আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in পবিত্রতা (Purity) by (38 points)
আসসালামু আলাইকুম, বাজার থেকে মুরগী কেটে আনলে এখন সেই মুরগীর রক্ত তো নাপাক না। কিন্তু, বিভিন্ন কারনে যখন অনেকগুলো মুরগী কেটে (ঠ্যাং,গিলা সহ) একসাথে এনে রাখা হয় তখন তো অনেক রক্তপানি ফ্রীজে জমে থলথল করে। এখন এই রক্তপানির সাথে নাপাক কিছু আছে কি'না সেগুলো কিভাবে বুঝব? মুরগীর নাড়িভুড়ির লালা গুলো কি এই রক্তপানিতে থাকে?

এগুলো গায়ে ছিটলে পাক থাকা যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (681,840 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/49801/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
মানুষ হোক,বা অন্য কোনো প্রানী,প্রবাহিত রক্তই শুধু হারাম।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ تَمِيمِ الدَّارِيّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوُضُوءُ مِنْ كُلِّ دَمٍ سَائِلٍ»

‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) তামীম আদ্ দারী (রাঃ)হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রবহমান রক্তের কারণেই অযু করতে হবে।
(সুনানে দারা কুতনি ১/১৫৭.মিশকাত ৩৩৩)

★শরীয়তের বিধান হলো প্রানী জবাইয়ের সময় যেই প্রবাহিত রক্ত বের হয়,সেই প্রবাহিত রক্ত নাপাক।
কিন্তু প্রানী জবাইয়ের পর হাড্ডি কাটার সময় বা গোশত কাটার সময় রান হতে বা অন্য কোনো অংশ হতে যাহা কিছু সাধারনত রক্ত বের হয়,বা গোশতের উপর লেগে থাকে,সেটা প্রবাহিত রক্ত নয়।
তাই সেটা নাপাক নয়।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত রক্ত পানি নাপাক নয়।
(জানামতে মুরগীর নাড়িভুড়ির লালা গুলো এই রক্তপানিতে থাকেনা। ঘটনাক্রমে থাকলেও তাতে সেই রক্তপানি নাপাক হবেনা।)

এগুলো গায়ে ছিটে আসলে দেখবেন যে তাতে মুরগীর বিষ্ঠা রয়েছে কিনা?

যদি তাতে মুরগীর বিষ্ঠা না থাকে,সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। আপনার শরীর পাকই থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (38 points)
আচ্ছা মুরগীর বিষ্ঠা থাকে কি না থাকে সেগুলোতো বোঝার কোন উপায়ই নেই। জানিও তো না।
তাহলে শাইখ?
by (681,840 points)
গায়ে ছিটে আসলে সেখানে (ছিটে আসা স্থানে) লক্ষ্য করবেন,তাহলেই বিষয়টি জানতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...