ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
প্রত্যেক জিনিষের মূলতত্ব হল, হালাল (বা পবিত্র)। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ জিনিষে
কোনো হারামের প্রমাণ না পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ
পর্যন্ত উক্ত জিনিষ হালাল (বা পবিত্র) বলেই গৃহিত হবে।
বিশিষ্ট মুহাদ্দিস মুল্লা আলী কারী রাহ বলেন,
دَلَّ
عَلَى أَنَّ الْأَصْلَ فِي الْأَشْيَاءِ الْإِبَاحَةُ كَقَوْلِهِ تَعَالَى: {هُوَ
الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا}
প্রত্যেক জিনিষের আসল বা মূল হল,হালাল।কেননা আল্লাহ তা'আলা সূরা বাকারার ২৯
নং আয়াতে বলেন,আল্লাহ তা'আলা তোমাদের ফায়দার
জন্য জমিনের সবকিছুকে সৃষ্টি করেছেন। (মিরকাতুল মাফাতিহ-১/২৭৯)
উল্লেখ্য যে, এমন মোটা তক্তা যে তা মাঝখানে থেকে
ফাঁড়া যাবে তাতে নাজাসাত লাগলে উল্টা পবিত্র দিকের উপর নামায পড়া যাবে।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বহ্যিক ভাবে যদি উক্ত স্থানে নাপাকির চিহ্ন দেখা না যায়
তাহলে উক্ত স্থান পবিত্র হিসেবে ধরে তার উপর নামাজ পড়বেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। (উল্লেখ্য
যে, আবার জায়নামাজের নিচে নাপাকি থাকলেও মোটা জায়নামাজের উপর নামাজ পড়া যাবে। )