আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by

আস্সালামুআলাইকুম হুজুর,,, আমাকে কোনো হাদিসের বেখ্যা দিতে হবেনা হুজুর! প্রশ্ন বড় করবার জন্য দুঃখিত হুজুর ! ক্ষমা করবেন ! শুধু এক কথায় উত্তর দিলেই হবে ,,

 

জানিনা এরকম প্রশ্ন করা ঠিক কি না ,কিন্তু আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে ,হুজুর আমি আগে গান করতাম ,আল্লাহ মাফ করুক! আমি সব সময় ফার্স্ট /সেকেন্ড হতাম ,তো দিনের বুঝ আসার পর আমি গান ছেড়ে দিয়েছি আল্লাহর রহমতে ,কিন্তু মাঝে মাঝে খুব শুনতে ইচ্ছে করে,আজকেও শুনতে ইচ্ছে করছিলো আমি তখন মনে মনে বললাম আহারে শয়তান ! আমাকে পথভ্রষ্ট করে ,আমাকে জাহান্নামে নিয়ে গিয়ে তোর কি লাভ বলতো!? তুই তো সবই জানিস,তোর কি ভয় হয়না !? তুই কি আল্লাহর পথে ফিরে আসাবিনা !? তুই তো জানিস যে তোকে অনন্তকাল জাহান্নামে থাকতে হবে তোর কি নিজেকে নিয়ে শঙ্কা হয়না !? শুধু শুধু নিজেও জাহান্নামে জাবি আর আমাকে সহ দুনিয়ার সকল মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছিস !!! কি লাভ তোর বলতো !? আজকে যদি তুই এমন না করতি তাহলে আমরা কত সহজেই জান্নাতে যেতে পারতাম ! সারাজীবন আল্লাহর আদেশ পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পারতাম ! আমি তোর কি ক্ষতি করেছি বলতো !?? আমি এভাবে বলতে বলতে কান্না করে দেই। .. )আমিযে শয়তান কে এভাবে বলি ও কি শুনতে পায় !? এভাবে শয়তানের সাথে কথা বলাকী পাপ !? এটাওকি শয়তানেরই ওয়াসওয়াসা ? আর এই শয়তান কি কোনোদিন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাবেনা ?

 

)জাহান্নামে শাস্তি দেওয়ার জন্য যারা নিযুক্ত থাকবে তারাওকি জাহান্নামী !? একজন পাপিবেক্তি রক্তের সমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকবে আর উঠে আসার চেষ্টা করলেই আরেকজন লোক লোহার কঙ্কর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করবে তখন সে আবারো নিজের জায়গায় ফিরে যাবে ,শাস্তি দেওয়ার দায়িত্বে যারা থাকবে তারাকি জান্নাতে যেতে পারবেনা !? তারাকি সারাজীবন আল্লাহর এই কাজে নিয়োজিত থাকবে !? তাদেরকি কোনো পুরুস্কার আছে !?

 

) হায়েজের দিন গুলোতে আমি খুব ভালোভাবে অনুভব করি যে আমি আল্লাহর কাছ থেকে খুবই দূরে আছি ,হায়েজের সময় আল্লাহর সাথে হায়েজ না থাকা দিনগুলোতে যেমন থাকি ,হায়েজের সময় অনেক ওয়াসওয়াসা আসে মনের মধ্যে,কোনো সুরাও তো আবার পড়া যাবেনা ঐসময়ে ,আবার গোসুল ২/৩ দিন পর করি ,আমার প্রচন্ড পেটে ব্যথা হয় তাই ,,,হায়েজের সময় তাকওয়া অবলম্বন করার উপায় বলে দিন ,,কি কি করলে পবিত্রদিন গুলোতে যেমন আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করতে পারি তেমনিভাবে সেদিনগুলোতেও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে পারবো !?

 

)একদিন যখন মানুষ নিজের পেপার শাস্তি পেতে পেতে তার অপরাধের সাজা পাওয়া হয়ে যাবে তখন কি আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে জান্নাতে দিয়ে দিবেন !? যে বেক্তি জীবনে একবার হলেও আল্লাহকে সেজদা করেছেন সে নাকি শাস্তি শেষ হবার পর জান্নাতে যাবে !? আসলেই !?

 

)পাপী বেক্তি কিয়ামতের দিন পর্যন্ত কবরে শাস্তি পেতে থাকেন এরপর কিয়ামতের দিন সবাই উঠে আসে এবং বাকি স্তরগুলোতে যায় ,তাহলে কেও যদি হাজার বছর আগে মারা যায় আর কেও যদি কিয়ামতের দিন মারা যায় তাহলেতো যে হাজার শত বছর আগে মারা গিয়েছে সে কবরের আজাব বেশিদিন পাবে ,আর যে কিয়ামতের দিন মারা গিয়েছে সে সেদিন সোজাসুজি মিজান ,পুলসিরাত এই পর্যায় গুলোতে যাবে !?

