আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
101 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
১. আমার মা আমার স্বামী কে গালি দিয়ে স্যাটার জামাই পাইছি একটা। আমার স্বামী বাচ্চা নিতে চায় না, শ্বশুর বাড়ি পাঠায় দিতে চায় আমাকে এ গুলো নিয়ে রাগ করে আমার মা বলছে এটা। এতে আমার সংসারে কোন ক্ষতি হবে না তাই তো শায়েখ?
২. স্বামী বলছে যদি স্ত্রী হিসাবে থাকতে চাও তাহলে ফার্নিচার নিয়ে চলে যাবা বাপের বাড়ি আর না থাকতে চাইলে সব বিক্রি করে দিবো। আমি বলছি বিক্রি করে দেন। মনে মনে বলছি স্ত্রী হিসাবে থাকতে চাই। তারপর সে বলছে তার মানে বৌ হিসাবে থাকতে চাও না। আমি বলছি মনে মনে স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই বলছি। সে আসলে কোন নিয়তে বলে নাই।  আমি তাকে বলছি আমার টেনশন হচ্ছে সে বলছে তুমি তো বৌ হিসাবে থাকতে চাও না।   এই কথোপকথনে  তো  তালাক বা সংসারে কোন ক্ষতি হবে না তাই তো শায়েখ?

৩. মুরগী মাংস ভাল করে ধোয়ার পর ভাজার পর হালকা হাড্ডি থেকে রক্তের মতো লাল পানি বের হয়। হয়তো ওটা রক্ত। ঐ রক্ত ঝোলের সাথে এবং মুরগীর সাথে থাকলে কি তা খাওয়া হারাম হবে?
৪. অনেক সময় চিনি বা গুড়ো দুধ এ পিপড়া জীবন্ত অবস্থায় ঢোকে। জীবন্ত পিপড়া সহ সেই দুধ বা চিনি চা বা কিছু বানানোর সময় ব্যবহার করলে পরে পিপড়া গুলো ছেকে নিলে তা খাওয়া যাবে?
৫। আমার সংসার বৈধ  আছে তাই তো শায়েখ?
দয়া করে ক্রমিক নম্বর হিসাবে উত্তর দিবেন। আমার বোঝার সুবিধা হবে।  আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম রিজিক দান করুন আমিন

1 Answer

0 votes
by (679,560 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(১.২.৫)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(০৩)
https://ifatwa.info/49801/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
মানুষ হোক,বা অন্য কোনো প্রানী,প্রবাহিত রক্তই শুধু হারাম।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ تَمِيمِ الدَّارِيّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوُضُوءُ مِنْ كُلِّ دَمٍ سَائِلٍ»

‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) তামীম আদ্ দারী (রাঃ)হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রবহমান রক্তের কারণেই অযু করতে হবে।
(সুনানে দারা কুতনি ১/১৫৭.মিশকাত ৩৩৩)

★শরীয়তের বিধান হলো প্রানী জবাইয়ের সময় যেই প্রবাহিত রক্ত বের হয়,সেই প্রবাহিত রক্ত নাপাক।
কিন্তু প্রানী জবাইয়ের পর হাড্ডি কাটার সময় বা গোশত কাটার সময় রান হতে বা অন্য কোনো অংশ হতে যাহা কিছু সাধারনত রক্ত বের হয়,বা গোশতের উপর লেগে থাকে,সেটা প্রবাহিত রক্ত নয়।
তাই সেটা নাপাক নয়।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ঐ রক্ত ঝোলের সাথে এবং মুরগীর সাথে থাকলে তা খাওয়া হারাম হবেনা।
বরং হালাল থাকবে।

(০৪)
ছেকে নেয়ার পর তা খাওয়া যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...