ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)
প্রতি সাপ্তাহে স্ত্রী সে তার মাতাপিতার সাথে সাক্ষাৎ করবে। এতেকরে কেউ স্ত্রীকে বাধা দিতে পারবে না। চায় স্ত্রী নিজে গিয়ে দেখা করে আসুক বা মাতাপিতা এসে দেখা করে যাক,সাপ্তাহে একবার মাতাপিতার সাথে সাক্ষাৎ করা স্ত্রীর অধিকার।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাতাপিতা এবং স্বামী তাদের সবারই অনুসরণ ওয়াজিব। মাতাপিতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা স্ত্রীর একান্তু দায়িত্ব ও কর্তব্য। ঠিকতেমনিভাবে স্বামীর জন্য তার মাতাপিতার সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা স্বামীর একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
প্রশ্নের বিবরণমতে স্বামী তার স্ত্রীকে মাতাপিতার সাথে কথা বলতে বারণ করতে পারবে না।এভাবে বাধা প্রদাণ স্বামীর জন্য জায়েয হবে না।