 

)হুজুর টয়লেটের পরে ঢিলা কুলুপ না নিলে এর জন্য অনেক বড় শাস্তি পেতে হবে ,আগে পালন করা হয়নি ,এখন করা হচ্ছে ,আল্লাহ কি আগের দিন গুলোর শাস্তিও দিবেন !? একবার টিস্যু ব্যবহারে পরে যদি ময়লা চলেযায় তবুওকি ৩ বারোই টিস্যু দিয়ে মুছে নিতে হবে !?

 

) আমার হায়েজ রাত ৩.৪০ টায় শেষ হয়েছে ফজরে দেখলাম আর নেই ,তাহলেকি ফজরের আগেই গোসুল করে নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করতে হবে !? জোহরে করলে হবেনা ?

 

) আমার মাথায় যখন ভবিষ্যৎ,জীবনসঙ্গী,জীবন নিয়ে আরো নানারকম চিন্তা আসে তখন আমি আল্লাহকে বলি ,আমার আবার কিসের চিন্তা গো আল্লাহ ,আমার অভিভাবক তো তুমি ,আমার ভবিষ্যতের পরিকল্পনাটা তোমার ,তুমিই জানো যে তুমি আমাকে কি দিবা কিভাবে দিবা ,আমাকে নিয়ে তো সব চিন্তা তোমার ,আমার্ শুধু কাজ তোমার ইবাদত করা আর তোমার উপর ভরসা রাখা ,তোমার যা ভালো মনেহবে আমার জন্য তুমি আমাকে তাই দিও আর তোমার সিদ্ধান্তের উপরে আমাকে সন্তুষ্ট করে দিও ,আমার যতই পছন্ত অপছন্দ হোক ,যা তোমার ভালো মনে হবে তাই আমাকে দিও !! আমি যে আল্লাহকে এভাবে বলি যে আমার নিজেকে নিয়ে আবার কিসের চিন্তা আমার অন্য কি করতে হবে এগুলো সব তো তোমার চিন্তা। .!! এভাবে বলা কি পাপ !? মানে চিন্তা কথাটা বেবহার করাকি ঠিক !? আবার আল্লাহতো বলেছেন আমার কাছে চাও আমি দিবো ,আমি যদি বলি তুমি আমার জন্য যা উত্তম মনে করো তাই দিও,,যেহেতু আমি নির্দিষ্টকরে চাইনি তাহলেওকি আল্লাহ রাগ করবেন !?

 

)হুজুর আমি একজন softwere ইঞ্জিনিয়ার,ঘরে বসে রিমোট জব করি,বাধ্য হয়েই ! বাবামায়ের ও আরো বাকিদের সাহায্য করার জন্য,কিন্তু হুজুর আমাকে প্রতিদিন ২ বেলা মিটিংয়ে আমার পুরুষ বসদের সাথে কথা বলতে হয় ! আমি বুঝতে পারছি যে আমার কণ্ঠের পর্দা ভঙ্গ হচ্ছে ,আবার আমি কড়াভাবে কথাও বলতে পারিনা কর্কশ গলায় ,তারা আকৃষ্ট হলে আমিকি জাহান্নামে যাবো হুজুর ? আর এখানে নিজের ছবি দিতেই হবে তাই চোখ শুধু দেখাযায় এমন একটা ছবি দিয়েছি ,কিন্তু আমার পরিবারের সবাই বলেন আমার চোখগুলো খুব মায়াবী ,সুন্দর ,যে কেও শুধু চোখ দেখেই আকৃষ্ট হবে ! আমি কি করবো তাহলে হুজুর !? আমি তো মেয়ে ,মেয়েদের কণ্ঠ তো চিকন হবেই ,কিন্তু যে কেও আকৃষ্ট হলে আমি এখন কি করবো হুজুর !? আমিকি জোরকরে রাগ করে অথবা মোটা সরে কথা বলবো !?

 

