তাই এটি কাযা হয়ে গেলে পড়ে কাযা আদায় করতে হবে।

ذهب الحنفية إلى أن من طلع عليه الفجر ولم يصل الوتر يجب عليه قضاؤه، سواء أتركه عمدا أم نسيانا وإن طالت المدة، ومتى قضاه يقضيه بالقنوت. فلو صلى الصبح وهو ذاكر أنه لم يصل الوتر فصلاة الصبح فاسدة عند أبي حنيفة لوجوب الترتيب بين الوتر والفريضة 

হানাফি মাযহাব মতে যদি কারো সামনে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায,এবং সে বিতির পড়তে না পারে,তাহলে তার উপর বিতিরের কা'যা ওয়াজিব।চায় সে ইচ্ছাকরে বিতিরকে কা'যা করুক বা অনিচ্ছায় কা'যা হোক।চায় কা'যা হওয়ার পর অনেক লম্বা সময় অতিবাহিত হয়ে যাক।যখনই কা'যা করা হবে, তখন কুনুত সহ কা'যা করা হবে।যদি বিতির কা'যা হয়েছে,সেটা স্বরণে থাকা সত্তেও কেউ ফজরের নামায পড়ে নেয়,তাহলে ইমাম আবু-হানিফার মাযহাবমতে তার ফজর ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা বিতির এবং ফরয নামাযের মধ্যে তারতিব ওয়াজিব(তবে যদি সে সাহেবে তারতিব না হয়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না)

(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৭/৩০১)
আহসানুল ফাতাওয়া-৪/১৮
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৩৬৬

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিতিরের কা'যা নিয়ে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।হানাফি মাযহাব অনুযায়ী বিতিরের কাযা তিন রাকাতই আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 296 views
...