আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
১।কিছু কিছু বাক্য আছে যেগুলো মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে বললে (তালাকের নিয়ত ছাড়া) কাজায়ান হয় দিয়ানাতান হই না।এতে সংসার করা যাই।আর কিছু বাক্য আছে যে নিয়ত ছাড়া বললে কাযায়ান ও হয় না।এখন প্রশ্ন হল....কি কি বাক্য যে গুলো নিয়ত ছাড়া বল্লেও কাযায়ান দিয়ানাতান উভয় তা..ক হই?মানে সংসার করা যাবে না।

২।মুযাক্বারায়ে ছাড়া এবং হাসবেন্ড  এর নিয়ত ছাড়া কি কি বাক্য বললে কাযায়ান দিয়ানাতান উভয় হয়। এরকম কি কোন বাক্য আছে নিয়ত ছাড়া বললে হয়ে যাই।

৩।ধরেন হাসবেন্ড কথায় কথায় বলে তুমার যা মন চাই তাই কর গা।যেভাবে ভাল লাগে বা জা করলে ভাল লাগে তাই কর।((তুমার বেপার, তুমার বিষয়, তুমি বুজ গা।তুমার ইচ্ছা.... এগুলা জানার জন্য ))।একেক সময় একেক টা বলে।সে এসব অধিকার দেওয়ার নিয়তে বলে না।সে এগুলা দিয়া বুজাই আমার ইচ্ছা হলে রিলেশন করতে পারি জেভাবে ইচ্ছা চলতে পারি।কাজের সাধিনতা বুজাই।কিন্তু ছাড়া ছাড়ি এসব বুজাই না।তাইলে ত অধিকার দেওয়া হবে না।আর অধিকার দেওয়া নিয়তে বললে তা সাময়িক।এমন উত্তর এখান থেকে দেওয়া হইছে।এখন প্রশ্ন হল.......

মুযাক্বারায়ে এর ক্ষেত্রে হাসবেন্ড যদি নিয়ত ছাড়া এসব বলে তাহলে কোন ধরনের তা...ক হবে?কাযায়ান নাকি দিয়ানাতান নাকি উভয় নাকি অধিকার দেওয়া বুজাবে সাময়িক নাকি স্থায়ী। হাসবেন্ড স্পষ্ট করে বলছে এসব বলা দারা সে ছাড়া ছারি কিছু বুজাই নাই।রিলেশন করা বা অন্য জেকোণ কাজ বুজাইছে।তাহলে এতে কি হবে। মানে নিয়ত ছাড়া এসব বললে কি হবে??
যদি সমস্যা হয় তাহলে ৩ নংং এর কোন বাক্য দারা সমস্যা হতে পারে উল্লেখ করে দিলে বুজতে সুবিধা হবে।সব বাক্য দারা ত আর সমস্যা হবে না

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।


আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...