আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
১)মেয়েদের যুলফি মানে কানের নিয়ে যেই চুল বা পশম সেগুলো তুলে ফেলা জায়েজ আছে কি?

(আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতক নারীদের অভিশাপ দিয়েছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

لَعَنَ اللَّهُ الواشِماتِ والمُسْتَوْشِماتِ، والنامصات والمُتَنَمِّصاتِ، والمُتَفَلِّجاتِ لِلْحُسْنِ، المُغَيِّراتِ خَلْقَ اللَّهِ

আল্লাহ তায়ালা ঐসকল মহিলাদের অভিসম্পাত করেন, দেহে উল্কি আঁকায় [১], অন্যকে উল্কি আঁকাতে উৎসাহিত করে, চেহারার (গালের, ক্রর, যুলফির পশম তুলে ফেলে [২], অন্যকেও করার জন্য উৎসাহ দেয় [৩], দাঁত ঘষে ঘষে মসৃণ করে সৌন্দর্য্যের জন্য [৪], এবং আল্লাহর সৃষ্টাবস্থার পরিবর্তন করে।)

২) মেয়েরা স্বামীর সামনে শার্ট গেঞ্জি পরিধান করতে পারবে কি?
৩) মেয়েরা স্বামীর সামনে জিন্স পরিধান করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (675,800 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
স্বামীর সামনে সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য প্রদর্শন শুধু বৈধই নয় বরং করণীয়। হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ-رضي الله عنه- عَنِ النَّبِيِّ –ﷺ-، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: مَا اسْتَفَادَ الْمُؤْمِنُ بَعْدَ تَقْوَى اللَّهِ خَيْرًا لَهُ مِنْ زَوْجَةٍ صَالِحَةٍ، إِنْ أَمَرَهَا أَطَاعَتْهُ، وَإِنْ نَظَرَ إِلَيْهَا سَرَّتْهُ، وَإِنْ أَقْسَمَ عَلَيْهَا أَبَرَّتْهُ، وَإِنْ غَابَ عَنْهَا نَصَحَتْهُ فِي نَفْسِهَا وَمَالِهِ

আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন,  কোনো মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ্ভীতির পর উত্তম যা লাভ করে তা হলো পুণ্যময়ী স্ত্রী। স্বামী তাকে কোন নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে; সে তার দিকে তাকালে (তার বাহ্যিক সাজসজ্জা ও চরিত্রের মাধুর্যতা) তাকে আনন্দিত করে এবং সে তাকে শপথ করে কিছু বললে সে তা পূর্ণ করে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাযত করে। (সুনান ইবন মাজাহ ১৮৫৭)

কোনো সাজসজ্জা হারাম হওয়ার ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত দলিল পাওয়া যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তা বৈধ। আর হারাম হওয়ার দলিল পাওয়া গেলে তা অবৈধ। কেননা, বস্তুর মূল হচ্ছে, বৈধতা। আল্লাহ তাআলা বলেন,

قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللّهِ الَّتِيَ أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالْطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ

আপনি বলুন, আল্লাহর সাজসজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? (সূরা আ’রাফ ৩২)

(قوله والنامصة إلخ) ذكره في الاختيار أيضا وفي المغرب.

النمص: نتف الشعر ومنه المنماص المنقاش اهـ ولعله محمول على ما إذا فعلته لتتزين للأجانب، وإلا فلو كان في وجهها شعر ينفر زوجها عنها بسببه، ففي تحريم إزالته بعد، لأن الزينة للنساء مطلوبة للتحسين، إلا أن يحمل على ما لا ضرورة إليه لما في نتفه بالمنماص من الإيذاء. وفي تبيين المحارم إزالة الشعر من الوجه حرام إلا إذا نبت للمرأة لحية أو شوارب فلا تحرم إزالته بل تستحب المخنث (رد المحتار على الدر المختارن كتاب الحظر والاباحة، فصل فى النظر والمس-6/373) 
যার সারমর্ম হলো মহিলার চেহারায় যদি চুল হয়, স্বামীর যদি এতে কষ্ট হয়,  তাহলে স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সেই চুল উপরে ফেলা,জায়েজ আছে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জুলফি বলা হয় কানের পাশ থেকে গালের কিছুদূর পর্যন্ত রাখা দাড়ি।
মেয়েদের জন্য তাহলে স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সেই চুল উপরে ফেলা,তুলে ফেলা জায়েজ আছে। 

(২.৩)
https://ifatwa.info/76698/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
স্বামীর সামনে ছেলেদের পোশাক পরিধান করার রুখসত থাকলেও পরিধান না করাই উত্তম।

সুতরাং মেয়েদের জন্য শুধুমাত্র স্বামীর সামনে শার্ট গেঞ্জি,জিন্স পরিধান করার রুখসত থাকলেও পরিধান না করাই উত্তম।
পরিধান না করাই তাকওয়ার দাবী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...