আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in সালাত(Prayer) by (51 points)
হুযুর একটা বিষয় স্পষ্ট নয়

প্লেনে সফরের নিয়তে রওয়ানা হলাম,এখানে নিজ বাড়ি থেকে ঢাকা যাওয়া,ঢাকা গিয়ে ২-৩ দিন সেখানে থাকা, আবার ফ্লাইটে চড়া,ফ্লাইট থেকে নেমে অই দেশে নিজ গন্তব্যস্থল পর্যন্ত পৌছা এসময় গুলোতে কি কসর নাকি ফুল সালাত?

প্লেনে থাকা অবস্থায় নামাজের ওয়াক্ত বুঝার উপায় কি?

এগুলা  বুঝতে পারছিনা।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্লেন দ্বারা যদি কেউ ৭৭ কিলোর অধিক জায়গা সফর করে বা সফরের নিয়তে প্লেনে সওয়ার হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই কসর করতে হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ فُرِضَتْ ثَلَاثًا لِأَنَّهَا وِتْرٌ، قَالَتْ: ” وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَافَرَ صَلَّى الصَّلَاةَ الْأُولَى إِلَّا الْمَغْرِبَ، فَإِذَا أَقَامَ زَادَ مَعَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ، لِأَنَّهَا وَتْرٌ، وَالصُّبْحَ، لِأَنَّهُ يُطَوِّلُ فِيهَا الْقِرَاءَةَ “

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম প্রথম নামায দুই রাকাত করে ফরজ হয় মাগরিব ছাড়া। কারণ এটি শুরুতেই ছিল তিন রাকাত। কেননা, এটি দিনের বিতির নামায। তিনি আরো বলেন, রাসূল সাঃ যখন সফর করতেন, তখন তিনি দুই রাকাত করেই পড়তেন, মাগরিব ছাড়া। তথা মাগরিব তিন রাকাতই পড়তেন। তার পরবর্তীতে দুই রাকাতের সাথে দুই রাকাত বৃদ্ধি করা হল মাগরিব ছাড়া। কেননা এটি [দিনের] বিতির। আর ফজরের দুই রাকাতের সাথে বৃদ্ধি করা হয়নি, কেননা এতে লম্বা কিরাত পড়া হয়। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬২৮২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৩০৫, সুনানে সগীর লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২৫৫}

فى تنوير الابصار- (من خرج من عمارة موضع إقامته) قاصدا مسيرة ثلاثة أيام ولياليها بالسير الوسط مع الاستراحات المعتادة صلى الفرض الرباعي ركعتين حتى يدخل موضع مقامه أَوْ يَنْوِيَ إقَامَةَ نِصْفِ شَهْرٍ (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر-2/599-605، قاضى خان-1/164)
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি যদি তিন দিন তিন রাত সমপরিমাণ  দুরত্ব সফর করে,নিজ শহরের মৌজা থেকে বের হওয়া মাত্র ব্যাক্তি চার রাকাত ওয়ালা ফরজকে চার রাকাত করে আদায় করবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তার গন্তব্য যেহেতু ঢাকা ছিলো,তাই এক্ষেত্রে ঢাকা যদি তার এলাকা থেকে ৭৭ কিলোমিটার চেয়ে বেশি দুরত্বে হয়,তাহলে উক্ত ব্যাক্তি ঢাকায় যাওয়ার পথে নিজ এলাকার সীমানা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই কসর আদায় করবে।
ঢাকায় থেকেও কসর আদায় করবে। 

ঢাকা থেকে বিদেশ ভ্রমনের ক্ষেত্রে সে যদি সেই দেশে গিয়ে ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন থাকার নিয়ত করে,সেক্ষেত্রে প্লেনে, সেই দেশে থাকা,এবং আসার সময়েও সে পূর্ণ নামাজ আদায় করবে। 

হ্যাঁ যদি সে বিদেশ গিয়ে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করে,তাহলে সে প্লেনে এবং সেই দেশে গিয়ে থাকা,এবং আসার সময়েও সে কসর নামাজ আদায় করবে। 

প্লেনে নামাজ সংক্রান্ত জানুনঃ 

★প্লেনে থাকা অবস্থায় নামাজের ওয়াক্ত বুঝার উপায়  হলোঃ
যেই দেশে এখন প্লেন রয়েছে,সেই দেশ (গুগল ম্যাপ বা অন্য কোনো সাহায্য নিয়ে) নির্ণয় করে,নির্ভরযোগ্য নামাজের ক্যালেন্ডার বা নির্ভরযোগ্য App থেকে সেই দেশের নামাজের ওয়াক্ত বের করে নামাজ আদায় করা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 55 views
0 votes
1 answer 65 views
...