আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (20 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,
★বান্দার হক্ব বান্দা ক্ষমা না করলে জাহান্নাম নিশ্চিত তাইনা?? আর সেটা কি চিরস্থায়ী জাহান্নাম নাকি এক সময় জান্নাত পাওয়া যাবে? ?
★আমার এক বোন নিজের প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে একজন পুরুষ থেকে টাকা পয়সা নেয়, আর সে ছেলেটাও দেয় ছেলেটা বোধহয় তাকে বিয়ে করতে চায়।ছেলেটা কে এসে বিয়ে করতে বলেছে ছেলে আসতে পারছেনা। এম্লন হাওলাতে ওর বিয়ে আরেকদিকে করা হবে।  যদিও ওই বোন বলেছে চজেলের প্রতি কোনো মোহাব্বত নাই বিয়ে হলে করবে না হলে নাই।  এরপর আমি সেই বোন কে হক্বের ব্যাপারে বুঝানোর পরে সে এই ছেলে কে মানা করেছে টাকা পয়সা না দিতে বা মানা করে কিন্তু ছেলে দেখা যায় দেয়। আগে ও নিতে চাইতো না এখন অবস্থ্য হয়ে গেছে।লজ্জা টা চলে গেছে!  নির্দিদায় এখন নিজেয় চায়!  সে এই জায়গা থেকে দূরে থাকতে চাইলেও নাকি পারেনা নিজের দরকার বেদরকার ওই ছেলে কে বলে ফেলে।  এদিকে সে এইটা নিয়েও এখন হতাশ যে সে বান্দার হক্ব নষ্টকারী তাই সে ইবাদত করতে পারেনা ভয়ে লজ্জায় নামাজে বা অন্যান্য আমলে মন দিতে পারেনা এই ভেবে যে আল্লাহ তো নারাজ হয়ে গেছে সে কি করবে।
★সে নিজে ছেলেটিকে বুঝিয়েছে এতে ছেলে বলেছে তাকে সে ক্ষমা করে দিয়েছে আর এই টাকা পয়সার কোনো হক্ব সে রাখেনাই এবকং ধার এর উদ্দেশ্য দেয় নাই।আর ক্ষমা চাইসে ছেলে বলেছে ক্ষমা করে দিছে। তবে তার খরচ পাতি বা যা দরকার সব ছেলে চালাবেই।  কিন্তু বোনটি একদিকে অনুতপ্ত অন্যদিকে নফসের সাথে যুদ্ধ সব মিলিয়ে কঠিন হয়ে গেছে।  বেচারি চাচ্ছেনা আর কিছু নিতে।
ছেলেটাকে যদি ও টাকা ফেরত না দিতে পারে বা না দেয়, যদিও সে দিতে চাইসে কিন্তু ছেলে নিবেনা।  তবে সে ক্ষেত্রে সে কিভাবে কাফফারা দিতে পারে? ওই বোন ওই ছেলের জন্য ক্ষমা চায় দোয়া করে।  আর আমাকে বলেছে সে বেশীর ভাগ টাকা সদকা করে দেয় এতিম খানা বা ভিবিন্ন ইভেন্ট এ বা কিছু মহিলাদের জিবিকার কাজে লাগায়৷
এখন সে জানতে চাচ্ছে কাফফারা কিভাবে দিবে আর এই হাওলাতে মরে গেলে জাহান্নামি হয়ে মরবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (677,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
হাশরের ময়দানে বিচারের সময় তার নেক আমল (হক নষ্ট পরিমান হিসেব করে) ঐ ব্যাক্তিকে দিয়ে দেয়া হবে।

নেক আমল যদি শেষ হয়ে যায়,তাহলে ঐ ব্যাক্তির বদ আমল হতে এই ব্যাক্তিকে দেয়া হবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির জাহান্নাম নিশ্চিত নয়।
কোনোভাবে হিসাব নিকাশের পর জান্নাতেও যেতে পারে।

★আর চিরস্থায়ী জাহান্নাম,এটি শুধুমাত্র কাফের মুশরিকদের জন্য।
কোনো মুমিনের জন্য নহে।

(০২)
ছেলেটা যদি তাকে এমনিতেই ঐ টাকা গুলো গিফট হিসেবে  দিয়ে দেয়,তাহলে তো এতে সেই ছেলের হক নষ্ট হবেনা।

কিন্তু ছেলেটা যদি ঋন হিসেবে দেয়,তাহলে জীবনে যেকোনো সময়েই হোক,সেটি শোধ করতে হবে।
নতুবা ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে ছেলেটা যেহেতু দাবী ছেড়ে দিয়েছে,তাই এতে উক্ত মেয়ের উপর কোনো পাওনা নেই।
তাকে কিছুই শোধ করতে হবেনা।  

(তবে এভাবে গায়রে মাহরাম ছেলে থেকে টাকা নেয়া কোনো ভাবেই শরীয়ত সমর্থিত পন্থা নয়।) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...