আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (41 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। কস্ট করে উত্তর দিয়েন সবগুলো পড়ে

আমি একজন মহিলা।আমার আর আমার স্বামীর বিয়ে ১ম এ আমার বাসায় মা মেনে নেই নি।তহ ওই কথাগুলো কাল স্বামী আমাকে বলতেছিল। ফোনে এবং মেসেজে কথা হয় আমাদের।আমি এখনও বাপের বাড়িতে থাকি।তহ কথা যখন উঠল তখন স্বামী বলতেছিল "না মানলে তুমার আব্বু আমি তোমাকে ছেড়ে দিতাম নাকি? তুলে নিয়ে আসতাম আমার বউ"।তারপর আরো কিছু কথা হয় তখন বলতেছিল" তুমার সাথে আমার সম্পর্ক অনেকদিনের।যদি এতটুকুতে তুমাকে অন্য কোথাও বিয়ে  দেয়  দুই দিন রাখবে না তুমাকে গ্যারান্টি নাও"।এটা একটা কথার কথা বুঝানোর জন্য বলেছে কোন আমাকে ছেড়ে  দিবে এইরকম না।এইরকম বুঝানোর  দ্বারা কি তালাক হবে?হুজুর আমার স্বামী আমাকে তালাকের অধিকার  দিছে।সেটা নিয়ে আমার খুব চিন্তা হয়।"মনে মনে নিজের নফসকে তালাক দিলে কি তালাক হবে"এটা গুগলে সার্চ দিয়েছি।তখন থেকে ভয় আরো বেশি হচ্ছে।আমি এই চিন্তা আসলে সহ না না করি।মাঝে মাঝে স্বামীর সাথে আর সংসার করব না ভাবতাম।কিন্তুু নফসকে তালাক দি নি।স্বামীর সাথে মেসেজে কথা হয় মাঝে মাঝে রাগ করে বা ঝগড়া করে বা না ফেলে মেসেজে  bye বলে মেসেজ দেই না।আবার মাঝে মাঝে রাখ তহ মেসেজ দিবে না আর/ আর কোনদিন/কথা বলিও না আর,, বেশি রাগ উঠলে / আমি তালাক চাইলে এমন বলত বলে মনে হচ্ছে।ঠিকি পরে মেসেজ দিত কিছুক্ষণ পর বা ১- ২ ঘন্টা পর।কিন্তু তালাক দেইনি কোনদিন।এগুলো কি কেনায়া বাক্য?এসব কিছু দ্বারা কি তালাক হবে?এসব নিয়ে মারাত্বক চিন্তায় আমি।আরো কিছু কথাঃ

হুজুর আমাদের আগে প্রায়  সময়,মনমালিন্যে ঝগড়া হত।তখন কেনায়া তালাকের কথা বললেও কি কি বলেছে আমার মনে নেই। স্বামীর ও  মনে নেই।মাঝে মাঝে একটু একটু মনে পড়ে।কিন্তুু এর পর কি বলেছে,তালাকের  মজলিস ছিল কিনা  মনে পড়ে না।একদিনের কথা অন্যদিনের কথার সাথে গুলিয়ে যায়।আমি ভয়ে কিছু করতেও পারতেছি না।বুঝতেছি না কথাগুলো কি স্পষ্ট মনে পরতেছে নাকি আমার চিন্তাধারনা। এ অবস্হায় করণীয় কি? আজ   পাশের বাড়িতে বউ তালাক খুজেছে স্বামীও বলতেছে যা।আমি শুনে ভয়,পাচ্ছি। আমিও আগে চাইতাম।স্বামী কি বলত মনে নেই স্পষ্ট।যত চাই ভুলে যেতে তত বিষয়টা আমার ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। কিছুতেই ভুলতে পারতেছি না তালাকের ব্যপার টা।আমার সব কথা গুলিয়ে যায়।একদিনের কথার সাথে অন্যদিনের কথার।একটা স্বাভাবিক কথা নিয়েও মনে হয় এই কথার সময় কেনায়া বাক্য বলেছিল কিনা। বুঝতেছি না আমার কি স্পষ্ট মনে পড়ে নাকি পড়ে না।কি করব আমি?আমি পুরো পাগলের মত হয়ে যায় বিষয়টা নিয়ে।ভাবি যদি আমার কথা গুলো স্পষ্ট মনে পড়ে কিনা বুঝতেছি না কি জবাব দিব আল্লাহ কে।আমি কোথাও শান্তি পাচ্ছি না।বার বার  মনে হচ্ছে আমার সংংসার বৈধ নাই।স্বামীকেও বলতে পারি না।ওনি না বলতে বলেছেন এই বিষয়ে কথা বার বার জিগ্যেস করেছি তাই।কি করব আমি?ভয়ে আমি কিছুই করতে পারতেছি না।মোবাইলে মেসেজে কথা হয় তহ।রাগ করে যদি রাখ,bye, মেসেজ দিও না আর, চলে যাব,চলে যাচ্ছি এসব বললে সহ ভয় লাগে।কি করব বুঝতেছি না

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক শব্দ। এটি খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পুরো বিষয় পড়েছি।
আপনি নিশ্চিত থাকুন,কোনো তালাক হয়নি।আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল আছে।
কোনো সমস্যা হয়নি।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...