আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
391 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, 

মুহতারাম, 2864 নং প্রশ্নের প্রসঙ্গে  উক্ত প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তির মাসায়েল ভিত্তিক কিছু প্রশ্ন:

১. আমি জীবনে যত নামাজ, রোজা আদায় করেছি, তা সব‌ কি দোহরানো লাগবে?

২. যত উমরী কাযা নামাজ ও উমরী কাযা রোজা আদায় করেছি তা সব‌ কি দোহরানো লাগবে?

৩. যদি দোহরানোই লাগে তাহলে এ অবস্থায় কি উমরী কাযা নামাজ ও উমরী কাযা রোজা আদায় করা ঠিক হবে?

৪. হালাল উপার্জন করতে পারার আগ পর্যন্ত করণীয় কি? পরিবারের হারাম উপার্জনের টাকায় যদি চলতে হয় তাহলে তা খরচের ক্ষেত্রে কীরূপ পন্থা বা নীতি অনুসরণ করতে হবে?

৫. প্রশ্ন থেকে সুস্পষ্ট যে, পরিবারের সাথে সঙ্গত কারণেই আমার বেশ দূরত্ব বিদ্যমান। ইনশাআল্লাহ, যখন আমি হালাল উপার্জন করবো তখন কিছু পরিস্থিতি সামনে আসতে পারে, যেমন-

    ক) বিভিন্ন প্রয়োজনে, সম্পর্কের জন্য ইত্যাদি কারণে তাদের বাড়িতে যাওয়া; এক্ষেত্রে তো এখানে খাদ্য গ্রহণ করা লাগবে, যা হয়তো হারাম উপার্জনের টাকায় প্রস্তুত।

    খ) জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যেমন- বিয়ে, সংসার ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাদের সংশ্লিষ্টতা।

    গ) সম্পত্তির উত্তরাধিকার বন্টন।

এই পরিস্থিতিগুলোতে আমার করণীয় কি?

1 Answer

–1 vote
by (697,400 points)
বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
(১,২,৩)
সম্ভব হলে সতর্কতামূলক অতীতের সকল নামাযকে কা'যা করে নেয়াই উত্তম।সম্ভব না হলে আল্লাহর তা'আলার নিকট ইস্তেগফার করে নিতে হবে। https://www.ifatwa.info/980

(৪)
হালাল উপার্জনের চেষ্টা করা একান্তই জরুরী।এবং ভবিষ্যতে সদকাহ নিয়তে পিতার হারাম মাল থেকে আপাতত প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন,যদি শতচেষ্টার পরও আপনার কাছে হালাল উপার্জনের কোনো রাস্তা না থাকে।

(৫)
(ক)
হারাম বা অধিকাংশ ধারণা হারাম, এমন খাবার গ্রহণ করা যাবে না।বিভিন্ন হেকমতে প্রদর্শনের মাধ্যমে এড়িয়ে চলতে হবে।

(খ)
আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখার স্বার্থে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে।কিন্তু হারাম কিছু গ্রহণ করা যাবে না।বিভিন্ন অনুষ্টানে হওয়া যাবে,তবে আহার করা যাবে না।

(গ)
হালাল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হওয়া যাবে।তবে হারাম কিছু হনস্তগত হলে সদকাহ করে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...