আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আস সালামু আলাইকুম হুজুর

আমি আমার এক বান্ধবীর হয়ে বিয়ে নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করছি।

হুজুর আমার এক বান্ধবী দ্বীনে ফিরেছে যে ১ বছর ।ওর বিয়ে হওয়ার আগেই ওর ছোট বোনের বিয়ে হয়ে যায়।তাই ও ওর পরিবারে রীতিমতো বোঝা হয়ে গিয়েছিল। ওকে দেখতে এসে অনেক ছেলে রিজেক্ট করে তাই পরিবার ওকে দিন রাত কথা শুনাতো।আর ও চাচ্ছিল একজন দ্বীনদার পাত্রকে বিয়ে করতে।তাই কোনো ভাবে বিয়েটা আটকাতো।পরে একদিন হঠাৎ এক ছেলে আসে আমার বান্ধবী তাকে অনেক প্রশ্ন করে দ্বীন‌নিয়ে ছেলেও ঠিকভাবে উত্তর দেয়। আমার মেয়ের পরিবার মেয়েকে বলছে ছেলে হাফেজ।প্রথমে ওরা ওকে বলছিল যে আমরা তোমাকে দ্বীন পালন করতে দিবো। তো আমার বান্ধবী ও বিশ্বাস করে। দেখতে এসেই বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু আমার বান্ধবী পরে জানতে পারে ছেলের মধ্যে দ্বীনের কোনো বুঝ নেই। আর এরপর শুরু হয় আরো ঝামেলা।ওর ওকে সারা দিন কাজ করায় যার ফলে ফরজ নামাজ টুকুও আদায় করতে পারছে না।পর্দা তো বাদই দিলাম।নানা কটু কথা সারাক্ষণ শুনতে হচ্ছে। তার ওপর ওর স্বামীর পরিবার তাবিজ এ বিশ্বাসী। ওই পরিবেশে থেকে দিন পালন করা রীতিমতো কঠিন হয়ে গেছে। এখন আমার বান্ধবীটা যাচ্ছে বাপের বাড়ি চলে আসতে কিন্তু ওরা ওকে বলছে যদি আসে তাহলে ওকে শান্তিতে কখনো থাকতে দিবে না । ওর স্বামী ও আগামী ১৫ তারিখ বিদেশে চলে যাবে। শাশুড়ি টা ওকে সারাদিন খাটায় আরো অনেক খারাপ কথা শুনায়। এখন আমার বান্ধবী কি করা দরকার?বাপের বাড়ি গেলে সেখানে ওকে নানা ভাবে ওকে নির্যাতন করা হতে পারে।আর এখানে থাকলে দ্বীন হারা হয়ে যেতে পারে।দয়া করে কিছু একটা উত্তর দিবন ইং শা আল্লহ।

