ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ট্যাক্স সম্পর্কে চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " (৩৫/১৪) এভাবে বর্ণিত রয়েছে যে,
ذَهَبَ الْفُقَهَاءُ إِلَى أَنَّ لِلإِْمَامِ فَرْض َضَرَائِبَ عَلَى الْقَادِرِينَ لِوُجُوهِ الْمَصَالِحِ الْعَامَّةِ وَلِسَدِّ حَاجَاتِ الْمُسْلِمِينَ
قَال القرطبي: اتَّفَقَ الْعُلَمَاءُ عَلَى أَنَّهُ إِذَا نَزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ حَاجَةٌ بَعْدَ أَدَاءِ الزَّكَاةِ فَإِنَّهُ يَجِبُ صَرْفُ الْمَال إِلَيْهَا
(١) .(١) القرطبي ٢ / ٢٤٢، وابن عابدين ٢ / ٥٧.
الموسوعة الفقهية الكويتية ٣٥/١٤
ভাবার্থঃমহামান্য ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন যে,
সরকার জনসাধারণের সেবা ও বিভিন্ন প্রয়োজন মিটাতে উপার্জন সক্ষম নাগরিকদের উপর ট্যাক্স অত্যাবশ্যকীয় করতে পারবে,বৈধ রয়েছে।
ইমাম কুরতুবী রাহ উদ্ধৃতিতে বলা হয় যে, তিনি বলেন,সম্পদশালী নাগরিকগণ যাকাত প্রদাণের পরও মুসলিম জনসাধারণের আর্থিক ঘাটতি দেখা দিলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ট্যাক্স প্রদান করা তাদের উপর ওয়াজিব।(তাফসীরে কুরতুবী-২/২৪২রদ্দুল মুহতার-ইবনে আবেদিন;২/৫৭।)(শেষ) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/700
সরকারী ট্যাক্স উসূল করতে যেয়ে কারো প্রতি জুলুম নির্যাতন করা যাবে না।কেননা হাদীসে এসেছে,
جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: اتَّقُوا الظُّلْمَ، فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَاتَّقُوا الشُّحَّ، فَإِنَّ الشُّحَّ أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، وَحَمَلَهُمْ عَلَى أَنْ سَفَكُوا دِمَاءَهُمْ، وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمَهُمْ.
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা অত্যাচার করা থেকে বিরত থাকো। কেননা অত্যাচার কিয়ামতের দিন গভীর অন্ধকাররূপে আসবে। তোমরা কৃপণতা থেকে বিরত থাকো। কেননা এই কৃপণতা তোমাদের পূর্ববতীদের ধ্বংস করেছে এবং তাদেরকে পরস্পরের রক্তপাত করতে এবং তাদের প্রতি হারামসমূহকে হালালরূপে গ্রহণ করতে উদ্যত করেছে (মুসলিম, আবু দাউদ)।(আল আদাবুল মুফরাদ-৪৮৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কর অফিসারের জন্য জুলুমের পর্যায়ে চলে যাওয়া কখনো জায়েয হবে না। সেক্ষেত্রে কর অফিসার অবশ্যই গুনাহগার হবেন।
(২)
নিরীক্ষা ও হিসাব অফিসারদের কাজ হল, সরকারের সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগে Chief Accounts Officer হিসেবে কাজ করা। সরকারের আয় ব্যয়ের সকল হিসাব রাখা। এর মধ্যে যদি সুদি কার্যক্রম চলে আসে,এবং সেই হিসাব রাখায় সাহায্য করা হয়,তাহলে দেখতে হবে, সম্পূর্ণ কাজের মধ্যে সুদের হিসাব নিকাশ কম না বেশী? যদি কম থাকে, তাহলে উক্ত চাকুরী জায়েয হবে। এবং কাজের পার্সেন্টিজ হিসাব করে, যত পার্সেন্ট সুদের হিসাব আসবে, তত পার্সেন্ট টাকা সদকাহ করে নিলেই হবে।
(৩)
শুল্ক অফিসার হিসেবে কাজ তো হল শুল্ক ফাকি ও চোরাচালান ধরা। সেক্ষেত্রে দেশের বড় মাফিয়া বা ঊর্ধ্বতন কারো অবৈধ জিনিস পাচারে অপারগতাবশত নিজের চুপ থাকা অবশ্যই গুনাহগের অন্তর্ভুক্ত হবে। প্রয়োজনিয় সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করার সর্বোচ্ছ চেষ্টা করতে হবে।