আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
আস্সালামুআলাইকুম হুজুর পূর্বের ৩ টি প্রশ্নের উত্তর এখনো পাইনি!! হুজুর আপনারাতো সব সময় ভালো কাজ করেন,,,যারা আগে প্রশ্ন করে,,তাদের উত্তর পাবার হক তো আগে হুজুর! আপনারা দয়াকরে উত্তর দেওয়ার সময়ে আগে পূর্বের প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়ে ,পরে নতুন প্রশ্নের উত্তর দিবেন ! যেহেতু অনেকের উত্তরের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে ,সেহেতু যার প্রশ্ন আগে করা হয়েছে ,দয়াকরে তারটা আগে উত্তর দিবেন !

 কিছু বলে ফেল্লে ,আমাকে দয়াকরে মাফ করে দিন !

আমাকে কোনো হাদিসের বেখ্যা দিতে হবেনা হুজুর! প্রশ্ন বড় করবার জন্য দুঃখিত হুজুর ! ক্ষমা করবেন ! শুধু এক কথায় উত্তর দিলেই হবে ,

1.হুজুর আমার মামাতোভাই বয়স ১৪ বছর কিন্তু সে এখনো আমাকে ভাইয়া ডাকে ,আমি যদিও ওর বোন কিন্তু ছোট বেলা থেকেই ভাইয়ের মতোই ওদেরকে আমি বোরো করেছি ,আমার বয়স ২১,,ফেতনা সৃষ্টি হবার কোনো সম্ভাবনাই নেই হুজুর ,,এমতাঅবস্থায়ও কি আমার ওর সামনে পূর্ণ পর্দা করা ফরজ !?

2.হুজুর আমরা যেখানে ভাড়া থাকি ,এখানে একটা অটিস্টিক ছেলে আছে,,বয়স ১৫/১৬ হবে,,,আমি যখন থেকেই এসেছি আমি ওকে সব সময় ভাইয়া বলে ডেকে এনে চকলেট,দেই ,টাকা দেয় মাঝে মাঝে ,আরো খাবার দেয় ,ওয় ও আমাকে বোরো বোন হিসেবে খুব ভালোবাসে ,সব সময় আপু আপু করে ,হুজুর আমার ওকে খুব ময় লাগে ,,,কিন্তু আমি যেহেতু ওর নিজের বোন নই তবে ওর মধ্যে যৌন কোনো ধারণা,বুঝ এগুলো আছে বলে আমার মনে হয়না ,,,এমতাবস্থায় আমার কি তার সামনেও পূর্ণ পর্দা ফরজ !?

