আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১. নামাজগুলো কি এলোমেলোভাবে পড়া জায়েজ আছে? অর্থাৎ জোহরের চার রাকাত সুন্নত পরে পড়লাম আগে ৪ রাকাত ফরজ পড়লাম। ফজরের দুই রাকাত সুন্নত পরে পড়লাম, আগে ফরজ পড়লাম। এরকম ভাবে অন্যান্য নামাজের ক্ষেত্রেও কি এইটা কীা যেতে পারে? আরেকটি বিষয় যদি আমি কোনো নামাজের কিছু অংশ পড়ার পরে আবার যদি অল্প বা দীর্ঘ সময় বিরতি নিয়ে পুনরায় সালাত আদায় করি তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে?? যেমন: আমি হয়তো আগে জোহরের চার রাকাত ফরজ করে নিলাম এরপর অল্প সময় বা দীর্ঘ সময় পরে আবার ও দুই রাকাত সুন্নত আদায় করলাম। এরকমভাবে সালাত আদায় করা কি জায়েজ আছে?
২. নামাজের মধ্যে অনেক সময় বায়ু আটকে রাখি। এতে মনে হয় বায়ু বেরোতে চেষ্টা করে,,, কিন্তু বেরোতে পারে না। তখন কেমন একটা অনুভূতি হয়। মানে ভেতর থেকে আওয়াজ হয়। মনে হয় বায়ু বেরোতে চেষ্টা করছে তখন আমি আটকে রাখছি তাই উপরের দিকে চলে যাচ্ছে। আমার মনে হয় বায়ুটা সামনে থেকে বেরোই না। অনুভূতিতে আমি ঠিক বোঝাতে পারছি না। এমন হলে কি ওজু ভেঙে যায়?
৩. লজ্জাস্থানের নিচে যেই ছিদ্রটি রয়েছে সেই ছিদ্রের মুখে সাদাস্রাব জমা হয়ে থাকে সেটি পায়ে বা জামা কাপড় লাগেনা আমি হাত দিলে টেরপাই ওখানে সাদাস্রাব আছে। এখন ওখানে যদি সাদাস্রাব এসে জমা হয়,, তাহলে কি আমার আমার ওজু ভেঙে যায়? দয়া করে হ্যাঁ বা না তে উত্তর দিয়েন।
নামাজের শেষে আমি সাহু সিজদা দিতে চেয়েছিলাম এটা মনে থাকে। কিন্তু অনেক সময় মনে থাকে না কেন সাহু সিজদা দিতে চেয়েছিলাম। অর্থাৎ কোন রাকাতের জন্য বা কোন সেজদার জন্য। এটা মনে রাখা কি জরুরী??
৪. আমি সাদা স্রাব নিয়ে খুব সমস্যাই আছি। মাঝে মাঝে আমার সাদা স্রাব না এসে লজ্জাস্থানে শুধু পানি আসে ঘনঘন। হায়েজের ১০ থেকে ১৫ দিন পরে আমার সাদা স্রাব টা ঘনঘন হয়। তখন হয়তো আমি নামাজের আগে পবিত্র হলাম কিন্তু নামাজটা পড়া শেষ করে আবার সাদাস্রাব দেখতে পেলাম অর্থাৎ শুধু ফরজ নামাজ টুকুও পড়তে পারি না। তার মাঝেও সাদাস্রাব চলে আসে। কখনও আবার ২য় বার নামাজ পড়েও দেখি সাদা স্রাব আছে। কখনো শুধু প্রথমবারে দেখি দ্বিতীয় বার নামাজটা পড়ে আর দেখতে পাই না। এখন যদি এমন ঘনঘন সাদা স্রাব হয়,, লজ্জাস্থানে পানি আসে। তাহলে কি করনীয়? আমি মাজুর নই। কিন্তু বারবার ওজু ভাঙবে আবার একই সালাতের মধ্যে বারবার অজু করে আসবো এটাও তো সম্ভব নয় আমার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই যে সময়টা সাজেশন হয় এই সময়টাতে হয় না আমি ওই সময়টাতে নামাজ আদায় করে নিব এক্ষেত্রে আমি প্রত্যেক সালাতের আগে অজু করে নেই আর ওই অজুতে আদায় করি তাহলে হবে না??
৫. স্বপ্নদোষের পর মজি আসলেও কি গোসল ফরজ হবে?