আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

ভার্সিটিতে আমার দুই সহপাঠি অভিভাবককে না জানিয়ে বিয়ে করতে চাইছে। অভিভাবক এখন রাজি হবেন না, তবে পড়াশোনা শেষে বিয়ে করতে চাইলে সমস্যা হবে না। মেয়ের মা প্রেমের কথা জানেন, এতে বাঁধাও দেন নি।

তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা সমান নয়। তারা আর হারাম সম্পর্কে থাকতে চাইছে না, আবার পরিবারকেও বুঝানো সম্ভব না। এই অবস্থাতে যদি তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিয়ে করে, বিয়েটা কি বৈধ হবে?

জাযাকাল্লাহ খাইর।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সহপাঠীগণ তারা তাদের মাতাপিতাকে বিয়ের জরুরত সম্পর্কে প্রথমে অবগত করবে।যদি তারা নিজে তাদের মাতা-পিতাকে  বলতে না পারে,তাহলে পরিচিতজন বা বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে অবগত করাবে।

মা বাবাকে বিয়ের জরুরত ও প্রয়োজনিয়তা সম্পর্কে অবগত করার পরও যদি মা বাবা বিয়ের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন,এবং অন্যদিকে আপনার সহপাঠীগণ হারামে সংযুক্ত হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে,তাহলে তারা উভয় বিয়ে করে নিতে পারবে।তবে যদি বিয়ের কারণে মাতাপিতার সাথে দূরত্ব সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে বিয়ে না করাই উত্তম।বরং মাতাপিতার চয়েজে বিয়ে করাই উত্তম।

মোটকথাঃ
তাদের জন্য ওয়াজিব, তারা হারাম সম্পর্ককে ছেড়ে দিবে।মাতাপিতাকে বিয়ের জরুরত বুঝাবে।মাতাপিতার পরামর্শে বিয়ে করবে।
এক্ষেত্রে দ্বীনদারিত্বকে প্রদাণ্য দেয়াই দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি অর্জনের উত্তম মাধ্যম হবে।
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
“ অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।” - এটা মানে বুঝি নি। বিয়েটা কি অনুত্তম হলেও হয়ে যাবে?
by (597,330 points)
কু'ফু মিল না থাকাবস্থায়  মেয়ে যদি নিজে নিজে বিয়ে করে,আর বাবা অনুমতি না দেয়,তাহলে বিয়েই হবে না।আর কু'ফু মিল থাকলে,বাবা অনুমতি না দিলেও বিয়ে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...