আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
১) মেয়েদের ভ্রু চেঁছে না ফেলে কেচি দিয়ে উপর থেকে কাটা/ ছাটাই করা জায়েজ হবে কি,যাতে হালকা চিকন দেখায় বা ঘন না দেখায়।
২) মেকাপ করার সময় মেকাপের কালো রঙ আর সাদা রঙ দিয়ে ভ্রুতে রঙ করা যাবে কি(eyebrow pomade আর ব্রাশ দিয়ে)  যাতে ভ্রু চিকন আর সুন্দর দেখায়?
৩) মেয়েদের কপালের গালের ঠোঁটের উপরের লোম চেঁছে ফেলা জায়েজ আছে কি রেজার দিয়ে?
৪) দুই ভ্রু এর মাঝেও লোম থাকে কিছু যা জোরাভ্রু নয়। মুখের লোম কাটতে কাটতে এখন ওখানেও লোম হয়।  ওটা চেঁছে ফেলা জায়েজ হবে কি রেজার দিয়ে?
৫) হাত পা পেট পিঠের লোম রেজার দিয়ে তুলে ফেলা জায়েজ আছে কি?
৬) Mascara ইউস করা জায়েজ আছে কি? (এটা মূলত একটা কালো তরল রঙ যা তুলি বা ব্রাশ দিয়ে চোখের পাপরিতে দিলে পাপরি একটু বড় আর ঘন দেখায়)।
৭) লিপ্সটিক ব্যবহার করা জায়েজ?
৮) মেয়েদের চুলে অনেক উপরে ঝুটি করা জায়েজ আছে কি? বা অনেক উপরে খোপা করা ডিজাইন করে? (ঘাড় উপরে গলার উপর থেকে যে চুল হয় সেই চুল থেকে ১৫/২০ আংগুল প্রায় উপরে মাথায়)

[এগুলো কোনো কিছুই গাইরে মাহরামকে দেখানোর উদ্দেশ্য নয়,শুধুই নিজের স্বামীর জন্য]

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞার কারনে  সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বা স্বামীকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে ভ্রু উপরে ফেলা, ভ্রু চেছে ফেলা বা ভ্রুকে নতুন সেপ দেওয়া, ছড়ানো ভ্রু থেকে আসেপাশের লোম গুলো চেছে বা তুলে ফেলা এগুলোর কোনোটিই জায়েজ নেই।

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত ,তিনি বলেনঃ-

ﻭﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﻮَﺍﺷِﻤَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟْﻤُﻮﺗَﺸِﻤَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﻨَﻤِّﺼَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﻔَﻠِّﺠَﺎﺕِ ﻟِﻠْﺤُﺴْﻦِ ، ﺍﻟْﻤُﻐَﻴِّﺮَﺍﺕِ ﺧَﻠْﻖَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺒَﻠَﻎَ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻣِﻦْ ﺑَﻨِﻲ ﺃَﺳَﺪٍ ﻳُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻬَﺎ ﺃُﻡُّ ﻳَﻌْﻘُﻮﺏَ ، ﻓَﺠَﺎﺀَﺕْ ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ : ﺇِﻧَّﻪُ ﺑَﻠَﻐَﻨِﻲ ﻋَﻨْﻚَ ﺃَﻧَّﻚَ ﻟَﻌَﻨْﺖَ ﻛَﻴْﺖَ ﻭَﻛَﻴْﺖَ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻭَﻣَﺎ ﻟِﻲ ﺃَﻟْﻌَﻦُ ﻣَﻦْ ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ

ভাবার্থঃ- “আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর, যারা অন্যর দেহাঙ্গে উল্কি (ট্যাটু) অংকন করে,এবং নিজ দেহাঙ্গে অন্যর মাধ্যমে উল্কি (ট্যাটু) করে,এবং ভ্রু-কে চেঁছে সরু (প্লাক) করে,ও সৌন্দর্য প্রদর্শনের মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে,অর্থাৎ এসমস্তের মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।(তারা অভিশপ্ত) বনি আসাদ গোত্রীয় উম্মে ইয়াক্বুব নামী জনৈক মহিলা এ ব্যাপারে তার (ইবনে মাসউদের বর্ণনার) প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন,‘আমি কি তাকে অভিসম্পাত করব না, যাকে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) অভিসম্পাত করেছেন।এবং অন্য বর্ণনায় এসেছে........(এবং তা আল্লাহর কিতাবে আছে? আল্লাহ বলেছেন, "রাসুল যে বিধান তোমাদেরকে দিয়েছেন তা গ্রহন কর, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকো।(-সূরা হাশরঃ৭)[সহীহ বুখারী ৪৮৮৬নং এবং৪৬০৪নং হাদীস]


কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে উক্ত মহিলা ইবনে আব্বাস রাযিঃকে অভিযোগ করল, এগুলা তো আপনার স্ত্রীও করেন। প্রতিউত্তরে ইবনে আব্বাস রাযি বললেন, ঠিক আছে তাহলে আপনি গিয়ে দেখে আসতে পারেন,ঐ মহিলা ইবনে আব্বাস রাযি এর ঘরে গিয়ে উনার স্ত্রীর কাছে তা পায়নি, তখন ইবনে আব্বাস রাযি বললেনঃএমন হলে আমি তার সাথে ঘর-সংসার-ই করতাম না।

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/466

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটি জায়েজ হবেনা।

(০২)
শুধুমাত্র স্বামীকে দেখানোর জন্য হলে জায়েজ।
গায়রে মাহরামের সামনে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে উক্ত কাজটি জায়েজ হবেনা।

(০৩)
স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে জায়েজ আছে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
জায়েজ হবেনা।

(০৫)
জায়েজ আছে।

তবে পুরুষের জন্য কাজটি অনুত্তম।

(০৬)
শুধুমাত্র স্বামীকে দেখানোর জন্য হলে জায়েজ।
গায়রে মাহরামের সামনে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে উক্ত কাজটি জায়েজ হবেনা।

(০৭)
জায়েজ আছে।
তবে গায়রে মাহরাম কাহারো সামনে পূর্ণ চেহারা ঢেকে যেতে হবে।

(০৮)
উপরে ঝুটি করা জায়েজ নেই।
পিছনের দিকে ঝুটি করা জায়েজ আছে।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...