আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি মুঃ আল আমিন । গত ১৭/০৬/২২ইং আইনি ভাবে এবং ১৭/০৭/২২ ইং ধর্মীয় মতে বিবাহ করি।দেনমোহর নগদ বুঝিয়ে দিয়েছি কোন প্রকার যৌতুক নেই নি। বিবাহের আগে আমার মেয়েকে পছন্দ হয়। কিন্তু বিবাহের পড়ে মেয়েকে আমার পছন্দ হয় না। করন হলো। আমি মেয়ে দেখতে গেলে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে কুফরি(তাবিজ ধোয়া পানি পান করানো হয়)করে বসিকরন করে পছন্দ করায় যে আমার পরিবারের সদস্য রা রাজি না থাকা সত্তেও আমি যেদ করে সবার মতের বিরুদ্ধে ঐ মেয়ে কে বিবাহ করি। এবং মেয়ের ও তার পরিবাবের সাথে কথা বললে আমাকে জানানো হয় যে মেয়ে ৫ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন এবং কোরআন মাজিদ পড়তে জানে। কিন্তু বিবাহর পড়ে জানতে পাড়ি মেয়ে কুরআন মাজিদ পড়তে জানে না। সালাতের ব্যপাড়ে উদাসিন।পর্দার ব্যাপারে উদাসিন। তাকে পর্দায় ব্যপারে বধ্য করা হলে সে আমার বাড়িতে পর্দা করে কিন্তু বাবার বাড়িতে গেলে বেগানা পুরুষের সামনে পর্দা ছাড়া চলাফেরা করে। আমার মায়ের সঙ্গে বনোতা নেই।আমার মায়ের মুখে মুখে তর্ক করা কাজের কথা বললে না শোনা ইত্যাদি। এবং বিয়ের পড়ে আমাকে কন্ট্রোল করার জন্য তারা আবারো কুফরি তে লিপ্ত হয় যেমন ভর্তা সাথে তেলপোড়া। পানির সাথে পোড়া পানি মিসিয়ে খাওয়ানো ইত্যাদি। আমি যখন এই কুফরি সম্পর্কে জানতে পাড়ি এবং প্রমানসাপেক্ষে আমার শাশুরির সঙ্গে কথা বলি তিনি তা স্বীকার করে নেন এবং ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা প্রাথনা করেন। এমতো অবস্থায় আমি আমার স্ত্রী কে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেই এবং তালাকের নোটিশ পাঠাই। এমতো অবস্থায় আমার স্ত্রী ফোন করে কান্না করে বলে যে সে এসব কুফরি, তাবিজ, কবজ সম্পর্কে কিছুই জনে না এবং আমার মায়ের সঙ্গে অসৎ আচরন সম্পর্কে ক্ষমা প্রাথনা করে। এবং আমার কাছে ফেরত আসতে চায়।
প্রশ্ন ১ঃতাবিজ করে কোন ছেলেকে বস করে বিয়ে দিলে পড়ে ছেলে যদি ঐ বউ রাখতে না চায় তহলে ইসলামের ফায়সালা কি??
প্রশ্ন ২ঃমেয়ের যদি আসলে দোষী না হয়+(কুফরি জাদুর) ব্যপাড়ে
তার পরিবারের দোষের করনে তাকে তালাক দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন৩ঃজাদুর বসি হয়ে তাকে বিয়ে করেছি কিন্তু এখন তাকে রাখতে চাইনা সে ব্যপাড়ে ইসলাম কি বলে???

প্রশ্ন ৪ঃআমার স্ত্রীর পরিবার থেকে আমাকে জাদু করে তার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে ও বিয়ের পড়ে যে কুফরি যাদু করেছে আমার স্ত্রী নাকি কিছুই জানে না। তবু জদি তাকে তালাক দেই তাহলে আমার গুনা হবে কি। বা তার পরবর্তিতে জীবন (তালাকের করেনে যে পরিবার /সমাজের কাছে যে লান্ছনা বন্ছনার শিকার হবে বা দুঃখ বা কষ্টের শিকার হবে।অথবা অন্য কোথাও বিয়ে না হয় খারাপ পথে চলে যায় তার জন্য কি আমি দায়ী থাকবো???? ইসলাম ধর্মে কি বলা আছে???