১০)হুজুর আমি আল্লাহকে বলেছি আল্লাহ গো তুমিতো সবই  জানো আমার বয়স ২০ বছর যদিও ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল যে আমি সারাজীবন একা থাকবো কোনোদিন বিয়ে করবোনা ,কিন্তু এখন আমার মনে অনেক চিন্তা আসে ,আমি না চাইলেও আসে ,আমার খুব সাজতে ইচ্ছে করে,কিন্তু সাজলে মন খারাপ হয় ,মনেহয় আমাকে তো কেও দেখার নেই ,আরো অনেক আজ বাজে চিন্তা আসে ,তাই ভয়ে সাজিনা ,হুজুর আমি চাইনা এসব ভাবতে ,শুধু আল্লাহর ইবাদত করতে চাই ,আর সবার দুঃখ দূর করতে চাই ,সবাইকে সাহায্য করতে চাই ,কিন্তু আমার কেমনজানি আলাদা একটা অনুভূতি সব সময় হয় ,খারাপ অনুভূতি এটা ,আমি সব সময় আল্লাহকে বলি আল্লাহ তুমিতো সব জানো,তুমি দ্রুত আমার জন্য সবথেকে উত্তম কাওকে পাঠিয়ে দাওনা ! আমাকে দ্রুত তারসাথে মিলল করে দাওনা ,নাহলে যে আমি অনেক পাপ করছি ! আমার যে মনে অনেক বাজে চিন্তা আসছে ,আমি যে কোনো পুরুষের কণ্ঠে কথায় ,চেহারায় ,বা ছবিতে যে আকৃষ্ট হয়ে যাই ,তাকে নিয়ে না চাইতেও মনের মধ্যে অনেক চিন্তা ,আশা ,চলে আসে ,তার কথা মনে হলে গান বলতে /শুনতে ইচ্ছে করে ,নাউযুবিল্লাহ !,তুমি দ্রুত কিছু করেদাও যেন আমি এসব পাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারি ,নির্দিষ্ট সেই ব্যক্তিকে নিয়েই ভাবতে পারি,,,যেন আমার মন ভেঙে না যায় ,,,এভাবে যে কারো প্রতি আকৃষ্ট হলে তারপর তার সাথে বিয়ে না হলে তো মন ভেঙে যায় ! তুমি আমাকে দ্বীনদার কারোসাথে মিল করে দাও আমি যেন তখন খুব ভালোভাবে তোমার ইবাদত করতে পারি ,দুজনেই দুনিয়া আখিরাতে সফল হতে পারি ,এভাবেতো আমি পাপ থেকে বাঁচতে পারছিনা গো আল্লাহ ,আমার্ যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব কষ্ট হচ্ছে ! তুমি দ্রুত কিছু করে দাওনাগো আল্লাহ !! আল্লাহর কাছে এভাবে দুআ করা কি ঠিক ?

 

১১) কারো কণ্ঠ অথবা যে কোনো কিছু পছন্দ হলে আল্লাহর কাছে কি তাকে চাওয়া জায়েজ হবে ? যদি আল্লাহকে বলি ,আল্লাহ আমি জানিনা সে আমার জন্য উত্তম কি না ,কিন্তু আমারনা তাকে খুব পছন্দ হয়েছে ,খুব ইচ্ছে করছে তাকে আপনভাবে পেতে,সে যদি আমার জন্য উত্তম হয় তাহলে প্লিজ তুমি তারসাথে আমাকে দ্রুত হালালভাবে মিলিয়ে দাও ! আর উত্তম না হলে প্লিজ আমার মন থেকে তাকে মুছেদও আর আমার জন্য যে উত্তম তাকে পাইয়ে দাও ,আর তোমার সিদ্ধান্তেই আমাকে সন্তুষ্ট করে দাও! ...এভাবে দুআ করাকি জায়েজ !?

১২) আমার আত্মীয় ,তাদের ২ জনের সাথে অনেক খারাপভাবে মনোমালিন্য হয়েছে, তাদের ভুল আমার দেখার বিষয়না ,আমি চাই জাহান্নাম থেকে বাঁচতে ,তাই আমি তাদের সাথে যোগাযোগ না করে থাকতে পারছিনা ,কিন্তু খুব বাজে ভাবে সম্পর্কটা নষ্ট হয়েছে,ক্ষমাচাইতেও খুব লজ্জা লাগছে,হুজুর আমি যদি কোনো চেষ্টা না করে শুধু আল্লাহকেই বলি ,বেশি বেশি দুআ করি যে ,আল্লাহ! তুমি তো অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারো গো আল্লাহ! তুমি কোনোভাবে আবার সব ঠিক করে দাওনা গো আল্লাহ! আমিযে কোনোকিছুই করতে পারছিনা,তুমি দাওনা আবার সবার মন ভালোকরে! এভাবে বল্লেকি আল্লাহ শুনবেন! নাকি উনি রাগ করবেন !? আমিযে যেচে কথা বলবো এমন কোনো মুখ নেই আমার আর! কি করাযায় হুজুর !?

