আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in সালাত(Prayer) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমার হায়েজের সময়সীমা নির্ধারিত নয়। একেক মাসে একেক রকম। তাই প্রতি মাসেই চেক করতে হয় হায়েজ কখন শেষ হয়। আমি সপ্তম দিন আসরের পর ৫.৪৫ এও দেখলাম হলুদ স্রাব আসছে। তারপর আর গাফেলতির কারণে চেক করা হয়নি। পরদিন ১০টার সময় চেক করে দেখি আমি সুস্থ। এখন মধ্যবর্তী সময়গুলোর নামায কি আমাকে ক্বাযা আদায় করতে হবে?

আমার মনে হচ্ছিল সুস্থ হয়ে যাব কিন্তু চেক না করার কারণে সুস্থ কখন হয়েছি বলতে পারছিনা। এটা আমার গাফেলতির দোষ। শুনেছি ত্বহুর কখন এসেছে না জানা থাকলে শুধু পূর্ববর্তী ওয়াক্ত ক্বাযা আদায় করলেই হয়। কিন্তু আমি তো গাফেলতির কারণে তা জানিনা। আমি কি এটার উপর আমল করতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَلِيٌّ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْهَرٍ - عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ إِذَا طَهُرَتْ قَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَطْهُرُ فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ يَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .

আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... মুআযা আদাবীয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন কি সে সালাত কাযা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।
(নাসায়ী শরীফ ২৩২০।)

একটি মূলনীতি হলো,
الأصل في كل حادث تقديره بأقرب زمن .
সারমর্মঃ 
প্রত্যেক বের হওয়া বস্তুর ক্ষেত্রে যদি ওয়াক্ত নির্ণয় সম্ভব না হয়,তাহলে সেটি নিকটতম ওয়াক্তের সাথে সম্পৃক্ত হবে।

ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ 

لو رأت المرأة الحيض ، ولم تعلم زمن نزوله ، هل كان قبل الغروب أو كان بعده ؟ ففي هذه الحال يحمل وقت نزول الدم على أقرب الوقتين ، وأقرب الوقتين في مسألتك : أن الدم نزل بعد الغروب .
সারমর্মঃ
কোনো মহিলা যদি হায়েজ দেখে,সেটি বের হওয়ার সময় না জানে,যে এটি কি সূর্য ডুবে যাওয়ার পর এসেছে না কি তার আগে?
তাহলে নিকটতম ওয়াক্তের সাথে বিষয়টি সম্পৃক্ত হবে।

وقد سئل الشيخ محمد بن محمد المختار الشنقيطي حفظه الله عن : امرأة رأت شيئاً من دم الحيض بعد صلاة المغرب ، ولم تعلم هل كان ذلك قبل الغروب أم بعده ؟ ، فما الحكم بالنسبة لصلاتها وصيامها ؟
فأجاب : " إذا رأت الدم وغلب على ظنها أنه سابق للغروب ، فلا إشكال أن صوم ذلك اليوم لاغٍ ويلزمها قضاؤه .
وأما إذا كانت قد غلب على ظنها أن الدم طري ، وأنه حادث بعد المغرب : فلا إشكال في صحة صومها ، ولزوم صلاة المغرب إذا طهرت ؛ فإنها تقضيها وتصليها .
وأما إذا ترددت وشكت ، فالقاعدة عند العلماء رحمهم الله تقول : ( ينسب لأقرب حادث ) ، فالأصل صحة الصوم حتى يدل الدليل على عدم صحته
সারমর্মঃ
মুহাম্মাদ মুখতার শানকিতী (হাফিঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো,
কোনো মহিলা মাগরিবের নামাজের পর হায়েজ দেখেছে,তার এটি জানা নেই,যে এটি কি সূর্য ডুবে যাওয়ার পর এসেছে না কি তার আগে?
এক্ষেত্রে কোনটার সাথে এর সম্পর্ক হবে?

জবাবে তিনি বলেন,
তার যদি প্রবল ধারনা হয় যে এটি সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে এসেছে, তাহলে তার সেদিনের রোযা অনার্থক হবে,পুনরায় সেটির কাজা আবশ্যক হবে।

আর যদি তার প্রবল ধারনা হয় যে এটি সূর্য ডুবে যাওয়ার পরে এসেছে, তাহলে সেই রোযা সহীহ।

আর যদি তার কোনো দিকেই প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে সে নিকটতম ওয়াক্ত ধরবে,তথা সে মনে করবে যে এটি সূর্য ডুবে যাওয়ার পরে এসেছে, তাই তার এই রোযা সহীহ হবে।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।

আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে মাগরিবের আগেই আপনার হায়েজ শেষ হয়েছিলো,তাহলে আসর সহ মধ্যবর্তী সময়গুলোর সব নামাজের কাজা আদায় করবেন।

আর যদি প্রবল ধারণা হয় যে ঈশার আগে আপনার হায়েজ শেষ হয়েছিলো,তাহলে মাগরিব, ঈশা,ফজর নামাজ গুলোর কাজা আদায় করবেন।

আর যদি প্রবল ধারণা হয় যে ফজরের আগে আপনার হায়েজ শেষ হয়েছিলো,তাহলে ঈশা আর ফজর নামাজের কাজা আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 67 views
...