আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
284 views
in সাওম (Fasting) by (81 points)
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। শায়েখ কোন মেয়ে রোজা ও রেখেছে এবং ইফতার ও করেছে।তারপর মাগরীবের নামাজ পড়ার জন্য অযু করতে গিয়ে বাথরুমে সে  দেখে সে মাসিক হয়েছে।কাপড়েও লেগেছে।এখন সে বুঝতেছে না কখন মাসিক হয়েছে।ইফতারের মানে আযান দেওয়ার আগে না পরে।এমন অবস্হায় কি ওর রোজা ভেন্গে যাবে? মানে পরে আবার রেখে দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَلِيٌّ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْهَرٍ - عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ إِذَا طَهُرَتْ قَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَطْهُرُ فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ يَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .

আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... মুআযা আদাবীয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন কি সে সালাত কাযা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।
(নাসায়ী শরীফ ২৩২০।)

একটি মূলনীতি হলো,
الأصل في كل حادث تقديره بأقرب زمن .
সারমর্মঃ 
প্রত্যেক বের হওয়া বস্তুর ক্ষেত্রে যদি ওয়াক্ত নির্ণয় সম্ভব না হয়,তাহলে সেটি নিকটতম ওয়াক্তের সাথে সম্পৃক্ত হবে।

ومعنى القاعدة : أنه إذا حدث أمر ما ، وأمكن أن يكون وقته قريباً أو بعيداً ، وليس هناك ما يرجح أيا من الاحتمالين ؛ فوقته المعتبر هو أقرب الوقتين لحدوثه ؛ لأن هذا الوقت هو الذي تيقنا أنه حدث فيه ، والآخر مشكوك فيه .

এই কায়েদার অর্থ হলোঃ
যদি কোনো জিনিস বের হয়,এবং সম্ভাবনা রয়েছে যে এর বের হওয়ার ওয়াক্ত নিকটেও হতে পারে,দূরেও হতে পারে,এবং সেখানে কোনো একটিকে প্রাধান্য দেয়ার মতো কোনো দলিল ইত্যাদি  না পাওয়া যায়,তাহলে নিকটতম ওয়াক্তই উদ্দেশ্য হবে।

ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ 

لو رأت المرأة الحيض ، ولم تعلم زمن نزوله ، هل كان قبل الغروب أو كان بعده ؟ ففي هذه الحال يحمل وقت نزول الدم على أقرب الوقتين ، وأقرب الوقتين في مسألتك : أن الدم نزل بعد الغروب .
সারমর্মঃ
কোনো মহিলা যদি হায়েজ দেখে,সেটি বের হওয়ার সময় না জানে,যে এটি কি সূর্য ডুবে যাওয়ার পর এসেছে না কি তার আগে?
তাহলে নিকটতম ওয়াক্তের সাথে বিষয়টি সম্পৃক্ত হবে।

 " الموسوعة الفقهية " (26/194) : " ومن هذا القبيل ما جاء عن الفقهاء من أن المرأة إذا رأت دم الحيض ولم تدر وقت حصوله ، فإن حكمها حكم من رأى منيا في ثوبه ، ولم يعلم وقت حصوله , أي : عليها أن تغتسل وتعيد الصلاة من آخر نومة , وهذا أقل الأقوال تعقيدا وأكثرها وضوحا " انتهى সারমর্মঃ
কোনো মহিলা যদি হায়েজ দেখে,সেটি বের হওয়ার যদি ওয়াক্ত না জানে,তাহলে তার বিধান ঐ ব্যাক্তির ন্যায়,যে কাপড়ে বীর্য দেখেছে,অথচ সেটি বের হওয়ার সময় জানা নেই।
সে ঘুমের শেষে গোসল করবে,উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করবে।     

وقد سئل الشيخ محمد بن محمد المختار الشنقيطي حفظه الله عن : امرأة رأت شيئاً من دم الحيض بعد صلاة المغرب ، ولم تعلم هل كان ذلك قبل الغروب أم بعده ؟ ، فما الحكم بالنسبة لصلاتها وصيامها ؟
فأجاب : " إذا رأت الدم وغلب على ظنها أنه سابق للغروب ، فلا إشكال أن صوم ذلك اليوم لاغٍ ويلزمها قضاؤه .
وأما إذا كانت قد غلب على ظنها أن الدم طري ، وأنه حادث بعد المغرب : فلا إشكال في صحة صومها ، ولزوم صلاة المغرب إذا طهرت ؛ فإنها تقضيها وتصليها .
وأما إذا ترددت وشكت ، فالقاعدة عند العلماء رحمهم الله تقول : ( ينسب لأقرب حادث ) ، فالأصل صحة الصوم حتى يدل الدليل على عدم صحته
সারমর্মঃ
মুহাম্মাদ মুখতার শানকিতী (হাফিঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো,
কোনো মহিলা মাগরিবের নামাজের পর হায়েজ দেখেছে,তার এটি জানা নেই,যে এটি কি সূর্য ডুবে যাওয়ার পর এসেছে না কি তার আগে?
এক্ষেত্রে কোনটার সাথে এর সম্পর্ক হবে?

জবাবে তিনি বলেন,
তার যদি প্রবল ধারনা হয় যে এটি সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে এসেছে, তাহলে তার সেদিনের রোযা অনার্থক হবে,পুনরায় সেটির কাজা আবশ্যক হবে।

আর যদি তার প্রবল ধারনা হয় যে এটি সূর্য ডুবে যাওয়ার পরে এসেছে, তাহলে সেই রোযা সহীহ।

আর যদি তার কোনো দিকেই প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে সে নিকটতম ওয়াক্ত ধরবে,তথা সে মনে করবে যে এটি সূর্য ডুবে যাওয়ার পরে এসেছে, তাই তার এই রোযা সহীহ হবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,  
প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলার  যদি প্রবল ধারনা হয় যে এটি সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে এসেছে, তাহলে তার সেদিনের রোযা অনার্থক হবে,পুনরায় সেটির কাজা আবশ্যক হবে।

আর যদি তার প্রবল ধারনা হয় যে এটি সূর্য ডুবে যাওয়ার পরে এসেছে, তাহলে সেই রোযা সহীহ।

আর যদি তার কোনো দিকেই প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে সে নিকটতম ওয়াক্ত ধরবে,তথা সে মনে করবে যে এটি সূর্য ডুবে যাওয়ার পরে এসেছে, তাই তার এই রোযা সহীহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 219 views
...