1 Answer

0 votes
by (683,680 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


মহান আল্লাহ্ বলেন, 

ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ وَبِمَآ أَنفَقُواْ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡۚ فَٱلصَّٰلِحَٰتُ قَٰنِتَٰتٌ حَٰفِظَٰتٞ لِّلۡغَيۡبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُۚ وَٱلَّٰتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَٱهۡجُرُوهُنَّ فِي ٱلۡمَضَاجِعِ وَٱضۡرِبُوهُنَّۖ فَإِنۡ أَطَعۡنَكُمۡ فَلَا تَبۡغُواْ عَلَيۡهِنَّ سَبِيلًاۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيّٗا كَبِيرٗا ٣٤ [النساء: ٣٤] 

পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাজতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাজত করেছেন। আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান। [সূরা আন-নিসা: ৩৪] 

 عَنْ حَكِيمِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ؟، قَالَ: «أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ، أَوِ اكْتَسَبْتَ، وَلَا تَضْرِبِ الْوَجْهَ، وَلَا تُقَبِّحْ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ» 

হাকীম ইবন মুআবিয়া রহ. তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করি, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! স্বামীদের উপর স্ত্রীদের কী হক? তিনি বলেন, “যা সে খাবে তাকেও (স্ত্রী) খাওয়াবে, আর সে যা পরিধান করবে তাকেও তা পরিধান করাবে। আর তার (স্ত্রীর) চেহারার উপর মারবে না এবং তাকে গালাগাল করবে না। আর তাকে ঘর হতে বের করে দিবে না। [আবু দাউদ: হাদীস নং ২১৪২।]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
স্ত্রী অবাধ্য হলে বাধ্য করার জন্য করনীয়ঃ-

প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে উপদেশ দেওয়া ।
খুব ভালো ভাবে নিজে বুঝানো,তাতে কাজ না হলে মুরব্বিদের মাধ্যমে বুঝানো।
স্ত্রী বাবার বাসার মুরব্বিদের মাধ্যমে বুঝানো।
তাতে কাজ না হলে দ্বিতীয় পদক্ষেপ বিছানা পরিত্যাগ করা ।
তাকে আলাদা বিছানায় থাকতে দেয়া।
প্রয়োজনে আলাদা রুমেও থাকতে পারেন।

এতে কাজ না হলে কিছুদিনের জন্য বাবার বাসায় রেখে আসতে পারেন।

তাতেও কাজ না হলে তৃতীয় পদক্ষেপ মৃদু প্রহার করা। 
,
আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, وَاضْرِبُوهُنَّ এবং তাদেরকে প্রহার করবে। 

এর তাফসীরে হাফেয ইবন কাসীর [রহ.] বলেন, যদি উপদেশ প্রদান ও আলাদা রাখার পরও কোনো কাজ না হয়, স্ত্রীগণ সংশোধনের পথে ফিরে না আসে, তবে হালকা করে তাদেরকে প্রহার করবে। 

জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

 «فَاتَّقُوا اللهَ فِي النِّسَاءِ، فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللهِ، وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللهِ، وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ، فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ، وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ» 

তোমরা স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। কেননা আল্লাহর আমানতে তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছ। আল্লাহর বাণী সাক্ষী রেখে তোমরা তাদের সাথে সহবাস করা বৈধ করেছো। তাদের উপর তোমাদের অধিকার হচ্ছে, তারা তোমাদের গৃহে এমন লোককে প্রবেশ করতে দিবে না যাকে তোমরা পছন্দ কর না। কিন্তু তারা যদি নির্দেশ লঙ্ঘন করে এরূপ করে ফেলে তবে, তাদেরকে প্রহার কর। কিন্তু প্রহার যেন কঠিন ও কষ্টদায়ক না হয়। তোমাদের উপর তাদের অধিকার হচ্ছে, তোমরা সঠিকভাবে নিয়ম মাফিক তাদের খানা-পিনা ও কাপড়ের ব্যবস্থা করবে। [মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনাকে যেভাবেই বিবাহ করানো হোক,তারপরেও উক্ত স্ত্রী আপনার অবাধ্য। 

সুতরাং পরামর্শ থাকবে তাকে বাধ্য করার জন্য ও পূর্ণ শরীয়তের উপর চালানোর জন্য উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করা।

এরপরে কাজ না হলে তাকে তালাক দিলে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।

এক্ষেত্রে তালাক পরবর্তী জীবনে সমাজের কাছে লাঞ্চনা বঞ্চনার শিকার হলে পরবর্তীতে বিবাহ না হলে,আপনি কোনো দায়ী থাকবেননা।
এতে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...