জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।(সূরা নিসা-৪৩)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,কোন জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে আর কোন জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে না।
(وَمِنْهَا الصَّعِيدُ الطَّيِّبُ) يَتَيَمَّمُ بِطَاهِرٍ مِنْ جِنْسِ الْأَرْضِ. كَذَا فِي التَّبْيِينِ كُلُّ مَا يَحْتَرِقُ فَيَصِيرُ رَمَادًا كَالْحَطَبِ وَالْحَشِيشِ وَنَحْوِهِمَا أَوْ مَا يَنْطَبِعُ وَيَلِينُ كَالْحَدِيدِ وَالصُّفْرِ وَالنُّحَاسِ وَالزُّجَاجِ وَعَيْنِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَنَحْوِهَا فَلَيْسَ مِنْ جِنْسِ الْأَرْضِ وَمَا كَانَ بِخِلَافِ ذَلِكَ فَهُوَ مِنْ جِنْسِهَا. كَذَا فِي الْبَدَائِعِ.
যে জিনিষ মাঠির জিনস বা প্রকার থেকে হবে,সে জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম জায়েয রয়েছে।যে জিনিস আগুনে দিলে জ্বলেও না, গলেও না তাহা মাটি জাতীয়। তাহার উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত আছে। যে জিনিস জ্বলিয়া ছাই হইয়া যায় বা গলিয়া যায়,যেমন স্বর্ণ রৌপ্য ইত্যাদি।তাহার উপর দুরুস্ত নহে।এবং ছাইয়ের উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত নহে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬)
তায়াম্মুম পবিত্র মাটি দ্বারা হতে হবে। অথবা মৃত্তিকাজাত বস্তু দ্বারা। যেমন—পাথর, বালু, ধুলা ইত্যাদি। সুতরাং গাছপালা, সোনা, রুপা ইত্যাদি দ্বারা তায়াম্মুম জায়েজ নেই। (সুরা : নিসা, আয়াত : ৪৩; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১৭১৬)
۔
তায়াম্মুমের জন্য রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘পবিত্র মাটিতে সে হাত রাখবে, এরপর মুখ এবং হাতের কব্জি পর্যন্ত একবার মাসেহ করবে।’ এর বাইরে অতিরিক্ত আর কিছুই না।
,
মাটি এবং মাটিজাতীয় যে জিনিস রয়েছে, সেগুলো এই হুকুমের মধ্যে অন্তর্গত।
,
কিন্তু ওয়াল, কাঠ, কাচ বা স্টিল এগুলোর ওপর হাত রেখে আদৌ তায়াম্মুম করা যাবে কি না, সে ব্যাপারে অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, ‘না, মাটির সঙ্গে এগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই, এগুলো দিয়ে তায়াম্মুম হবে না।’
,
কিন্তু একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে, ‘এগুলোর ওপর যদি মাটি জমে গিয়ে থাকে বা মাটির একটি স্তর পড়ে থাকে, এটি নিশ্চিত হন, তাহলে তার তায়াম্মুম হয়ে যাবে।’ কিন্তু এই বক্তব্যটি অনেক দুর্বল।
বিশুদ্ধ বক্তব্য হচ্ছে, মাটির ওপরেই বা মাটিজাতীয় বস্তুর ওপরে হাত রেখেই তায়াম্মুম করতে হবে।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বাসে সফর করা অবস্থায় যদি মাটি না পাওয়া যায়,তবে যদি কোনো ভাবে ধুলা বা বালি ইত্যাদি পাওয়া যায়,তাহলে তা দিয়ে তায়াম্মুম করতে পারেন।
অন্যথায় তায়াম্মুম করার কোনো সুযোগ নেই।
(০২)
এক্ষেত্রে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে কসর করতে হবে।
(০৩)
এক্ষেত্রে সেটির কাজা কসরের পদ্ধতিতেই আদায় করতে হবে।
সেটি চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হলে দুই রাকাত আদায় করতে হবে।
আরো জানুনঃ-
(০৪)
এক্ষেত্রে সুন্নাত নামাজ আদায় না করলে কোনো সমস্যা নেই।
,
বিতর নামাজ পড়া আবশ্যক, না পড়লে পরবর্তীতে তার কাজা আদায় করতে হবে।
আরো জানুনঃ-