আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
edited by
আআসসালামু আলাইকুম হুজুর জানার জন্য জিজ্ঞেস করা।

১।ধরেন এক ছেলে ও এক মেয়ের রিলেশন। মেয়ের বাবা তার সমাজে সম্মানিত ব্যক্তি।মানে তার জাইগা জমি অনেক এমন কি সে একজন শিক্ষক। তার দিন দারি ও ভাল। সুদ খাই না।নামাজ পরে।অপর দিকে ছেলের বাবার তেমন উচ্চ বংশের না।জমি বলতে শুধু থাকার জন্য ২ডিসিমেল জমি আছে।নামাজ পরে না।ছেলে আর মেয়ে মাজে মাজে নামাজ পরে।কিন্তু ছেলে কিছু করে না।মানে বেকার।ছেলের বারি শহরে মেয়ের বারি গ্রাম।। তাদের কুফু কি ঠিক আছে।যেহেতু হানাফি মাঝহাব অনুযায়ী কুফুর ক্ষেত্রে বংশ মরযাদা আরথিক অবস্থা বিবেচনায় রাখতে হই।তাদের খাবার দাবার অভাব নেই কিন্তু তাদের বারি করার মত যতেসঠ জমি নাই।ছেলে বেকার কোন ইনকাম নাই।

ক।তারা নিজেরা বিয়ে করলে কি বিয়ে হবে?মনে হচ্ছে তাদের কুফু সমান না।..মাসালায় যদিি হ্যা আসে কিন্তু বাস্তবে যদি বিয়ে হওয়ার মত না হয়ে থাকে তাহলে...শুুধ মাসাাল জানার জন্য কি কোন সমস্যা হবে? উত্তর হ্যাঁ  আসলে যদি বাস্তবে নাা ঘটলেও সমস্যা হয় তাহলে এই প্ররশ্নে উত্তর দিতে হবে না
খ।পরবর্তীতে মেয়ের বাবা মা মেয়েকে অই ছেলের কাছে বিয়ে দিতে পারবে?
২।তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?will you marry me.এগুলা ইজাব কবুল হওয়া বাক্য না।কিন্তু একি ভাবে কেও যদি বলে তুমি আমাকে বিয়ে করতে রাজি?অপর জন যদি জি রাজি।কিন্তু তার পর আর কোন কিছু  যেমন কবুল বা বিয়ে করলাম এমন কিছু বলে নাই।তাহলে কি শুধু অই টুকু বলাই কি বিয়ে হয়ে যাবে?

বা কেউ যদি বলে চল বিয়ে করি অপর জন যদি বলে চল।তারপর আর কিছু বলে নাই এতে কি ইজাব কবুল হবে?

৩।ছেলে সাক্ষি যদি মাথায় সমস্যা থাকে মানে হিতাহিত বুদ্ধি কম।তার পরিবারের মানুষ  ই বলে তার মাথায় সমস্যা এমন কাউকে কি সাক্ষি হিসেবে রাখা যাবে?

সে যদি মারা যাই উপর ২ মহিলা যদি মনে করতে না পারে বা একজন যদি এমন জাইগাই চলে যাই যারে আর জিজ্ঞেস করা সম্ভব না হয় তাহলে কি সে বিয়ে হইছে বলে ধরে নিবে নাকি হই নাই বলে  ধরবে।

৪।২ এর অধিক মহিলা কি বিয়ের সাক্ষি হিসেবে থাকতে পারে কোন পুরুষ সাক্ষি না থাকল??

৫।হাসবেন্ড যদি বলে পেরা দিলে কাউকেই ভাল লাগে না তুমারেও না।বারিতে ভাল লাগে না।পোলার জন্য যাই শুধু। তুমার জীবন টা হেল কইরা দিসি।আমি কমুই না যে আহ।তখন বউ বলছে আমি বলি নাই যে তুমাগো বারিতে যাইতে কইবা না। তখন হাসবেন্ড বলছে হ সেটাই ত আমাগো বারি বাদ দিয়া আত্তীয় বারি দাওয়াত থাকতে আসতে বলমু না অইটা বুজাইছি।এগুলা কি কেনায়া বাক্য।

বউয়ের যদি অধিকার থাকে সে জদি তার শাশুড়ী কে বলে যে ওরে(জামাই)একবারে না কইরা দিমু নি।যাতে আমাকে কিছু না বলে।এখন অই কথা বলার সময় যদি তা...মনে আসে তাইলে কি কিছু হবে?আর বউ ত সত্তি না কইরা দেয় নাই।যেহেতু এটা ভবিষ্যৎ বাচক শব্দ।

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

 তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/


প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তারা উভয়েই যদি বালেগ বালেগাহ হয়,
তাহলে সেক্ষেত্রে তারা যদি উভয়ে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করে, তাহলে তাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।

যদিও তাদের অভিভাবক  কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তিনি অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}

আরো জানুনঃ-

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে ছেলে মেয়ের মাঝে কুফুর পূর্ণ মিল নেই।

তারপরেও এক্ষেত্রে মেয়ে বালেগাহ হয়ে থাকলে বিবাহটি হয়ে যাবে। 

★শুধু মাসয়ালা জানার জন্য কোনো সমস্যা হবেনা। 

★পরবর্তীতে মেয়ের বাবা সেই ছেলেটির সাথ্র পুনরায় বিবাহ দিতে পারবে।

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে কোনো ছুরতেই ইজাব কবুল হবেনা।
তাই এক্ষেত্রে বিবাহও হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে ছেলেটি তো পাগল নয়,তাই এই বিবাহ শুদ্ধ হবে।

(০৪)
এক্ষেত্রে চারজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী সাক্ষী হিসেবে থাকতে হবে।

(০৫)
এগুলো কেনায়া বাক্য নয়।
এগুলো বলাতে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...