জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নবী (সাঃ) এর সাথে জান্নাতে ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়ার বিয়ের কথা সঠিক।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
جاء فی بعض الآثار أن مریم و آسیة زوجا رسول اللہ صلی اللہ صلی اللہ علیہ وسلم فی الجنة، أخرج الطبرانی عن سعد بن جنادة قال: قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم إن اللہ زوجني فی الجنة مریم بنت عمران وامرأة فرعون وأخت موسی علیہ السلام وفی ھامشہ: إسنادہ ضعیف (روح المعانی: ۲۸/۴۸۱، دارالحدیث قاہرة)
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাকে জান্নাতে মারইয়াম বিনতে ইমরান এবং ফিরআউনের স্ত্রী,এবং মুসা আঃ এর বোনের সাথে বিবাহ করিয়ে দিবেন।
حدثنا محمد بن نوح بن حرب العسکري ثنا خالد بن یوسف السمتي ثنا عبد النور بن عبد اللہ ثنا یونس بن شعیب عن أبي امامة قال: سمعت رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم یقول لعائشة: أشعرت أن اللہ عزوجل زوجنی فی الجنة مریم بنت عمران وکلثم أخت موسی وامرأة فرعون۔ (المعجم الکبیر: ۸/۲۵۸، ۲۵۹، داراحیاء االتراث العربی) رواہ الطبرانی وفیہ خالد بن یوسف السمتي وہو ضعیف (مجمع الزوائد: ۱۸/۶۲۷، دارالمنہاج جدہ)
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাকে জান্নাতে মারইয়াম বিনতে ইমরান, মুসা আঃ এর বোন কুলছুম এবং ফিরআউনের স্ত্রীর সাথে বিবাহ করিয়ে দিবেন।
(০২)
না,কেউ জান্নাতে তাকে বিয়ে করার আশা পোষন করতে পারেনা বা আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেনা।
এক্ষেত্রে রাসুলের আশেপাশে থাকার দোয়া করা যাবে।
রবীআ ইবনে কা‘ব আসলামী রা. বলেন-
আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে রাত্রি যাপন করতাম। তাঁর জন্য অযুর পানি এনে দিতাম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য খেদমত আঞ্জাম দিতাম। এক রাতে তাঁর ওযুর পানি এনে দিলাম। হঠাৎ আমার কানে প্রবেশ করল এক মধুর আওয়ায; নবীজী বললেন-
سَلْنِي.
তোমার কী চাওয়ার আছে, আমার কাছে চাও রবীআ!
তখন সবিনয়ে আমি আরয করলাম-
أَسْأَلُكَ مُرَافَقَتَكَ فِي الْجَنّةِ.
আল্লাহর রাসূল! আপনার কাছে আমার চাওয়া হল, জান্নাতে আপনার সান্নিধ্য।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
أَو غَيْرَ ذلِكَ.
এটা, না অন্য কিছু চাও?
আমি বললাম-
هُوَ ذاكَ
(আল্লাহর রাসূল!) এটা ছাড়া আমার আর কোনো চাওয়া নেই।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সালাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
فَأَعِنِّي عَلَى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السّجُودِ.
তাহলে অধিক পরিমাণে সিজদা করার মাধ্যমে এ বিষয়ে তুমি আমাকে সাহায্য করো। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৮৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৩২০
★প্রশ্নে উল্লেখিত ভাবনা যেহেতু শুধু তার মনের মধ্যেই ছিলো,তাই এতে তার গুনাহ হবেনা।
তবে সে যদি কনের মধ্যে কোনো বাজে বা কুচিন্তা করে,সেক্ষেত্রে তার গুনাহ হবে।
(০৩)
সেক্ষেত্রে আপনি آمنت بالله ورسوله পড়ে নিবেন। বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।
বেশি বেশি أعوذ بالله من الشيطان الرجيم পড়বেন। তিনবার لا حول ولا قوة الا بالله العلي العظيم পড়ে বাম দিকে ফুক দিতে পারেন/বা বাম দিকে থুথু ফেলতে পারেন।
আরো করনীয় জানুনঃ-