3.হুজুর আমি যেদিন পরিবারে আছি,আমার মা নামাজও পড়েন না,,সব সময় ওড়না ছাড়া থাকেন ! নাউযুবিল্লাহ ,,আমার মা বাহিরে মাথায় ও কাপড় দিয়ে যায়না ,,,আমি নামাজের কথা ,,এবং অন্নান্ন উপদেশ দিলে খুবই রেগে যান এবং বকাবকি করেন ,,ইদানিং মাঝে মাঝে সালাত আদায় করেন ইচ্ছে হলে,,কিন্তু খুবই উদাসীন ,,হুজুর আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ,,,ছোট বেলা থেকেই বেদ্বীন পরিবারে বোরো হয়েও ছোট বেলা থেকেই আল্লাহকে খুব ভয় পেতাম ,,,মৃত্যু ,জান্নাত ,জাহান্নাম , আমার ছোটোবেলাথেকেই আমাকে খুবই প্রভাবিত করে এগুলো। ...হুজুর আমারনা খুব কষ্ট হয় আমার বাবা ,মা ,ছোটভাই ,,আমি সবাইকে নিয়ে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চাই!! আমি কি করবো হুজুর !? আমিযে আমার বাবা,মা ,ভাইকে খুব ভালোবাসি ,,,আমি কোনোদিন বাবামায়ের শাস্তি মেনে নিতে পারবোনা ,,,আমার মাঝে মাঝে মনেহ আল্লাহ আমাকে কেন দ্বীনি পরিবারের মেয়ে করে পাঠালেন না ! তাহলে হয়তো আমি আরো ভালোভাবে দিন পালন করতে পারতাম ,,হুজুর ,,আমার খুব ইচ্ছে করে যে আমি অনেক দূরে কোথাও চলে গিয়ে এক থাকি ,,,আমার মা বাবার আশা যে আমি চাকুরী করবো ,,আমি চাই পাপ থেকে বেঁচে থাকতে ,,তাই আমি ঘরে বসে উপার্জন করা যাবে এরকম পেশা softwere ইঞ্জনিয়ারিং কে বেঁচে নিয়েছি ,,মায়ের ইচ্ছা আমি যেন তাকে বাড়ি বানিয়ে দেই,,,হুজুর আমিযে জব করছি ,প্রতিদিন ২ বেলা নন মাহরামদের সাথে মিটিং এ কথা বলতে হয়,,কণ্ঠের পর্দা করতে পারিনা ,,তবে হুজুর ,,আমার দুনিয়ার বাড়ি ঘর চাওয়া পাওয়া বলতে কিচ্ছু নেই ,,,আমি শুধু চাই বাবামায়ের আশা পূরণ করে তাদের দুঃখ দূর করে যত গরিব দুঃখী আছেন সবাইকে সাহায্য করতে ,,ফ্রীতে দ্বীনী শিক্ষার বেবস্থা করে দিতে,,আমার বয়স ২০..আমি একই মায়ের বোরো মেয়ে,৭ বছরের একটা ভাই আছে শুধু ,,আমার সৎ বাবা উনিও হারাম উপার্জন করেন ,,হুজুর আমার খুব ইচ্ছে করে এক দূরে কোথাও চলে যেতে ,,দুনিয়ার মোহো আমার অনেক আগে থেকেই কেটে গিয়েছে আমি জানি সবই বৃথা ,,কিন্তু তারা তো তা বুঝেনা ,,হুজুর আমার চাকুরিও করতে ইচ্ছে করেন ,,সারাজীবন শুধু আল্লাহর ইবাদাত করতে ইচ্ছা করে ,,আবার বিয়ের কথা আমার ভাবাও যাবেনা ,,কারণ আমার অনেক দায়িত্ব,,আমার বাবা মা বিয়ে দিবেনওনা,,হুজুর আমারো ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গীর কথা ভাবলে খুব ভয় হয় ,,যদি সেখানে গিয়ে ভালোভাবে দিন পালন করতে না পারি ,যদি প্রকৃত দ্বীনদার কাওকে না পাই ,,যদি সন্তান সন্ততিদেরকে ভালোভাবে দ্বীনী শিক্ষায় লালন পালন করতে না পারি ,,তাহলেতো জাহান্নাম আমার আরো নিকটে !  আমি চাই বিয়ে না করে সারাজীবন এক থাকতে ,,কিন্তু ইদানিং আবার আমার আরেক সমস্যা হচ্ছে ,,,আমি নিজের শারীরিক কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করি ,,আবার আমার খুব সাজতে ইচ্ছে করে ,,আরো অনেক আজি বাজে চিন্তা আসে মাথায় স্বামী নিয়ে ,,,কিন্তু আমি বিয়েও করতে চাইনা ,,কিন্তু আবার খুব ইচ্ছে হয় আমাকে সাজুগুজু অবস্থায় কেউ দেখুক,,আরো অনেক কিছু কল্পনা আসে ,,,হজুর এমনকি কোনো পুরুষের কণ্ঠ,চেহারা তেও আকৃষ্ট হয়ে যাই ,নাউযুবিল্লাহ ,,হুজুর তখন তাকে নিয়ে অনেক কল্পনা চলে আসে ,বিয়ে ,বিয়ের পরবর্তী সময়গুলো,,সংসার ,আরো অনেক কিছু ,,হুজুর আমার কি তাহলে অন্তরের যেন হয়ে যাচ্ছে !? হুজুর আমি কি করবো !? কিভাবে বাঁচবো !? আমিও চাই শুধুমাত্র একজনকে পবিত্র , হালাল ভাবে পেয়ে তাকে নিয়েই ভাবতে ,,,কিন্তু আবার সারাজীবন একাও থাকতে চাই ,,,হুজুর,,আমাকে বাবা ,মা সবাই ছোটবাচ্চা মনে করেন ,আমাসদের বংশের সব মেয়েরা উচ্চ শিক্ষিত হয়ে চাকুরী করার পরে বিয়ে করে,,কিন্তু আমায় তো ধৈর্য ধরে কল্পনা না করে থাকতে পারছিনা ! কোনোকাজ মন দিয়ে করতে পারছিনা ,সালাতেও ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারছিনা ,খালি জীবনসঙ্গীর কল্পনা আসে ,তার কথা মনে হয় ,, হুজুর আমি কি করলে আমার দ্রুত বিয়ে হয়ে যাবে !? প্রকৃত দ্বীনদার,যে আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য সবথেকে উত্তম হবে ,যার সাথে থাকলে আমি কঠোরভাবে দ্বীন মেনে চলতে পারবো ,যার সাথে থাকলে আমি সহজেই জান্নাতে যেতে পারবো কিভাবে এমন জীবনসঙ্গী পাবো হুজুর ,কিভাবে দ্রুত আমার বিয়ে হবে হুজুর ,,,সব কিছুই অসম্ভব মনে হচ্ছে ,,আল্লাহ তো সব কিছুই সম্ভব করতে পারেন ,,আমি কি করবো হুজুর !?
4.https://ifatwa.info/90354/

