আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (33 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। সম্মানিত শাইখ, নিচের প্রশ্নগুলোর উত্ত্র দেয়ার অনুরোধ।
১. কেউ যদি খাটে ঘুমায় আর আমি অল্প দূরে ফ্লোরে বসে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারব?
২.আমার বিয়েতে শাড়ি, গহনা থেকে শুরু করে যা কিছু কেনা হয়েছে তা আমার শ্বশুরের টাকা দিয়ে কেনা। উনি ব্যাংকের চাকরি করতেন আর পেনশনের টাকা দিয়ে উক্ত জিনিসপত্র ক্রয় করেছেন। জিনিসগুলো কী আমার জন্য হালাল হবে?

৩. আর আমার বিয়েতে আমার ছোট আংকেল আমাকে নিত্যব্যাবহার্য কিছু হাদিয়া দেন আর সেখানে (সোনার কানের দুল, লেপ, সংসারের ব্যাবিহার্য নানা জিনিস ইত্যাদি) ও আছে। উনি ও ব্যাংকের চাকরি করেন। জিনিসগুলো ব্যাবহার না করে আমার উপায় নেই। জিনিস গুলো আমার জন্য হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (633,150 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কেউ যদি খাটে ঘুমায় আর আপনি অল্প দূরে ফ্লোরে বসে কুরআন তিলাওয়াত করেন, তাহলে এতে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)  
ব্যাংকের সকল চাকুরী নাজায়েয বা হারাম নয়।বরং ব্যাংকের ঐ সকল ডিপার্টমেন্টে চাকুরী করা বৈধ রয়েছে,যেগুলোতে সুদী লেনদেন জড়িত নয়।

ব্যাংকের চাকুরি হারাম হওয়ার মূল কারণ দু’টি।যথা-
১-হারাম কাজে সহায়তা করা।
২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সব প্রকার সহায়তা হারাম নয়।বরং সে সব সহায়তাই হারাম যা সরাসরি হারাম কাজের সহিত জড়িত থাকে। যেমন, সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লিখে রাখা। সুদী টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে উসুল করা, ইত্যাদি ইত্যাদি। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/398


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার শশুড় যদি ব্যাংকের হারাম ডিপার্টমেন্টে চাকুরী করে থাকেন,এবং ঐ হারাম টাকা দ্বারা ঐ সমস্ত জিনিষ ক্রয় করে আপনাকে দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য ঐ সমস্ত জিনিষ ব্যবহার করা জায়েয হবে না। 

(৩) আপনার চাচা যদি ব্যাংকের হারাম ডিপার্টমেন্টে চাকুরী করে থাকেন, এবং সেই হারাম ইনকাম দ্বারা আপনাকে হাদিয়া দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই হাদিয়া গ্রহণ করাও আপনার জন্য জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (633,150 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 236 views
0 votes
1 answer 222 views
...