আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in সালাত(Prayer) by (47 points)
একজন আলিম বলেছিলেন সফর অবস্থায় সুন্নাত ছেড়ে দেওয়াটাই সুন্নাত। এই বিষয়ে হানাফী মাযহাবের মতামত জানতে চাচ্ছি........................................................................................................ .........................

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


মুসাফির ব্যক্তির জন্য তার চলন্ত অবস্থায় বা তাড়াহুড়া থাকলে ফজরের সুন্নাত ছাড়া অন্যান্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদা না পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক ও স্থির অবস্থায় সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়াই উত্তম।  (এ'লাউস্ সুনান ৭/১৯১, রদ্দুল মুহতার ১/৭৪২)।

 না পড়লেও কোন গোনাহ নেই। তবে ফজরের সুন্নত কাযা না করাই উচিত।
.
যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে সফর অবস্থায় সুন্নাত নামাজ পড়াও প্রমাণিত রয়েছে,তাই সুযোগ থাকলে সুন্নাত আদায় করা উচিত।
,
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ لَهُ فَمَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمِلْتُ مَعَهُ فَقَالَ " انْظُرْ " . فَقُلْتُ هَذَا رَاكِبٌ هَذَانِ رَاكِبَانِ هَؤُلَاءِ ثَلَاثَةٌ حَتَّى صِرْنَا سَبْعَةً . فَقَالَ " احْفَظُوا عَلَيْنَا صَلَاتَنَا " . يَعْنِي صَلَاةَ الْفَجْرِ فَضُرِبَ عَلَى آذَانِهِمْ فَمَا أَيْقَظَهُمْ إِلَّا حَرُّ الشَّمْسِ فَقَامُوا فَسَارُوا هُنَيَّةً ثُمَّ نَزَلُوا فَتَوَضَّئُوا وَأَذَّنَ بِلَالٌ فَصَلَّوْا رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ثُمَّ صَلَّوُا الْفَجْرَ وَرَكِبُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ قَدْ فَرَّطْنَا فِي صَلَاتِنَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم " إِنَّهُ لَا تَفْرِيطَ فِي النَّوْمِ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ فَإِذَا سَهَا أَحَدُكُمْ عَنْ صَلَاةٍ فَلْيُصَلِّهَا حِينَ يَذْكُرُهَا وَمِنَ الْغَدِ لِلْوَقْتِ " .

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সফরে ছিলেন। সে সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিকে মনোনিবেশ করলে আমিও তাঁর সাথে মনোনিবেশ করি। তিনি বললেনঃ লক্ষ্য রাখ। আমি বললাম, এই একজন যাত্রী, এই দু’জন যাত্রী, এই তিনজন যাত্রী। এভাবে আমরা সাতজন হয়ে গেলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা আমাদের ফজর সলাতের ব্যাপারে সজাগ থাক। কিন্তু তাদের সবার কান বন্ধ হয়ে গেল (সকলেই ঘুমিয়ে পড়লেন) এবং গায়ে সূর্যতাপ না লাগা পর্যন্ত তারা ঘুম হতে জাগতে পারলেন না। অতঃপর ঘুম থেকে জেগে কিছু দূর সফর করে তারা (এক স্থানে) অবতরণ করে অযু করলেন। বিলাল (রাঃ) আযান দিলে সবাই প্রথমে ফজরের দু’ রাক‘আত সুন্নাত, অতঃপর ফরয সলাত আদায় করে সওয়ারীতে আরোহণ করলেন। তারপর পরস্পর বলাবলি করতে লাগলেন, আমরা (নির্ধারিত সময়ে) সলাত আদায়ে অবহেলা করেছি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ঘুমের কারণে গাফলতি হলে দোষ নেই। কিন্তু জাগ্রতবস্থায় গাফিলতি করা অন্যায়। তোমাদের কেউ সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যেন স্মরণ হলেই সলাত আদায় করে নেয়। আর পরবর্তী দিন যেন নির্ধারিত সময়ে সলাত আদায় করে (অর্থাৎ সলাত ক্বাযা করা যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়)।

(আবু দাউদ ৪৩৭,মুসলিম (অধ্যায়ঃ মাসাজিদ, অনুঃ ছুটে যাওয়া সালাতের ক্বাযা), আহমাদ (৫/২৯৮), ইবনু খুযাইমাহ (৪১০) ‘আব্দুল্লাহ ইবনু রাবাহ সূত্রে।)

البحر الرائق (2/ 141):
" وقيد بالفرض؛ لأنه لا قصر في الوتر والسنن واختلفوا في ترك السنن في السفر، فقيل: الأفضل هو الترك ترخيصاً، وقيل: الفعل تقرباً، وقال الهندواني: الفعل حال النزول والترك حال السير، وقيل: يصلي سنة الفجر خاصةً، وقيل: سنة المغرب أيضاً، وفي التجنيس: والمختار أنه إن كان حال أمن وقرار يأتي بها؛ لأنها شرعت مكملات والمسافر إليه محتاج، وإن كان حال خوف لايأتي بها؛ لأنه ترك بعذر اهـ
সারমর্মঃ
কেহ কেহ বলেছেন সফর অবস্থায় সুন্নাত ছেড়ে দেওয়াই উত্তম,কেহ কেহ বলেছেন আদায় করাই উত্তম, কেহ কেহ বলেছেন রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া আর গন্তব্যে  পৌছে আদায় করাই উত্তম।  

(ويأتي) المسافر (بالسنن) إن كان (في حال أمن وقرار وإلا) بأن كان في خوف وفرار (لا) يأتي بها هو المختار لأنه ترك لعذر تجنيس، قيل إلا سنة الفجر
وفى رد المحتار- (قوله هو المختار) وقيل الأفضل الترك ترخيصا، وقيل الفعل تقربا. وقال الهندواني: الفعل حال النزول والترك حال السير، وقيل يصلي سنة الفجر خاصة، وقيل سنة المغرب أيضا بحر قال في شرح المنية والأعدل ما قاله الهندواني. اهـ.
قلت: والظاهر أن ما في المتن هو هذا وأن المراد بالأمن والقرار النزول وبالخوف والفرار السير لكن قدمنا في فصل القراءة أنه عبر عن الفرار بالعجلة لأنها في السفر تكون غالبا من الخوف تأمل
সারমর্মঃ
যদি নিরাপদ স্থানে থাকে,তাহলে সুন্নাত নামাজ পড়বে।
অন্যথায় সুন্নাত নামাজ ছেডে দিবে। 

إن الرواتب لا تبقی مؤکدة فی السفر کالحضر، فینبغی مراعاة حال الرفقة فی إتیانہا، فإن أثقل علیہم ترکہا أو أخرہا حتی یأتی بہا علی ظہر الراحلة۔ (إعلاء السنن ۲۹۰/۷کراچی)
সারমর্মঃ
সফর অবস্থায় সুন্নাত নামাজ আর সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হিসেবে থাকেনা।   
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...