1 Answer

0 votes
by (676,360 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ رضي الله عنها قالت: «كان النبي صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفًا، فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ ليلا، فَحَدَّثْتُهُ، ثمَّ قُمْتُ لِأَنْقَلِبَ، فقام معي لِيَقْلِبَنِي -وكان مسكنها في دار أُسَامَةَ بن زَيْدٍ-، فَمَرَّ رَجُلاَنِ من الأنصار، فلما رأيا رسول الله صلى الله عليه وسلم أسرعا، فقال النبي صلى الله عليه وسلم : على رِسْلِكُمَا، إنها صَفِيَّةَ بِنْتُ حُيَيٍّ، فقالا: سبحان الله يا رسول الله، فقال: إن الشَّيْطَانَ يَجْرِي من ابن آدم مَجْرَى الدَّمِ، وإني خَشِيتُ أن يَقْذِفَ في قُلُوبِكُمَا شرا -أو قال شيئا-». وفي رواية: «أنها جاءَت تَزُورُهُ في اعْتِكَافِهِ في الْمَسْجِدِ، فِي العَشْرِ الأوَاخِرِ من رمضان، فتَحدَّثَتْ عنده ساعة، ثم قامت تَنقَلِبُ، فقام النبي صلى الله عليه وسلم معها يَقْلِبُهَا ، حتى إذا بَلَغَتْ باب المسجد عند باب أم سلمة...» ثم ذكره بمعناه.

সাফিয়্যাহ বিনতে হুয়াই রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই‘তিকাফ অবস্থায় ছিলেন। আমি রাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসলাম। অতঃপর তাঁর সঙ্গে কিছু কথা বললাম। অতঃপর আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালাম। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও আমাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমার সঙ্গে উঠে দাঁড়ালেন। আর তাঁর বাসস্থান ছিল উসামাহ ইবন যায়েদর বাড়িতে। এ সময় দু’জন আনসারী সে স্থান দিয়ে অতিক্রম করল। তারা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখল তখন তারা শীঘ্র চলে যেতে লাগল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা একটু থাম। এ হচ্ছে সাফিয়্যাহ বিনতে হুয়াই। তারা বললেন, সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, মানুষের ভেতর রক্তের শিরায় শয়তান চলাচল করে। আমি শংকাবোধ করছিলাম যে, সে তোমাদের মনে কোন খারাপ ধারণা অথবা বললেন অন্য কিছু সৃষ্টি করে দেবে। অন্য বর্ণনায় এসেছে: একদা তিনি রমাযানের শেষ দশকে মসজিদে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খিদমতে উপস্থিত হন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই‘তিকাফরত ছিলেন। সাফিয়্যাহ তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। অতঃপর ফিরে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে উঠে দাঁড়ালেন। যখন তিনি (উম্মুল মুমিনীন) উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহার গৃহ সংলগ্ন মসজিদের দরজা পর্যন্ত পৌঁছলেন...” অতঃপর অনুরূপ হাদীস উল্লেখ করেছেন।  
সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি শয়তান কে এভাবে যে বলেন,এক্ষেত্রে সে তাহা শোনার ক্ষমতা রাখে। এভাবে শয়তানের সাথে কথা বলা পাপ নয়।

এটা শয়তানেরওয়াসওয়াসা নয়।
শয়তান কোনোদিন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেনা।

(০২)
তারা ফেরেশতা।
তারা জান্নাতীও নয়,জাহান্নামীও নয়।

তারা আল্লাহর আদেশে নির্দিষ্ট কাজে নিয়োজিত।  
জান্নাত জাহান্নাম শুধু মানব ও জীনদের জন্য। 
(০৩)
আপনি বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করবেন।

(০৪)
সে যদি মুমিন হয়,সেক্ষেত্রে সে তার গুনাহের শাস্তি ভোগের পর জান্নাতে যাবে।

(০৫)
কেউ আগে মারা যাক,আর কেউ পরে মারা যাক। কবরে সকলেই নির্দিষ্ট সময়ই থাকবে।
এটি করা মহান স্রষ্টা আল্লাহর কাছে কোনো ব্যাপার নয়। 

(০৬)
ঢিলা কুলুপ না নিলে পানি নিতেই হবে।

আপনি যেহেতু আগে পানি নিয়েছিলেন,সেক্ষেত্রে গুনাহ হয়নি।

একবার টিস্যু নিয়ে ময়লা চলে গেলে তারপর পানি নেয়া যথেষ্ট। 

(০৭)
এক্ষেত্রে হায়েজ শেষ হওয়া মাত্র গোসল করে নিয়ে ইশার নামাজ আদায় করতে হবে।
তারপর ফজরের ওয়াক্ত আসলে ফজরের নামাজ আদায় করতে হবে।

যদি পরবর্তীতে গোসল করে এই দুই নামাজ কাজ করে নেন,সেক্ষেত্রেও হবে।

তবে এক্ষেত্রে নামাজ কাজা করার গুনাহ হবে। 
(০৮)
এভাবে বলা পাপ নয়।
চাওয়া যাবে।

(০৯)
আপনার উক্ত জব জায়েজ হবেনা। 

(১০,১১)
এভাবে বলা পাপ নয়।
চাওয়া যাবে।

(১২)
আপনি দোয়া চালিয়ে যাবেন।

তাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হলে কমপক্ষে সালাম বিনিময় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...