আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
51 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম।
ধরা যাক,

আমি একজন মাছ বিক্রেতার সাথে মাছ দরদাম করলাম। বিক্রেতা দাম বলল প্রতি কেজি ২১০ টাকা।
আমি বললাম, প্রতি কেজি ২০০ টাকায় দিবেন?
বিক্রেতা ২০০ টাকায় রাজি হল।
তারপর ডিজিটাল ওজন মিটারে যখন মাছ উঠানো হল, মাছের কেজি মিলাতে গিয়ে ওজন মিটারে দাম আসলো ২০৫ টাকা (যেহেতু কাঁটায় কাঁটায় ১কেজি তথা ১০০০ গ্রাম মিলানো সম্ভব হয় না)।

দোকানদার বলল ২০৫ টাকা।
আমি  বিক্রেতাকে ২০০ টাকা দিলাম।
আমি আর কিছু বললাম না, সেও আমার কাছে ৫ টাকা চাইলো না।

★এক্ষেত্রে কি তার ৫ টাকা হক্ব রয়ে যাবে আমার কাছে?
(যেহেতু আমি আগেই প্রতি কেজি ২০০ দরদাম করে নির্ধারণ করেছি) তাই এটা কি আমার দ্বারা বান্দার হক্ব নষ্টের আওতায় পড়বে?

★ অথবা যদি বলি, ভাই ২০০ টাকা দিচ্ছি। উত্তরে সে হ্যা সূচক মৌনতা প্রদর্শন করলো (অর্থাৎ চেহারায় কোন অসন্তুষ্টির ভাব ফুটে উঠলো না), সে ক্ষেত্রে হুকুম কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার উচিৎ ছিল যে, আপনি বিক্রেতাকে ২০৫ টাকাই দিবেন। তারপরও যেহেতু আপনি যখন ২০০ টাকা দিলেন, তখন যেহেতু বিক্রেতা কোনো অভিযোগ করেনি, তাই এক্ষেত্রে বিক্রেতার মৌনসম্মতিই বুঝা যাচ্ছে, সুতরাং আপনার জন্য ঐ মাছ হালাল হবে।ভবিষ্যতে উত্তম ও মুস্তাহাব পদ্ধতির অনুসরণ করবেন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক,আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 90 views
...