আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ,

হুজুর, আমি একজন দ্বীনে ফেরা মেয়ে। তো দ্বীনে ফেরার পর আমি কলেজ ছেড়ে মাদ্রাসায় কুরআন সহিহ শুদ্ধভাবে শিখার জন্য সেখানে পড়া শুরু করি তো যেহেতু বড় হয়েছি তাই বাবা মা বিয়ে দিতে চায়।আমার ফ্যামিলি উচ্চমধ্য পরিবারের।তাই আমাকে তারা চায় ঐরকম ফ্যামিলির কাছেই আমাকে বিয়ে দিতে। তারা ছেলে নামায পরে কি না বিয়ের পর আমাকে পর্দায় রাখবে কিনা তার কোনো খোজ নেয় না।এইদিকে আবার আমার স্বামী আমাকে তখন বিয়ের প্রস্তাব দেয় ফেসবুকে ।কিন্তু তার পরিবার নিম্নবিত্ত কিন্তু সে মাশাআল্লাহ দ্বীনদার। আমিও তাকে পছন্দ করি কিন্তু আমার ফেমিলি করে না। ফলে এক পর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে করি আমরা। আজকে বিয়ের দেড় বছর চলছে আমার বাবা এখনও আমাকে চাপ দেয় আমি জেন চলে যাই তাদের কাছে। কিন্তু আমি রাজি না হওয়াতে আমার বাবা আমাকে খুব বকে আর বলে আমি যেন আর কোন দিন তার বাড়িতে না যাই আর যেন তাকে ফোন না দেই আমি তার মেয়ে না এইসব বলেছে। তারপর আমার স্বামী এই সব কথা শুনে নেয় আর বলে আমার বাবার ফোন নাম্বার ব্লক করে রাখবে আমাকে আর কথা বলতে দিবে না। তো আমি বলেছি এইভাবে তো সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে । আর আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। আমার স্বামী বলে তোমার বাবাই তো সম্পর্ক রাখতে চায় না। তো আমি বলেছি বাবা এখন রাগে বলতাছে পরে তো ঠিক হয়েই যাবে আর তা ছাড়া বাবার দ্বীনের বুঝ নাই।তো উনি বলতাছে  তোমার বাবা তার মেয়েকে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা করতে চাইছে এইটা কি ভালো কাজ না খারাপ কাজ তোমার বাবা কি জানে না।তো হুজুর এখন আমার প্রশ্ন হলো স্বামীর কথায় কি আমার মা বাবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ হবে? উনি বলে জায়েজ হবে যেহেতু আমার বাবা সম্পর্ক রাখতে চায় না তাই উনি বলে জায়েজ হবে।

1 Answer

0 votes
by (715,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1722

প্রতি সাপ্তাহে স্ত্রী সে তার মাতাপিতার সাথে সাক্ষাৎ করবে। এতেকরে কেউ স্ত্রীকে বাধা দিতে পারবে না। চায় স্ত্রী নিজে গিয়ে দেখা করে আসুক বা মাতাপিতা এসে দেখা করে যাক,সাপ্তাহে একবার মাতাপিতার সাথে সাক্ষাৎ করা স্ত্রীর অধিকার।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/66925

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাতাপিতা এবং স্বামী তাদের সবারই অনুসরণ ওয়াজিব। মাতাপিতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা স্ত্রীর একান্তু দায়িত্ব ও কর্তব্য। ঠিকতেমনিভাবে স্বামীর জন্য তার মাতাপিতার সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা স্বামীর একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।

প্রশ্নের বিবরণমতে স্বামী তার স্ত্রীকে মাতাপিতার সাথে কথা বলতে বারণ করতে পারবে না।এভাবে বাধা প্রদাণ স্বামীর জন্য জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,880 points)
সংযোজন ও সংশোধন করতে চাই।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...