জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার পক্ষ হতে (মানুষের কাছে) একটি বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও। বনী ইসরাঈল হতে শোনা কথা বলতে পারো, এতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করবে, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে প্রস্তুত করে নেয়।
(বুখারী ৩৪৬১,মিশকাত ১৯৮)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بُدَيْلِ بْنِ قُرَيْشٍ الْيَامِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سُئِلَ عَنْ عِلْمٍ عَلِمَهُ ثُمَّ كَتَمَهُ أُلْجِمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِلِجَامٍ مِنْ نَارٍ "
আহমদ ইবন বুদায়ল ইবন কুরায়শ য়ামী কূফী (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তিকে তার জানা কোন ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সে যদি তা গোপন করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে জাহান্নামের লাগাম পড়ানো হবে।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৬৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬৪৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
زكاة العلم فتكون بتعليمه ونشره وعدم كتمه
সারমর্মঃ-
জ্ঞানের যাকাত হলো শিক্ষা দান করা,জ্ঞানের প্রচার প্রসার করা,এবং জ্ঞান গোপন না করা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য পরামর্শ।
আপনার কি কুরআন তিলাওয়াত শুদ্ধ?
যদি কুরআন শুদ্ধ না হয়,সেক্ষেত্রে আগে প্রথমে যেভাবেই হোক কুরআন তিলাওয়াত শুদ্ধ করে নিবেন।
অতঃপর মুআল্লিমা ট্রেনিং নিবেন।
তারপর আপনার স্বপ্ন মোতাবেক নূরানী মাদ্রাসা দিতে পারেন।
সেক্ষেত্রে পুরুষ অভিভাবকদের সাথে কথা বলার জন্য কোনো মাহরাম পুরুষ (বাবা/ভাই/দাদা/চাচা) কে দায়িত্বে রাখবেন।
ছাত্রী সংখ্যা বেশি হলে কোনো একজন আলেমাকে নিয়ে আসবেন।
অথবা মুআল্লিমা ট্রেনিং যারা দিয়েছেন,তাদের কাউকে নিয়ে আসবেন।
এভাবেই ইনশাআল্লাহ মাদ্রাসা চলবে।
★সবচেয়ে ভালো হয়,অববাহিতা হলে আপনার মাদ্রাসা করার স্বপ্ন জানিয়ে আলেম কাউকে বিবাহ করে নেয়া। তাকে দিয়েই মাদ্রাসা খোলা।
তাহলে আপনার জন্য সব কিছু সহজ হয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ।