আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
১)  https://ifatwa.info/43160/
আপনার কথা অনুযায়ী আল্লাহর উপর ভরসা করে বৈবাহিক  সম্পর্ক কন্টিনিউ করেছি।
চেষ্টা চালিয়ে যাই কিন্তুু কোনো না কোনো ভাবে ছোটোখাটো জিনিসেও তার সাথে মেজাজ দেখাই খারাপ ব্যবহার করি কিন্তুু তা যে এমনিতে করেছি এমন ও নয় তার ও কিছু দোষ ছিলো।কিন্তুু সে দোষটা তে রিয়েক্ট না করে ভালো ভাবেও বোঝানো যেত যা আমি করি নি।
মুলত আমার আচরণে তার পতি অবশ্যই জুলুম হয় কথার দারাই যা আমি মানি।  তারপর সে দুইবার কনসিভ করে,দুইবারই মিসক্যারেজ হয়। এর মধ্যে তার জন্য একটু হলেও সফ্ট কর্নার ছিল কিন্তুু আমি কখনো পকাশ করতাম না।
এতো কিছুর পরও সে যখনই বাবার বাড়ি বেড়াতে যায় ছেটোখাটো বিষয় নিয়ে আমার সাথে তর্ক করতো সব সহ্য হয় মুখে মুখে তর্ক টা নিতে পারি না। তারপর মনমানিল্য সাইডে রেখেই তাকে তার বাবা বাড়ি থেকে আনতে গেলে সে আমার সাথে আসতে অস্বীকৃতি জানায় অথচ সেই ফোন করে বলেছিল আমাকে নিয়ে যাও। আমার জেলা থেকে তার বাড়ি যেতে ৫ ঘন্টা সময় লাগে, এতো ব্যস্ততার মাঝেও তাকে আনতে যাই তার পরিবার আমাকে জামাই হিসেবে সেই সম্মান দেয় নাই এবং আমার ওয়াইফ ও আমার সাথে আসে না তাই আমি একাই আবার ব্যাক করি।
তারপর আমার বাবা মা যায় তাকে আনতে আমার বাবা মাকেও তার পরিবার অপমান করে আমার নামে অভিযোগ দিয়ে ২ মাস তাদের বাড়িয়ে আটকিয়ে রেখে তারপর আসতে দেয়।
এরপর  এখানে আসার পর  ৫ মাস আমি তার সাথে কোনো খারাপ আচরণ করি না সে উল্টো আমার সাথে খারাপ আচরণ করা শুরু করে মুখে তর্ক করে। এরপর ও সব মেনে নেই বাবা মার কথায় তারাও আমাকেও বোঝায় তাকেও বোঝায়। তুলনামূলক ভাবে আগের চেয়ে ভালোই চলছিলো সব কিন্তুু ৫ মাস পর যখন আবার বাবার বাড়ি বেড়াতে যায় তখনই সে আবার তর্ক করা শুরু করে তার পরিবারের পরোচনায়।
আমার মা তাকে কিভাবে চলা উচিত বিভিন্ন কথা বোঝালে সে উল্টা বলে আমার মা নাকি খোটা দেয়,  আমার পরিবারের কোনো খোজ খবর নেয় না।
এখন তার এসব আচরণের কারণে তার পতি আর আমার কোনো ভালোবাসাই আসে না। কারণ আমার পতি আমার পরিবারের পতি তার মনে কোনো রেস্পেক্ট, ভালোবাসা দেখি না। সে নিজের পরিবারের কাছে সব কথা বলে দেয়। সিচুয়েশনের কারণে উভয় পরিবারেই আমাদের হাসবেন্ড ওয়াইফ সম্পর্কের সব কিছুই সবাই জানে।

এখনও আমার মা বাবা আমাকে বোঝায় তাকে যেনো না ছাড়ি, দুনিয়ায়, আখিরাতে কল্যাণ পাবো বলে।
কিন্তুু আমি তো তাকে কোনো ভাবে ভালোবাসতেই পারছি না আমি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। আমার কি করা উচিত?
আমি আমার ওয়াইফকে বলেছি যদি ভালো আচরণ করে মিথ্যা কথা না বলে আমার পরিবারের পতি যত্নশীল হতে পারো তবেই আসো সে অনেকদিন যাবত যোগাযোগ করে না আমি কল দিয়ে আবার তর্ক করে আমার রাগ বেশি তর্ক করলে আমিও চুপ থাকতে পারি না আমিও পতিউওর দেই।এখন যখন তারা বুঝতে পারতেসে তার মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছি না এখন আবার সে আমাকে বলে সুন্দর করে চলবে তর্ক করবে না কিন্তুু আমি তাকে আর বিশ্বাস ও করতে পারছি না কারণ সে আগেও এমন বলেছিলো।
এখন আমি আমি তো তাকে কোনো ভাবে ভালোবাসতেই পারছি না আমি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। আমার কি করা উচিত?

( উস্তাদ আপনারা আল্লাহর কালাম যেভাবে স্টাডি করেন আমরা তো সেভাবে পারি না আপনারা knowledgeable person, তাই আপনাদের মতামতকে খুব গুরুত্ব ূিয়ে মানার চেষ্টা করি, আশা করি আমাকে সাহায্য করবেন।)

২) বিয়ের পরদিন আমি খেয়াল করি, আমার ওয়াইফের একটা চোখের প্রবলেম।তার এই চোখের সমস্যা টা সে কিছু সময়ের জন্য ট্যারা থাকে আর নিজে নিজে ঠিক হয়ে যায়। মুলত সে অন্যমনস্ক হলেই এমন হয় তাই আমার সাথে যারা দেখতে যান মেয়েকে তারাও বিষয়টা মানে চোখের সমস্যাটা ধরতে পারে নাই। মানে তার পরিবার এই সমস্যা গোপন রেখেই বিয়েটা দেয়। এটা আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে আমি আমার ওয়াইফের দিকে ভালোবাসার নজরে তাকাইতে পারি না। আমি আমার ওয়াইফকে দুই-তিন বার জিজ্ঞেস করি তোমার এই চোখ কি প্রবলেম কিছু না বলে মাথা নত করে চুপ করে থাকে ইগনোর করার চেষ্টা করে। তার পরিবার যে গোপন রেখে বিয়েটা দিলো এটা কি ইসলামে জায়েজ? ইসলামে এর শাস্তি কি?  এতে কি তা দের গুনাহ হয়েছে?

1 Answer

+1 vote
by (680,960 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


https://ifatwa.info/72018/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
মহান আল্লাহ্ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ وَبِمَآ أَنفَقُواْ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡۚ فَٱلصَّٰلِحَٰتُ قَٰنِتَٰتٌ حَٰفِظَٰتٞ لِّلۡغَيۡبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُۚ وَٱلَّٰتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَٱهۡجُرُوهُنَّ فِي ٱلۡمَضَاجِعِ وَٱضۡرِبُوهُنَّۖ فَإِنۡ أَطَعۡنَكُمۡ فَلَا تَبۡغُواْ عَلَيۡهِنَّ سَبِيلًاۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيّٗا كَبِيرٗا ٣٤ [النساء: ٣٤] 

পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাজতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাজত করেছেন। আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান। [সূরা আন-নিসা: ৩৪] 

 عَنْ حَكِيمِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ؟، قَالَ: «أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ، أَوِ اكْتَسَبْتَ، وَلَا تَضْرِبِ الْوَجْهَ، وَلَا تُقَبِّحْ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ» 

হাকীম ইবন মুআবিয়া রহ. তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করি, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! স্বামীদের উপর স্ত্রীদের কী হক? তিনি বলেন, “যা সে খাবে তাকেও (স্ত্রী) খাওয়াবে, আর সে যা পরিধান করবে তাকেও তা পরিধান করাবে। আর তার (স্ত্রীর) চেহারার উপর মারবে না এবং তাকে গালাগাল করবে না। আর তাকে ঘর হতে বের করে দিবে না। [আবু দাউদ: হাদীস নং ২১৪২।]

