আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
তাকবিরে উলা এর সঙ্গে নামাজ পড়লে এক হাজার উট কোরবানির সাওয়াব পাওয়া যায়। এটি কি ঠিক?

সেজদার সময় সমস্ত জিন ইনসানের সংখ্যা বরাবর সাওয়াব পাওয়া যায়।
তাসাহহুদ এর সময় ইয়াকুব আ এবং আয়ুব আ এর সবরের সাওয়াব পাওয়া যায়।

ডান দিকে সালাম ফিরালে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যায়, বাম দিকে সালাম ফীরালে জাহান্নামের সাতটি দরজা বন্ধ হয়ে যায়
উপরোক্ত ফযীলত গুলো কি সঠিক?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তাকবীরে উলার ফযিলত সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
আনাস ইবনু মালিক রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
 عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى كُتِبَتْ لَهُ بَرَاءَتَانِ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ "
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সন্তোষ অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার (প্রথম তাকবীর) সাথে জামা’আতে নামায আদায় করতে পারলে তাকে দুটি নাজাতের ছাড়পত্র দেওয়া হয়ঃ জাহান্নাম হতে নাজাত এবং মুনাফিকী হতে মুক্তি।(জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৪১)

তাকবিরে উলা এর সঙ্গে নামাজ পড়ার ফযিলত সম্পর্কীয় আরো অনেক হাদীসে মারফু বর্ণিত হয়েছে,তবে সবগুলোইর মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। এর মধ্য থেকে একটি হাদীস হল, এক হাজার উট কোরবানির সাওয়াব পাওয়া সম্ভলিত হাদীস। এই হাদীসের সনদে কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে।

عن مجاهد قال : سمعت رجلا من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم - لا أعلمه إلا ممن  شهد بدرا- قال لابنه : أدركت الصلاة معنا ؟
قال : نعم
قال : أدركت التكبيرة الأولى ؟.
قال : لا .
قال : لَمَا فاتك منها خير من مئة ناقة كلها سود العين . "مصنف عبد الرزاق" (2021).

সিজদার ফযিলত সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
মা’দান ইবনু তালহাহ আল ইয়ামারী (রহঃ) হতে বর্ণিত।
مَعْدَانُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ، قَالَ لَقِيتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ أَعْمَلُهُ يُدْخِلُنِي اللَّهُ بِهِ الْجَنَّةَ . أَوْ قَالَ قُلْتُ بِأَحَبِّ الأَعْمَالِ إِلَى اللَّهِ . فَسَكَتَ ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَسَكَتَ ثُمَّ سَأَلْتُهُ الثَّالِثَةَ فَقَالَ سَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " عَلَيْكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ لِلَّهِ فَإِنَّكَ لاَ تَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَكَ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْكَ بِهَا خَطِيئَةً " . قَالَ مَعْدَانُ ثُمَّ لَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ لِي مِثْلَ مَا قَالَ لِي ثَوْبَانُ .
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম আমি বললাম, আমাকে একটি কাজের কথা বলে দিন যা করলে আল্লাহ আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহর প্রিয়তম ও পছন্দনীয় কাজের কথা জিজ্ঞেস করলাম। কিন্তু তিনি চুপ থাকলেন। আমি পুনর্বার জিজ্ঞেস করলাম। এবারও তিনি নীরব থাকলেন। আমি তৃতীয়বার জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেনঃ তুমি আল্লাহর জন্য অবশ্যই বেশি বেশি সিজদা করবে। কেননা তুমি যখনই আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করবে, আল্লাহ তা’আলা এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা একধাপ বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তোমার একটি গুনাহ মাফ করে দিবেন। মাদান বলেন, অতঃপর আমি আবূ দারদাহ (রাযিঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে জিজ্ঞেস করলাম সাওবান (রাযিঃ) আমাকে যা বলেছেন, তিনিও তাই বললেন। (সহীহ মুসলিম-ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯৭৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ৯৮৬)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সেজদার সময় সমস্ত জিন ইনসানের সংখ্যা বরাবর সাওয়াব পাওয়া যায়, এমন কোনো হাদীস রয়েছে কি না? অনেক খুঁজাখুঁজি করে পাইনি।

তাসাহহুদ এর সময় ইয়াকুব আ এবং আয়ুব আ এর সবরের সাওয়াব পাওয়া যায়। এমন কোনো হাদীস রয়েছে কি না? অনেক খুঁজাখুঁজি করে পাইনি।

ডান দিকে সালাম ফিরালে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যায়, বাম দিকে সালাম ফীরালে জাহান্নামের সাতটি দরজা বন্ধ হয়ে যায়।এমন কোনো হাদীস রয়েছে কি না? অনেক খুঁজাখুঁজি করে পাইনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 210 views
...