আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।

কারো সম্মুখে প্রশংসা করা মোটেও  উত্তম কিছু না, এবং এই সম্পর্কিত কিছু হাদিস দেখেছি আমি।

কিন্তু কারো কোনো কাজের উপকৃত হলে, কোনো কাজের ফিডব্যাক হিসেবে, অতিরিক্ত প্রশংসা না, কিন্তু কাউকে উৎসাহ যোগায় এমন প্রশংসা করলে, কারো আত্মবিশ্বাস বাড়ায় সামনে এগিয়ে যেতে, পিছনের ভুল, গুনাহ থেকে বেরিয়ে আসতে, এমন ভালো কথা তার সম্পর্কে বললে, হয়তো প্রশংসা না করলেও চলত কিন্তু তাকে সাপোর্ট করতে, তার কাজের ভালো দিক কত টুকু আমি দেখেছি, বা যত টুকু আমার কাজে লেগেছে সেটুকু ফিডব্যাক কি দেয়া যাবে না?
(এমন না সে খুব ভালো মানুষ, মহান মানুষ বলে বেশি কিছু না জেনেই প্রশংসা করলাম।।)
closed

1 Answer

0 votes
by (713,880 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম মুনাবী রাহ বলেন,
( فإنه من الذبح ) وذلك لأن المذبوح هو الذي يفتر عن العمل والمدح يوجب الفتور ، أو لأن المدح يورث العجب والكبر وهو مهلك كالذبح ، فلذلك شبه به . قال الغزالي رحمه الله : فمن صنع بك معروفا فإن كان ممن يحب الشكر والثناء فلا تمدحه ؛ لأن قضاء حقه أن لا تقره على الظلم ، وطلبه للشكر ظلم ، وإلا فأظهر شكره ليزداد رغبة في الخير "
হাদীসে যবেহ এজন্য বলা হয়েছে।কেননা যবেহকৃত জিনিষ দুনিয়ার কাজ থেকে সে অবসর হয়ে যায়।ঠিকতেমনি প্রশংসিত ব্যক্তিও প্রশংসার পর আপন কাজে ক্লান্তি অনুভব করে।।অথবা প্রশংসা অহংকারবোধ সৃষ্টি করে,যা ধংসকারী। যেমন যবেহ প্রাণের জন্য ধংসকারী।এজন্য প্রশংসাকে হাদীসে যবেহের সাথে তুলনা করা হয়েছে।ইমাম গাযযালী রাহ বলেন,যদি কেউ তোমাকে কোনো প্রকার ইহসান করে,এবং সে প্রশংসার প্রত্যাশী হয়,তাহলে তার প্রশংসা করবে না।কেননা প্রশংসাকে চাওয়া যুলুমের অন্তর্ভুক্ত।নতুবা ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশংসা করা যাবে। (ফয়যুল কাদীর-৩/১২৯)

ইমাম নববী রাহ বলেন,
مرحبا بالأخ الصالح والنبي الصالح:
এর ফায়দা ও হেকমত আলোচনা পূর্বক লিখেন,
وَفِيهِ جَوَازُ مَدْحِ الْإِنْسَانِ فِي وَجْهِهِ إِذَا أُمِنَ عَلَيْهِ الْإِعْجَابُ وَغَيْرُهُ مِنْ أَسْبَابِ الْفِتْنَةِ.
এদ্বারা বুঝা যায় যে,ফিতনার আশংকা না থাকলে সামনাসামনি যে কারো প্রশংসা করা যেতে পারে।(আল-মিনহাজ-২/২১৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2052

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ প্রশংসার যোগ্য না হলে তার প্রশংসা করা কখনো জায়েয হবে না। এবং কারো ব্যাপারে ফিতনায় পতিত হওয়ার আশংকা থাকলে, তখন তার বাস্তব গুনাগুণের প্রশংসা করাও জায়েয হবে না। তাছাড়া মিথ্যা সংমিশ্রিত প্রশংসা করাতো মোটেই জায়েয হবে না।নতুবা কাউকে নেক কাজের প্রতি উদ্বোদ্ধ করতে তার প্রশংসা করার অনুমোদন রয়েছে।

তবে উত্তম হল,
أحسب فلانا كذا والله حسيبه،
আমি এমনটা মনে করি।আল্লাহ-ই সঠিক জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,880 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...