স্ত্রী অবাধ্য হলে বাধ্য করার জন্য করনীয়ঃ-

প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে উপদেশ দেওয়া ।
খুব ভালো ভাবে নিজে বুঝানো,তাতে কাজ না হলে মুরব্বিদের মাধ্যমে বুঝানো।
স্ত্রী বাবার বাসার মুরব্বিদের মাধ্যমে বুঝানো।
তাতে কাজ না হলে দ্বিতীয় পদক্ষেপ বিছানা পরিত্যাগ করা ।
তাকে আলাদা বিছানায় থাকতে দেয়া।
প্রয়োজনে আলাদা রুমেও থাকতে পারেন।

এতে কাজ না হলে কিছুদিনের জন্য বাবার বাসায় রেখে আসতে পারেন।

তাতেও কাজ না হলে তৃতীয় পদক্ষেপ মৃদু প্রহার করা। 
,
আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, وَاضْرِبُوهُنَّ এবং তাদেরকে প্রহার করবে। 

এর তাফসীরে হাফেয ইবন কাসীর [রহ.] বলেন, যদি উপদেশ প্রদান ও আলাদা রাখার পরও কোনো কাজ না হয়, স্ত্রীগণ সংশোধনের পথে ফিরে না আসে, তবে হালকা করে তাদেরকে প্রহার করবে। 

জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

 «فَاتَّقُوا اللهَ فِي النِّسَاءِ، فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللهِ، وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللهِ، وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ، فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ، وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ» 

তোমরা স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। কেননা আল্লাহর আমানতে তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছ। আল্লাহর বাণী সাক্ষী রেখে তোমরা তাদের সাথে সহবাস করা বৈধ করেছো। তাদের উপর তোমাদের অধিকার হচ্ছে, তারা তোমাদের গৃহে এমন লোককে প্রবেশ করতে দিবে না যাকে তোমরা পছন্দ কর না। কিন্তু তারা যদি নির্দেশ লঙ্ঘন করে এরূপ করে ফেলে তবে, তাদেরকে প্রহার কর। কিন্তু প্রহার যেন কঠিন ও কষ্টদায়ক না হয়। তোমাদের উপর তাদের অধিকার হচ্ছে, তোমরা সঠিকভাবে নিয়ম মাফিক তাদের খানা-পিনা ও কাপড়ের ব্যবস্থা করবে। [মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে,উভয় পরিবারের মুরব্বিদেরকে এক করে বসা।
পারিবারিক ভাবে সকলের সামনে বিষয়টি সমাধান করা।

তাতেও সমাধান না হলে এক্ষেত্রে পরবর্তীতে যখন সে তর্ক করবে,তখন উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন।

তারপরেও সমাধান না হলে সেক্ষেত্রে আপনি যদি কোনোভাবেই তাকে আর রাখতে না চান,সেক্ষেত্রে এক তালাক দিলে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।

উল্লেখ্য, এক তালাকের বেশি তালাক উচ্চারণও করবেননা,লিখবেননা।

(০২)
আপনি বিবাহের আগে তার পরিবারকে বলেছিলেন যে শারিরীক ভাবে মেয়ের কোনো ত্রুটি আছে কিনা?
তারা যদি সম্পূর্ণ সুস্থ/ত্রুটি মুক্ত বলে দাবী থাকে,সেক্ষেত্রে তাদের ধোকা দেয়ার গুনাহ হবে।

মানুষকে ধোকা দিলে যেই শাস্তি,সেটি আল্লাহ তায়ালা তাদের দিবেন।
হ্যাঁ, আপনি যদি ক্ষমা করে দেন,তাহলে তাহা ভিন্ন কথা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 103 views
0 votes
1 answer 438 views
...