আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম মুফতী শাইখগণ। আশা করি আল্লাহ আপনাদেরকে আফিয়াতের সাথে রেখেছেন৷
ইদানীং একজন স্বীকৃত ও স্বঘোষিত নাস্তিক ও শাতিমে রাসূলের সাথে আমাদের এক মুসলিম ভাই বাহাস করেছেন। এটার পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মতামতই দেখতে পাচ্ছি। এমনকি অনলাইনে বিচরণ করেন এমন মুহাক্কিক উলামাদের থেকেও ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান দেখতে পাচ্ছি৷ কেউ এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন, আবার কেউ নেতিবাচকভাবে।
যারা ইতিবাচকভাবে দেখছেন তাদের বক্তব্যের খোলাসা হলো: নাস্তিক ও ভ্রান্ত আকীদাহর মানুষদের সাথে এমন বাহাসের নজীর সালাফ-খালাফের সময়ে পাওয়া যায়। যেমন: ইমাম আবু হানীফা রহ: সহ অনেক ইমাম ও মুজতাহিদগণ নাস্তিকদের সাথে বাহাস, মুনাযারা করতেন। তাছাড়া এমন বাহাসের মাধ্যমে মুসলিমদের আকীদাহ বিষয়ক অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়, নাস্তিকরা ধরাশায়ী হয়ে যায়, এদিক থেকেও এটা উপকারী।
যারা নেতিবাচকভাবে দেখছেন, তাদের বক্তব্যের খোলাসা হলো: আমাদের সালাফ-খালাফদের থেকে নাস্তিক ও বিদ'আতীদের সাথে বাহাসের নজীর থাকলেও কুখ্যাত শাতিমে রাসূলের সাথে বাহাসের কোনো নজীর নেই। কেননা, শাতিমে রাসূলের বিষয়টা সেনসিটিভ৷ এজন্য ইবনে খাত্বাল কাবাঘরের গিলাফ ধরে ঝুললেও রাসূল ﷺ তাকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন। সুতরাং শাতিমের সাথে বাহাসে বসা মানেই রাসূল ﷺ এর সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করা। এদের একমাত্র শাস্তি হলো কতল।
মুহতারাম মুফতী শাইখের নিকট প্রশ্ন:
(১) নাস্তিক এবং বিশেষভাবে শাতিমে রাসূলের সাথে এমন বাহাস বা ডিবেটকে ইসলামী শরীয়াত কীভাবে দেখে? ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক? একটু বিস্তারিত দলীল দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
(২) আমাদের সালাফ-খালাফগণ নাস্তিকদের সাথে বাহাস করেছেন, কিন্তু শাতিমে রাসূলদের সাথে করেন নাই, এই কথা কী সঠিক?