5.https://ifatwa.info/90270/

6.https://ifatwa.info/90247/

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠]

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١]

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

উক্ত আয়াত সমূহে পরিস্কার ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। যা পরিস্কার ভাষায় জানাচ্ছে যে, প্রয়োজন ছাড়া মেয়েদের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়।

দ্বীনী বা বৈধ কোনো প্রয়োজনীয় বিষয় থাকলে পর্দার আড়াল হতে কথা বলবে,ও কম কথায় শেষ করে নিবে। অযথা কথা বলা হারাম।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. সাধারণত ১৪ বছরের ছেলে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। বিধায় তার সামনে পর্দা করা আপনার জন্য ফরজ। পর্দা ছাড়া তার সাথে দেখা করা জায়েয নেই।

২. জ্বী আপনি তার সামনেও পূর্ণ পর্দা করবেন।

৩. যত দ্রুত সম্ভব আপনি বিয়ে করার চেষ্টা করুন। আল্লাহ চাহে তো সব সমস্যা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। মনে রাখতে হবে যে, সব মানুষের প্রত্যাশা একজন নেককার জীবনসঙ্গী।প্রত্যক নারীই উত্তম স্বামী আর প্রত্যক পুরুষই নেককার স্ত্রীর আকাঙ্খা করেন।এই আকঙ্খা পূরণে একমাত্র  আল্লাহর উপর ভরসা ও দোয়ার বিকল্প কিছু নেই।

আল্লাহ তা আলা কোরআনুল কারীমে বলেন,

 اَلۡخَبِیۡثٰتُ لِلۡخَبِیۡثِیۡنَ وَ الۡخَبِیۡثُوۡنَ لِلۡخَبِیۡثٰتِ ۚ وَ الطَّیِّبٰتُ لِلطَّیِّبِیۡنَ وَ الطَّیِّبُوۡنَ لِلطَّیِّبٰتِ ۚ اُولٰٓئِکَ مُبَرَّءُوۡنَ مِمَّا یَقُوۡلُوۡنَ ؕ لَهُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ رِزۡقٌ کَرِیۡمٌ ﴿۲۶﴾ا

দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য। আর সচ্চরিত্রা নারীরা সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষরা সচ্চরিত্রা নারীদের জন্য; লোকেরা যা বলে, তারা তা থেকে মুক্ত। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিয্ক।

এমনকি আল্লাহ তা আলা উত্তম স্ত্রী পাওয়ার দোয়াও শিখিয়ে দিয়েছেন, যা প্রতিনিয়ত পাঠ করলে আল্লাহ তা আলা তার জন্য নেককার স্ত্রীল ব্যবস্থা করে দিবেন।

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দাও।’ (সুরা ফুরক্বান : আয়াত ৭৪)

যারা মহান আল্লাহর কাছে উত্তম জীবনসঙ্গী লাভের প্রত্যাশা করে, তাদের উচিত মহান আল্লাহর কাছে তারই শেখানো ভাষায় আবেদন করা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনুল কারিমে বান্দাকে উত্তম স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান লাভের দোয়া শিখিয়েছেন। যেসব স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান একে অন্যের চোখকে শীতল করবে।

কুরআনুল কারিমের এ আয়াতের আমলে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক পুরুষকেই এমন উত্তম স্ত্রী ও সন্তান দান করবেন, যাদের দেখে পুরুষদের মন শান্ত হয়ে যাবে।

পক্ষান্তরে যে সব নারী এ দোয়ার আমল করবে, আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা সেসব স্ত্রীদেরকেও নয়নজুড়ানো স্বামী ও সন্তান দান করবেন।

আরো জানুন: https://ifatwa.info/user/79253/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...