1 Answer

0 votes
by (696,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ﻟَﻮْ اﻧْﺘَﺴَﺐَ اﻟﺰَّﻭْﺝُ ﻟَﻬَﺎ ﻧَﺴَﺒًﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﻧَﺴَﺒِﻪِ ﻓَﺈِﻥْ ﻇَﻬَﺮَ ﺩُﻭﻧَﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﻜُﻒْءٍ ﻓَﺤَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِﺛَﺎﺑِﺖٌ ﻟِﻠْﻜُﻞِّ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻛُﻔُﺆًا ﻓَﺤَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻟَﻬَﺎ ﺩُﻭﻥَ اﻷَْﻭْﻟِﻴَﺎءِ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﻇَﻬَﺮَ ﻓَﻮْﻕَ ﻣَﺎ ﺃَﺧْﺒَﺮَ ﻓَﻼَ ﻓَﺴْﺦَ ﻷَِﺣَﺪٍ.............الي ان قال ............ ﻟَﻜِﻦْ ﻇَﻬَﺮَ ﻟِﻲ اﻵْﻥَ ﺃَﻥَّ ﺛُﺒُﻮﺕَ ﺣَﻖِّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻟَﻬَﺎ ﻟِﻠﺘَّﻐْﺮِﻳﺮِ ﻻَ ﻟِﻌَﺪَﻡِ اﻟْﻜَﻔَﺎءَﺓِ ﺑِﺪَﻟِﻴﻞِ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻮْ ﻇَﻬَﺮَ ﻛُﻔُﺆًا ﻳَﺜْﺒُﺖُ ﻟَﻬَﺎ ﺣَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻷَِﻧَّﻪُ ﻏَﺮَّﻫَﺎ، ﻭَﻻَ ﻳَﺜْﺒُﺖُ ﻟِﻷَْﻭْﻟِﻴَﺎءِ ﻷَِﻥَّ اﻟﺘَّﻐْﺮِﻳﺮَ ﻟَﻢْ ﻳَﺤْﺼُﻞْ ﻟَﻬُﻢْ،
যদি স্বামী নিজেকে নিজস্ব বাস্তব বংশ ব্যতীত ভিন্ন বংশের লোক বলে দাবী করে,এবং পরবর্তীতে এর চেয়ে নিম্নমানের বংশ প্রমাণিত হয়,তাহলে সে উক্ত মেয়ের কু'ফু হতে পারবে না,এবং মহিলা ও মহিলার অভিবাবক সকলের জন্যই বিবাহকে কাযীর মাধ্যমে ভঙ্গ করা অধিকার থাকবে।
কিন্তু যদি পরবর্তীতে এমন বংশ প্রমাণিত হয়,যা উক্ত মেয়ের কু'ফু অবশ্য হবে(কিন্তু সে প্রথমে বাড়িয়ে মিথ্যে বলেছিলো)তাহলে ও মহিলার বিবাহ ভঙ্গের অধিকার থাকবে।যদিও ওলীর থাকবে না।
আর যদি তার বর্ণনাকৃত বংশের চেয়েও পরবর্তীতে উচ্ছ বংশ প্রমাণিত হয় তাহলে কারো বিবাহ ভঙ্গের অধিকার থাকবে না।

(ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন)
বর্তমানে আমার কাছে এটাই প্রস্ফুটিত হয়েছে যে,মহিলার জন্য ফসখের অধিকার স্বামীকে শাস্তি দেয়ার জন্যই।কু'ফু র সমতা না থাকাতে নয়।
কেননা ছেলে মিথ্যা বলার পরও যদি তার এমন বংশ প্রমাণিত হয় যা ঐ মহিলার সমকক্ষ,তাহলেও মহিলার ফসখের অধিকার অর্জন হয়।এজন্য যে, পুরুষ মিথ্যা বলে মহিলাকে ধোকা দিতে চেয়েছিলো।এবং এজন্যই অভিবাবকদের জন্য ফসখের অধিকার অর্জন হবে না।কারণ সে অভিবাবকদের সাথে শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করেনি।(রদ্দুল মুহতার-৩/৫০১)



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে আপনার স্বামী ধোকা দিয়েছে, সে বলেছে আপনাকে দ্বীনি পরিবেশে রাখবে,এবং সে নিজেকে দ্বীনদার বলে পরিচয় দিয়েছে, কিন্তু এখন আপনি সবকিছুই উল্টো দেখতে পাচ্ছেন, এজন্য আপনার ফসকে নিকাহ বা বিবাহ ভঙ্গের অধিকার অর্জিত হবে। আপনি চাইলে কোর্টের মাধ্যমে বিবাহকে ভঙ্গ করে দিতে পারবেন। তবে বিবাহকে  ভঙ্গ করার চেয়ে ধর্য্য সহকারে সংসার করাই উত্তম হবে। বিয়ে যখন হয়েই গেছে, তাই এখন সংসার করতে যেয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। স্বামী-শাশুড়িকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বলার চেষ্টা করুন।তাদেরকে আপনার দ্বীন পালনের সুযোগ দিতে রিকোয়েস্ট করুন।নিজের ইবাদত করার জন্য তাদের কাছে বিষয়গুলো সবিস্তারে বলার চেষ্টা করুন। যদি সর্বশেষে চেষ্টার পরও তাদের অন্তরে দয়ামায়ার সৃষ্টি না হয়, তাহলে নিজের জন্য যা ভালো মনে হয়,সেই সিদ্ধান্ত নিবেন।জাযাকিল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...