প্রথমেই বলে নেই, কাউকে প্রশ্ন করতে হলে, কারো নাম নিয়ে প্রশ্ন করবেন না, যেমন আপনি আপনার প্রশ্নে অনেকের নামই উল্লেখ করেছেন, যা এক প্রকার গীবত হয়ে যেতে পারে, আপনি জাস্ট গল্পটা বলবেন এতেই প্রশ্নকারী বুঝে যাবে আপনি কি জানতে চান। এখন আপনার উত্তরে আসা যাক।
(১) ইসলামে খুব কঠোর ভাবে পর্দা করার কথা এসেছে, এখন কোনো মেয়ে যদি সর্বোচ্চ ভালো কথা বলেও + অনেক হাদিস বলেও, মোট কথা খুবই ভালো কিন্তু নিজেই পর্দা করে নাহ, তাহলে অই নারীর উদাহরন হলো একটি ফুটু বা কানা বালতির মত। কানা বালতিতে যতই পানি রাখা হউক তা কি ভরবে? আপনিই বলেন। পর্দার আদেশ স্বয়ং আল্লাহ কোর'আনে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। সুতরাং, মেয়েদের জন্য প্রথম আবশ্যক হলো, পর্দা করা। আপনি সূরা আহযাব এর ৩৩ এবং ৫৩ নাম্বার আয়াত দেখতে পারেন আর সূরা নিসার তাফসীর পড়ে নিতে পারেন।
(২) জায়েজ নেই, কারন পুরুষের পর্দা হলো তার দু চোখ একবার কোনো নারীর প্রতি পড়লে দ্রুত তা সরিয়ে নিতে হবে। তাই যে যত হাদিস বা কোর'আন বলুক না কেনো, সে নিজে যদি কোর'আন ও হাদিসে যা বলা হয়েছে তা অনুযায়ী না চলে তবে কাজ বাতিল। আমাদের ইসলাম হলো কোর'আন এবং সুন্নাহ, কোনো ব্যক্তি নয়।
(৩) আমার পার্সনাল মতামত হলো, যেই তিলাওয়াত শুনলে আল্লাহকে স্মরন হয়, কান্না আসে এসব শুনা উচিত। গানের মত লাগলে না শোনাই উত্তম যতই ভালো লাগুক। কারন কোর'আনের একটা মর্যাদা রয়েছে। তাই ইডিট করা তিলাওয়াত না শুনাই উত্তম। রিয়েল ভয়েসের টা শোনা উচিত।
(৪) মেয়েদের সাথে কোনো মুমিন ব্যক্তির হাসাহাসি বা অহেতুক কথা হতেই পারে না লিখে রাখেন। তবে আপনি ভালো ভালো বিষয় মিউজিক ছাড়া ইত্যাদির ভিডিও পুরুষদের সাথে বানাতে পারেন যা উপকারী হবে সবার জন্য। সব কিছু আল্লাহর জন্য হওয়া উচিত।
(৫) অবশ্যই ঠিক নয়, কারন মেয়ে টি দেখতে বাচ্চাদের মত নয়, ছোট বাচ্চা হলে তার প্রতি স্নেহের ভালবাসা কাজ করে কিন্তু মেয়েটির বয়স ১১ বছর, ইসলামিক দৃষ্টিতে তার বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে, তাই এটা ঠিক হয়নি।
(৬) মক্কার ঈমাম ও যদি মেয়েদের দেখে গজল শোনে বা মেয়েদের কন্ঠ আছে এমন গজল শোনে তা অবশ্যই ঠিক নয়, এটা স্পষ্ট হারাম।
আপনি যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তাদের কেউই আলেম নন, সাধারন পাবলিক ই প্রায়। তাই ভালো আলেমদের ফলো করেন, আর সালাফি আলেমদের আবু ত্বহা আদনান উনাকে ফলো করতে নিষেধ করেছেন, বাকিটা আপনার ইচ্ছা।