আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
ইচ্ছেকৃত সাহু সিজদাহ দিলে নামাজ ভেঙে যাবে?

অনিচ্ছাকৃত কেউ যদি ইমান ভঙ্গের কথা বলে ফেলে তাহলে কি বিবাহ ভেঙে যাবে??

আর যারা ইচ্ছেকৃতভাবে বলে,,

ইমান ভঙ্গ হয়ে গেলে পরবর্তীতে কি বিবাহ করতে হবে,,নাকি বিবাহ করলে বিবাহ জায়েজ হবে না?

আমার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড অন্যজনকে দিলে,,এবং অর্ধেক বিল সে যদি দেয়,,আর সে যদি নাটক দেখে,,গান শুনে  তাহলে কি আমার গুনাহ হবে।

আমার ৩ বোন,,৩ জনেরই স্বর্নের গয়না আছে,,সাথে কিছু টাকাও থাকে।।আমরা স্টুডেন্ট।।  এখন তো কুরবানি ওয়াজিব,,এখন তো কুরবানি দিতে পারি না,,পরবর্তীতে যদি নিজের সামর্থ্য থাকে,, তখন কি আদায় করতে পারব।।আর কিভাবে আদায় করব

আমি আব্বারে বলছি এই গয়না গুলো তুমারে  দিয়ে দিলাম,,তোমার যা ইচ্ছে তাই করতে পারো।।মন থেকেই বলছি,,আব্বা ও বলছে,,এগুলো তো আমারি,,এখন কি কুরবানি ওয়াজিব হবে??

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছে   

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০

আরো জানুনঃ

★কোনো ব্যাক্তি যদি শেষ বৈঠকে সেজদায়ে সাহু আদায় করেছে কিনা,আদায় করে থাকলে দুটি সেজদাহ দিয়েছে না কি একটি সেজদাহ দিয়েছে,এই ব্যাপারে সন্দেহে পরে যায়,তাহলে সে প্রবল ধারনার ভিত্তিতে আমল করবে।
যদি কোনোদিকেই প্রবল ধারনা  না হয়,সেক্ষেত্রে পুনরায় সেজদায়ে সাহু আদায় করে নামাজ শেষ করবে।

في الدر المختار مع رد المحتار:
اليقين لا يزول بالشك.
(قبيل باب صلاةالمريض،ج2،ص:95،مط: سعيد)
সারমর্মঃ 
নিশ্চিত বিষয় সন্দেহের দ্বারা দূর হয়না।

وفيه ايضا:
يجب السجود فى جميع صور الشك سواء عمل بالتحري او بني على الاقل.
(قبيل باب صلاةالمريض،ج2،ص:95،مط: سعيد)
সারমর্মঃ
সেজদায়ে সাহু সন্দেহের সমস্ত ছুরতে ওয়াজিব হবে,চাই তাহাররি করে আমল করুক,বা কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে আমল করুক।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সাহু সিজদা ওয়াজিব না হওয়া সত্ত্বেও কেউ সাহু সিজদা দিয়ে থাকলে এটা ভূল বলে গন্য হবে।সুতরাং এক্ষেত্রে তার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। তাই তাকে পুনরায় সাহু সিজদা দিতে হবে।

(০২)
অনিচ্ছাকৃত ভাবে না জেনে না বুঝে কেউ যদি ইমান ভঙ্গের কথা বলে ফেলে, তাহলে বিবাহ ভেঙে যাবেনা।

আর যারা ইচ্ছেকৃতভাবে জেনে বুঝে বলে,, সেক্ষেত্রে যেহেতু তাদের ইমান ভঙ্গ হয়ে যায়, তাই বিবাহও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ঈমান আনার পর পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 

ঈমান আনার পর বিবাহ করলে বিবাহ জায়েজ হবে।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে সে যেহেতু অর্ধেক বিল দেয়,সুতরাং এক্ষেত্রে তার গুনাহের দরুন আপনার গুনাহ হবেনা।

(০৪)
এক্ষেত্রে নিয়ম হলো কাহারো থেকে ঋন নিয়ে হলেও কুরবানী দেয়া।

তদুপরি না দিতে পারলে পরবর্তীতে কুরবানীর উপযুক্ত একটি ছাগলে সমমুল্য গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত গহনাগুলি তো আপনার বোনদের।
আপনার তো নয়।

তাই আপনি তাহা আপনার বাবাকে কিভাবে দিবেন?

আপনার বোনেরা যদি উক্ত গহনা গুলি জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখের আগেই আপনার বাবাকে হস্তান্তর করে দেয়,সেগুলোর মালিক যদি আপনার বাবাকে বানিয়ে দেয়,সেগুলো যদি আর নিজের কাছে না রাখে, ব্যবহারও না করে,সেক্ষেত্রে কুরবান আপনার বোনদের নিকট ৭৮+ হাজার টাকা না থাকলে তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।

এক্ষেত্রে কুরবানী আপনার বাবার উপরে আবশ্যক হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 173 views
0 votes
1 answer 517 views
...